জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না: নাহিদ ইসলাম

- আপডেট: ০২:১৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ১০৩৫১ বার দেখা হয়েছে
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (০১ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের পর এ কথা বলেন তিনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি মানে দেশ গঠনের জন্য যে উদ্যোগ দরকার তার জন্য এ কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলব। আবু সাঈদের স্বপ্ন, জুলাইয়ের স্বপ্ন- আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব। আবু সাঈদ লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করে ছাড়ব। আমরা বাংলার প্রতি প্রান্তরে যাবো। সব মানুষকে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করব। আবু সাঈদরা যে কারণে শহীদ হয়েছিল আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা মানুষের কাছে তুলে ধরব। আবু সাঈদ যেভাবে পুলিশের গুলির সামনে বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেটাই ছিল আমাদের অনুপ্রেরণা।
তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদের মতো অন্য সকল শহীদেরা আমাদের যে লড়াই, ফ্যাসিবাদী বিলোপের বিরুদ্ধে আমাদের যে লড়াই, তার অনুপ্রেরণা। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের মানুষ আবু সাঈদ, ওয়াসীম, মুগ্ধসহ সকল শহীদদের এবং আহত যোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন: জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন: প্রধান উপদেষ্টা
নাহিদ বলেন, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অবশ্যই বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দিকে যেতে হবে। এবং জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে টালবাহানা শুরু হয়েছে, তা সহ্য করা হবে না। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যারা মনে করছেন হাজারো লক্ষ মানুষ যারা রাজপথে নেমে এসেছিল তারা ঘরে ফিরে গিয়েছে তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি পথে প্রান্তরে যাবো। ছাত্র-জনতা, তরুণ, শ্রমিকদের আবারও রাজপথে নেমে আসতে আহ্বান জানাব। তারপর জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ আদায় করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করে সত্যিকারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। গণহত্যার বিচার শেষ করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।
ঢাকা/এসএইচ