০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

৮০০ বছরের পুরনো মমি মিলল পেরুতে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪১৪০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দক্ষিণ আমেরিকা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ। সম্প্রতি এবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার কাছে একটি উপকূলবর্তী প্রাচীন সমাধিস্থল খুঁড়ে ৮০০ বছরের পুরনো মমির সন্ধান পেয়েছেন দেশটির একদল প্রত্নতাত্ত্বিক। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

লিমার এক প্রান্তে একটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পরিত্যক্ত মন্দিরের ভূগর্ভস্থ সমাধিস্থলে সন্ধান মেলে মমিটির। তবে সেটি পুরুষের, নাকি নারীর—তা এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

প্রত্নতাত্ত্বিক দলের মুখপাত্র পিটার ভ্যান ডালেন লুনা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম মমিটি আবিষ্কার করি, তখন দেখতে পাই সেটির হাত-পা ছিল গোটানো, পুরো শরীর দড়ি দিয়ে বাঁধা ও হাতের তালু দিয়ে মুখঢাকা। এটি কোনো পুরুষ, না নারীর মমি—সে বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি; তবে মমিটি যেভাবে যে অবস্থায় আমরা প্রথম আবিষ্কার করি, তাতে মনে হচ্ছে ওই সময় এই এলাকায় এভাবেই মৃতদেহের সৎকার করা হতো।

মমিটি যে ব্যক্তির, তিনি সম্ভবত আন্দিজ পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন উল্লেখ করে পিটার বলেন, ‘আমরা এখনও এটির রেডিওকার্বন ডেটিং পরীক্ষা করিনি। এই পরীক্ষা করা হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’

‘মমি’ শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মনে আসে মিসরের নাম। হাজার হাজার বছর আগে মিসরের রাজা বা ফারাও এবং অভিজাতদের মৃতদেহ বিশেষ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হতো। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় মমিকরণ বা মমিফিকেশন।

মিসরের প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর মানুষের দ্বিতীয় জীবন শুরু হয়। সেই জীবনে নিজ দেহ ফিরে পেতে যেন জটিলতা না হয়, সেজন্যই ফারাও ও অভিজাতদের মরদেহকে মমি করা হতো।

তবে মিসরই একমাত্র সভ্যতা নয়, যারা এই ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিল। দেড়-দু’হাজার বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসরত ইনকা জাতিগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসও ছিল মিসরীয়দের মতো। তাই সেই সভ্যতার মধ্যেও প্রচলিত ছিল মৃতদেহের মমিকরণ।

বর্তমান পেরু ছিল তৎকালীন ইনকা সভ্যতার মূল কেন্দ্র। দেশটিতে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাচীন ইনকাদের বিভিন্ন পুরাকীর্তি, যেগুলো দেখতে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বিদেশি পর্যটক যান পেরুতে।

উল্লেখ্য, মহাদেশটির আয়তন ১,৭৮,২০,৯০০ বর্গকিলোমিটার, যা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ১২%। আয়তনের দিকে থেকে এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার পরেই এর স্থান।

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x

৮০০ বছরের পুরনো মমি মিলল পেরুতে

আপডেট: ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দক্ষিণ আমেরিকা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ। সম্প্রতি এবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার কাছে একটি উপকূলবর্তী প্রাচীন সমাধিস্থল খুঁড়ে ৮০০ বছরের পুরনো মমির সন্ধান পেয়েছেন দেশটির একদল প্রত্নতাত্ত্বিক। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

লিমার এক প্রান্তে একটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পরিত্যক্ত মন্দিরের ভূগর্ভস্থ সমাধিস্থলে সন্ধান মেলে মমিটির। তবে সেটি পুরুষের, নাকি নারীর—তা এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

প্রত্নতাত্ত্বিক দলের মুখপাত্র পিটার ভ্যান ডালেন লুনা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম মমিটি আবিষ্কার করি, তখন দেখতে পাই সেটির হাত-পা ছিল গোটানো, পুরো শরীর দড়ি দিয়ে বাঁধা ও হাতের তালু দিয়ে মুখঢাকা। এটি কোনো পুরুষ, না নারীর মমি—সে বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি; তবে মমিটি যেভাবে যে অবস্থায় আমরা প্রথম আবিষ্কার করি, তাতে মনে হচ্ছে ওই সময় এই এলাকায় এভাবেই মৃতদেহের সৎকার করা হতো।

মমিটি যে ব্যক্তির, তিনি সম্ভবত আন্দিজ পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন উল্লেখ করে পিটার বলেন, ‘আমরা এখনও এটির রেডিওকার্বন ডেটিং পরীক্ষা করিনি। এই পরীক্ষা করা হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’

‘মমি’ শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মনে আসে মিসরের নাম। হাজার হাজার বছর আগে মিসরের রাজা বা ফারাও এবং অভিজাতদের মৃতদেহ বিশেষ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হতো। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় মমিকরণ বা মমিফিকেশন।

মিসরের প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর মানুষের দ্বিতীয় জীবন শুরু হয়। সেই জীবনে নিজ দেহ ফিরে পেতে যেন জটিলতা না হয়, সেজন্যই ফারাও ও অভিজাতদের মরদেহকে মমি করা হতো।

তবে মিসরই একমাত্র সভ্যতা নয়, যারা এই ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিল। দেড়-দু’হাজার বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসরত ইনকা জাতিগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসও ছিল মিসরীয়দের মতো। তাই সেই সভ্যতার মধ্যেও প্রচলিত ছিল মৃতদেহের মমিকরণ।

বর্তমান পেরু ছিল তৎকালীন ইনকা সভ্যতার মূল কেন্দ্র। দেশটিতে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাচীন ইনকাদের বিভিন্ন পুরাকীর্তি, যেগুলো দেখতে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বিদেশি পর্যটক যান পেরুতে।

উল্লেখ্য, মহাদেশটির আয়তন ১,৭৮,২০,৯০০ বর্গকিলোমিটার, যা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ১২%। আয়তনের দিকে থেকে এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার পরেই এর স্থান।

ঢাকা/এমটি