০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজার দক্ষিণাঞ্চল দখলের ঘোষণা ইসরায়েলের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৩৫১ বার দেখা হয়েছে

টানা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালানোর পর এবার গাজার দক্ষিণাঞ্চল দখলের পথে এগোনোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। দু’জনই অবশ্য পৃথক বার্তায় এই ঘোষণা দিয়েছেন।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হন নেতানিয়াহু। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই শহর রাফাহ এবং খান ইউনূসের মাঝামাঝি এক সময় ‘মোরাগ এক্সিস’ বলে ইহুদি অধ্যুষিত একটি এলাকা ছিল। পরে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। নেতানিয়াহু জানান, গাজায় এবারের সামরিক অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য কথিত সেই মোরাগ এক্সিসকে ফের ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা বা নিরাপত্তা জোনের অন্তর্ভুক্ত করা। ‘আমরা গাজা উপত্যকাকে ভাগ করছি এবং ধাপে ধাপে তাদের (হামাস) ওপর চাপ বাড়াচ্ছি যেন তারা জিম্মিদেরকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়,’ ভিডিওবার্তায় বলেন নেতানিয়াহু।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের ফলে রাফাহ শহর তার পার্শ্ববর্তী খান ইউনিস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং রাফাহ শহর এবং রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের আরেক নাম ফিলাডেলফি করিডোর এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরুর আগে এই ক্রসিং বা করিডোর গাজার বাসিন্দাদের কাছে ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত ছিল।

কারণ মিসর থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথককারী এই সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতো গাজায়। তবে ইসরায়েল বরাবর অভিযোগ করে আসছে, ত্রাণের পাশাপাশি গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অস্ত্রের চালানও আসত এই সীমান্ত দিয়ে।

নেতানিয়াহু ভিডিওবার্তা পোস্ট করার আগে বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, পুরো গাজা উপত্যকাকে জঙ্গিমুক্ত করা এবং গাজার বিশাল এলাকাকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা জোনের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বিরতির পর নতুন অভিযান শুরু হয়েছে।

প্রায় ২ মাসের যুদ্ধবিরতির পর গত ১৮ মার্চ ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চের পর গত ১৬ দিনে গাজায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। শুধু বুধবারই নিহত হয়েছেন ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির জনিয়েছেন, তাদের অভিযানের লক্ষ্য অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধার করা। যতদিন এ লক্ষ্য পূরণ না হবে, ততদিন অভিযান চলবে। হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করছে (আইডিএফ)। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা গিশা’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার যে অঞ্চলটি দখলের ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু, তার আয়তন প্রায় ৬২ বর্গকিলোমিটার এবং এটি গাজা উপত্যকার মূল ভূখণ্ডের ১৭ শতাংশ।

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করুন

গাজার দক্ষিণাঞ্চল দখলের ঘোষণা ইসরায়েলের

আপডেট: ১২:৩২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

টানা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালানোর পর এবার গাজার দক্ষিণাঞ্চল দখলের পথে এগোনোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। দু’জনই অবশ্য পৃথক বার্তায় এই ঘোষণা দিয়েছেন।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হন নেতানিয়াহু। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই শহর রাফাহ এবং খান ইউনূসের মাঝামাঝি এক সময় ‘মোরাগ এক্সিস’ বলে ইহুদি অধ্যুষিত একটি এলাকা ছিল। পরে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। নেতানিয়াহু জানান, গাজায় এবারের সামরিক অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য কথিত সেই মোরাগ এক্সিসকে ফের ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা বা নিরাপত্তা জোনের অন্তর্ভুক্ত করা। ‘আমরা গাজা উপত্যকাকে ভাগ করছি এবং ধাপে ধাপে তাদের (হামাস) ওপর চাপ বাড়াচ্ছি যেন তারা জিম্মিদেরকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়,’ ভিডিওবার্তায় বলেন নেতানিয়াহু।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের ফলে রাফাহ শহর তার পার্শ্ববর্তী খান ইউনিস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং রাফাহ শহর এবং রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের আরেক নাম ফিলাডেলফি করিডোর এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরুর আগে এই ক্রসিং বা করিডোর গাজার বাসিন্দাদের কাছে ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত ছিল।

কারণ মিসর থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথককারী এই সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতো গাজায়। তবে ইসরায়েল বরাবর অভিযোগ করে আসছে, ত্রাণের পাশাপাশি গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অস্ত্রের চালানও আসত এই সীমান্ত দিয়ে।

নেতানিয়াহু ভিডিওবার্তা পোস্ট করার আগে বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, পুরো গাজা উপত্যকাকে জঙ্গিমুক্ত করা এবং গাজার বিশাল এলাকাকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা জোনের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বিরতির পর নতুন অভিযান শুরু হয়েছে।

প্রায় ২ মাসের যুদ্ধবিরতির পর গত ১৮ মার্চ ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চের পর গত ১৬ দিনে গাজায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। শুধু বুধবারই নিহত হয়েছেন ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির জনিয়েছেন, তাদের অভিযানের লক্ষ্য অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধার করা। যতদিন এ লক্ষ্য পূরণ না হবে, ততদিন অভিযান চলবে। হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করছে (আইডিএফ)। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা গিশা’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার যে অঞ্চলটি দখলের ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু, তার আয়তন প্রায় ৬২ বর্গকিলোমিটার এবং এটি গাজা উপত্যকার মূল ভূখণ্ডের ১৭ শতাংশ।

সূত্র : রয়টার্স