‘সরকার আশ্বাস না দিলে আন্দোলন বন্ধ করবো না’

- আপডেট: ০১:৩৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১০৩৩০ বার দেখা হয়েছে
লাখ লাখ টাকা জমা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলন করছেন একদল বিদেশগামী। আন্দোলনকারীরা বলছেন প্রায় ১৮ হাজার লোক মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিলেও তারা যেতে পারছেন না। তাই অন্তর্বর্তী সরকার তাদের আশ্বাস না দিলে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা দেড়টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
অবস্থান কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, সরকার আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যাবেন। না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এসময় অবস্থান কর্মসূচি থেকে ভুক্তভোগী মো.সাব্বির মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে টাকা দিয়ে বসে আছি কিন্তু আমাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এজেন্সির কাছে গেলে তারা তালবাহানা করে। তাই আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা না করলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করব না। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আশ্বাস পেলে আমরা রাস্তা ছেড়ে চলে যাব। তা না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: ইতালি থেকে আসা বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি
এ সময় তিনি সরকারের কাছে চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:
১। গত ২০২৪ সালের ৩১ মে সিন্ডিকেটের কারণে যারা মালয়েশিয়া যেতে পারেনি, সংখ্যা যতই হোক ২০ হাজার কিংবা ৩০ হাজার সবাইকে মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২। যাদের ই-ভিসা হয়েছে ম্যান পাওয়ার হয়নি, যাদের সব হয়েছে উভয়েই ভুক্তভোগী। সবাই ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়েছে। অতএব সবাইকে নিয়ে যেতে হবে।
৩। ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে আটকে পড়া সকল কর্মীদের নিয়ে যেতে হবে।
৪। সরকার থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আটকে পড়া কর্মীদের মালোশিয়া নিয়ে যাওয়ার দিন তারিখ নির্ধারণ না করে দেবে ততক্ষণ আমরা রাস্তা থেকে উঠবো না।
এর আগে সকালে আন্দোলনকারীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছিলেন। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা কারওয়ানবাজার থেকে মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে আসেন এবং রাস্তা অপরাধ করেন।
ঢাকা/এসএইচ