০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নরসিংদী কারাগারের সব কারারক্ষী বরখাস্ত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৩২৬ বার দেখা হয়েছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুট ও বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই দিন দায়িত্বে থাকা ৬৮ কারারক্ষীর সবাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জেলা কারাগারে মোট ৭৬ কারারক্ষী রয়েছেন। ঘটনার দিন আট জন ছুটিতে ছিলেন। যারা দায়িত্বে ছিলেন, সেই ৬৮ জনের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই বিকালে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালান। তারা কারাগারের বিভিন্ন অংশে অগ্নিসংযোগ করে এবং ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দেন। সেই সুযোগে কারাগারে থাকা ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যান। ঘটনার চারদিন পর ২৪ জুলাই খাদিজা পারভীন মেঘলা ও ইশরাত জাহান মৌ নামের দুই নারী জঙ্গি ধরা পড়েন। তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান জানান। একইদিন জেল সুপার ও জেলারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে ৪ আগস্ট

কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১টি মামলা হয়েছে। নরসিংদীর আদালত পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে পাঁচ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আর পলাতক ৮২৬ কয়েদির মধ্যে ৫৭৫ জন কারাগার ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ ছাড়া লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৯টি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

নরসিংদী কারাগারের সব কারারক্ষী বরখাস্ত

আপডেট: ০৫:২৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুট ও বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই দিন দায়িত্বে থাকা ৬৮ কারারক্ষীর সবাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জেলা কারাগারে মোট ৭৬ কারারক্ষী রয়েছেন। ঘটনার দিন আট জন ছুটিতে ছিলেন। যারা দায়িত্বে ছিলেন, সেই ৬৮ জনের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই বিকালে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালান। তারা কারাগারের বিভিন্ন অংশে অগ্নিসংযোগ করে এবং ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দেন। সেই সুযোগে কারাগারে থাকা ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যান। ঘটনার চারদিন পর ২৪ জুলাই খাদিজা পারভীন মেঘলা ও ইশরাত জাহান মৌ নামের দুই নারী জঙ্গি ধরা পড়েন। তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান জানান। একইদিন জেল সুপার ও জেলারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে ৪ আগস্ট

কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১টি মামলা হয়েছে। নরসিংদীর আদালত পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে পাঁচ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আর পলাতক ৮২৬ কয়েদির মধ্যে ৫৭৫ জন কারাগার ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ ছাড়া লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৯টি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ