১০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

৫০ টাকা দরে ইউক্রেনকে ড্রোন দেওয়ার প্রস্তাব মার্কিন কোম্পানির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৮৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ড্রোন উৎপাদনকারী কোম্পানি জেনারেল অ্যাটোমিক অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম ইউক্রেনকে মাত্র ১ ডলারে দুটি ‘সামরিক নজরদারি ও ছোট হামলার’ ড্রোন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। মানে বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৫০ টাকায় কিয়েভকে একটি ড্রোন দিতে চায় তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইউক্রেনের কাছে এ ড্রোন বিক্রির অনুমতি দিতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কোম্পানিটি। তারা জানিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেনের কাছে শক্তিশালী গ্রে ঈগল এবং রিপার ড্রোন বিক্রির অনুমতি চেয়ে আসছে তারা।

এসব ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে। যেগুলো নজরদারি এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী। কোম্পানিটি বলেছে তাদের ড্রোন মধ্য উচ্চতায় দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে সক্ষম। আর এ মুহূর্তে এ ড্রোন ইউক্রেনের খুবই প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নজরদারি ও ছোট হামলার ড্রোন দিয়েছে। কিন্তু জেনারেল অ্যাটোমিক অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমের ড্রোনের মতো শক্তিশালী নয় সেগুলো।

জেনারেল অ্যাটোমিক অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী লিন্ডেন ব্লু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে, আমাদের পণ্য দিয়ে ইউক্রেনের সেনাদের সহায়তা করার উপায় খুঁজছি। যার মধ্যে রয়েছে এমকিউ-৯ রিপার এবং এমকিউ-১ সি গ্রে ঈগল ড্রোন।’

তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের কোম্পানি ইউক্রেনের ড্রোন অপারেটরদের বিনামূল্যে এ ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। মানে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেনের সরকারকে ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণের জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।

আরও পড়ুন: ৪৮ বছরে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ

এছাড়া ইউক্রেনকে ‘প্রতীকি ১ ডলারের’ বিনিময়ে নিজেদের দুটি প্রশিক্ষণ বিমানসহ গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম এবং অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিন্ডেন ব্লু।

তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি খুব জটিল কিছু না। তাদের শুধুমাত্র মার্কিন সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। তার মতে, তথ্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে ইউক্রেনকে শক্ত অবস্থানে নেওয়াটা অনেক জরুরি।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

৫০ টাকা দরে ইউক্রেনকে ড্রোন দেওয়ার প্রস্তাব মার্কিন কোম্পানির

আপডেট: ১১:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ড্রোন উৎপাদনকারী কোম্পানি জেনারেল অ্যাটোমিক অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম ইউক্রেনকে মাত্র ১ ডলারে দুটি ‘সামরিক নজরদারি ও ছোট হামলার’ ড্রোন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। মানে বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৫০ টাকায় কিয়েভকে একটি ড্রোন দিতে চায় তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইউক্রেনের কাছে এ ড্রোন বিক্রির অনুমতি দিতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কোম্পানিটি। তারা জানিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেনের কাছে শক্তিশালী গ্রে ঈগল এবং রিপার ড্রোন বিক্রির অনুমতি চেয়ে আসছে তারা।

এসব ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে। যেগুলো নজরদারি এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী। কোম্পানিটি বলেছে তাদের ড্রোন মধ্য উচ্চতায় দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে সক্ষম। আর এ মুহূর্তে এ ড্রোন ইউক্রেনের খুবই প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নজরদারি ও ছোট হামলার ড্রোন দিয়েছে। কিন্তু জেনারেল অ্যাটোমিক অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমের ড্রোনের মতো শক্তিশালী নয় সেগুলো।

জেনারেল অ্যাটোমিক অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী লিন্ডেন ব্লু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে, আমাদের পণ্য দিয়ে ইউক্রেনের সেনাদের সহায়তা করার উপায় খুঁজছি। যার মধ্যে রয়েছে এমকিউ-৯ রিপার এবং এমকিউ-১ সি গ্রে ঈগল ড্রোন।’

তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের কোম্পানি ইউক্রেনের ড্রোন অপারেটরদের বিনামূল্যে এ ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। মানে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেনের সরকারকে ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণের জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।

আরও পড়ুন: ৪৮ বছরে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ

এছাড়া ইউক্রেনকে ‘প্রতীকি ১ ডলারের’ বিনিময়ে নিজেদের দুটি প্রশিক্ষণ বিমানসহ গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম এবং অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিন্ডেন ব্লু।

তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি খুব জটিল কিছু না। তাদের শুধুমাত্র মার্কিন সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। তার মতে, তথ্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে ইউক্রেনকে শক্ত অবস্থানে নেওয়াটা অনেক জরুরি।

ঢাকা/এসএম