০৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

৮৮২ অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / ৪১৩৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সারা দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮৮২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সিলগালা করেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬৭টি, চট্টগ্রামে ২২৯টি, রাজশাহীতে ৭৮টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ৯৬, বরিশালে ৫৯টি, সিলেটে ৩৫ ও খুলনায় ২০৪টি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, অভিযান চলবে। নিবন্ধনবিহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসেন জানান, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তিন দিন সময় দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৮৮২টি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছি। অভিযান আরও কিছুদিন চলবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘নির্দেশনার পর সারা দেশেই অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় শুধু ঢাকা বিভাগে ১৬৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সিলাগালা করা হয়েছে।’

রোববার অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের তিনটি টিম ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে। দুপুরে ডা. আহমেদুল কবীরের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর চিটাগাং রোডের পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায়।

আহমেদুল কবীর জানান, টিমের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অপারেশন থিয়েটারে একজন প্রসূতিকে ফেলে মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়। টিমের সদস্যরা ওই প্রসূতিকে উদ্ধার করে মাতুয়াইল শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। বাকি রোগীদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে জারিমানার এখতিয়ার না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। পরে ভোক্তা অধিকারের টিম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে নিয়ম মেনে পরিচালনা করতে একাধিকবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের সঙ্গে রোগীদের জীবন-মরণ জড়িত। চিকিৎসা সেবার নামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে। ফলে এমন কঠোর সিদ্ধান্তে আসতে হচ্ছে।’

অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্রের তালিকা হচ্ছে
অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্রের তালিকা হচ্ছে জানিয়ে ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘আজও আমার সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধের তালিকা তৈরি করতে বলেছেন। আগামীকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশে ফিরে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।’

এদিন অভিযান টিমের সঙ্গে সরেজমিন থেকে অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে রাজধানীর চানখাঁরপুল ও বাড্ডায় অভিযান চালাতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান চালায়।

চানখাঁরপুলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। এ সময় চানখাঁরপুল মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টারসহ পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়।

আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টার আলট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত দুই বোতল ইকো জেল মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে। যে কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্যান্ডার্ড গ্লুকোজ পাওয়া গেছে। তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া বেলা ১১টার দিকে উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভোক্তা অধিকারের পরিদর্শন টিম অভিযানে নামে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড্ডা এলাকায় পাঁচটি হাসপাতালের লাইসেন্স, ল্যাব, ফার্মেসি পরিদর্শন শেষে তিনটি হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়ায় মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকারের মোবাইল টিম। দুটি হাসপাতালকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা ও আরেকটি হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের সবাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত। অনেকেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দিতে দেরি হচ্ছে। তবে যারা যেখানে-সেখানে ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে, নিবন্ধন ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা করছে, এমনকি নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করেনি সেগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বন্ধ করায় আমাদের আপত্তি নেই।

‘রিজেন্ট হাসপাতালের মতো কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে উঠুক আমরা চাই না। এদের জন্য বেসরকারি হাসপাতালের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’

লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নের জন্য যারা আবেদন করেছে তাদের দ্রুত লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের ১১ হাজার সদস্য রয়েছে। সবাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে সেবা পরিচালনা করছে।’

গত বৃহস্পতিবার সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে রোববারের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তবে যাদের নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের নবায়নের সুযোগ দিয়েছে অধিদপ্তর।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

৮৮২ অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা

আপডেট: ০২:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সারা দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮৮২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সিলগালা করেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬৭টি, চট্টগ্রামে ২২৯টি, রাজশাহীতে ৭৮টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ৯৬, বরিশালে ৫৯টি, সিলেটে ৩৫ ও খুলনায় ২০৪টি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, অভিযান চলবে। নিবন্ধনবিহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসেন জানান, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তিন দিন সময় দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৮৮২টি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছি। অভিযান আরও কিছুদিন চলবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘নির্দেশনার পর সারা দেশেই অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় শুধু ঢাকা বিভাগে ১৬৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সিলাগালা করা হয়েছে।’

রোববার অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের তিনটি টিম ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে। দুপুরে ডা. আহমেদুল কবীরের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর চিটাগাং রোডের পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায়।

আহমেদুল কবীর জানান, টিমের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অপারেশন থিয়েটারে একজন প্রসূতিকে ফেলে মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়। টিমের সদস্যরা ওই প্রসূতিকে উদ্ধার করে মাতুয়াইল শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। বাকি রোগীদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে জারিমানার এখতিয়ার না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। পরে ভোক্তা অধিকারের টিম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে নিয়ম মেনে পরিচালনা করতে একাধিকবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের সঙ্গে রোগীদের জীবন-মরণ জড়িত। চিকিৎসা সেবার নামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে। ফলে এমন কঠোর সিদ্ধান্তে আসতে হচ্ছে।’

অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্রের তালিকা হচ্ছে
অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্রের তালিকা হচ্ছে জানিয়ে ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘আজও আমার সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধের তালিকা তৈরি করতে বলেছেন। আগামীকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশে ফিরে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।’

এদিন অভিযান টিমের সঙ্গে সরেজমিন থেকে অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে রাজধানীর চানখাঁরপুল ও বাড্ডায় অভিযান চালাতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান চালায়।

চানখাঁরপুলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। এ সময় চানখাঁরপুল মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টারসহ পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়।

আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টার আলট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত দুই বোতল ইকো জেল মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে। যে কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্যান্ডার্ড গ্লুকোজ পাওয়া গেছে। তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া বেলা ১১টার দিকে উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভোক্তা অধিকারের পরিদর্শন টিম অভিযানে নামে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড্ডা এলাকায় পাঁচটি হাসপাতালের লাইসেন্স, ল্যাব, ফার্মেসি পরিদর্শন শেষে তিনটি হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়ায় মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকারের মোবাইল টিম। দুটি হাসপাতালকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা ও আরেকটি হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের সবাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত। অনেকেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দিতে দেরি হচ্ছে। তবে যারা যেখানে-সেখানে ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে, নিবন্ধন ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা করছে, এমনকি নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করেনি সেগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বন্ধ করায় আমাদের আপত্তি নেই।

‘রিজেন্ট হাসপাতালের মতো কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে উঠুক আমরা চাই না। এদের জন্য বেসরকারি হাসপাতালের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’

লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নের জন্য যারা আবেদন করেছে তাদের দ্রুত লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের ১১ হাজার সদস্য রয়েছে। সবাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে সেবা পরিচালনা করছে।’

গত বৃহস্পতিবার সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে রোববারের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তবে যাদের নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের নবায়নের সুযোগ দিয়েছে অধিদপ্তর।

ঢাকা/এসএম