মাক্সার টেকনোলজিস আরও বলেছে, বেলারুশের দক্ষিণাঞ্চলে অতিরিক্ত স্থলসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বোমা ফেলার কাজে ব্যবহৃত হেলিকপ্টার ইউনিটও মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে সেখানে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২০ মাইলেরও কম দূরত্বে বেলারুশের ওই এলাকার অবস্থান।
মাক্সারের স্যাটেলাইট চিত্রের বরাতে রয়টার্সের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তোনভ বিমানবন্দর এলাকার পূর্ব প্রান্তে শত শত সাঁজোয়া যান, ট্যাংক, কামান ও সরঞ্জাম বহনকারী যানের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। মাক্সার প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সামরিক যানগুলো ৩ দশমিক ২৫ মাইলেরও বেশি দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে আরও দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বিমান হামলায় আন্তোনভ বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরের কাছে তুমুল লড়াই হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাসমাবেশ শনাক্ত করার দাবি করে আসছে মাক্সার। তবে এ ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছেন রাশিয়ার সেনারা। এর মধ্যেই গতকাল ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসেছিলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ইউক্রেন হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেছেন, আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। তবে পরবর্তী আলোচনা কবে হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
গতকাল পঞ্চম দিনের মতো কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
এর মধ্যে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর বেলারুশের গোমেলে আলোচনায় বসেন দুই দেশের নেতারা। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকোভ ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিকোলা তোচিৎসকি অংশ নেন।
ঢাকা/এমআর