১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না: চিফ প্রসিকিউটর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০২৮৬ বার দেখা হয়েছে

জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা মনে করেছিলেন বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে পার পাওয়া যাবে কিংবা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বিচারকাজকে বানচাল করা যাবে, তাদের জন্য পরিষ্কার বার্তা হলো যারা অপরাধ করেছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। বিচারের প্রক্রিয়া কোনোভাবেই বন্ধ হবে না।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাজুল ইসলাম।

সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যেসব তরুণরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার মুক্ত করেছেন, তাদের স্বজন-পরিবার বেঁচে আছেন। তাদের সাক্ষ্যের মাধ্যমেই দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন যাওয়া পরিবারের প্রতি জাস্টিস করার যে চেষ্টা, সেটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।

চানখারপুলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য শুরু করেন শহিদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। এছাড়া সাক্ষী হিসেবে তার মাও উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে, ১৪ জুলাই এ মামলায় পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বর্তমানে এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন চারজন। তারা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ‍ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

গত ৩ জুলাই চানখারপুলের মামলাটির অভিযোগ গঠন নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ শুভ। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজন। বাকিরা হলেন- ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

গত ২৯ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৩ জুন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ২৫ মে এ মামলায় আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই দিন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না: চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট: ০২:৪০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা মনে করেছিলেন বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে পার পাওয়া যাবে কিংবা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বিচারকাজকে বানচাল করা যাবে, তাদের জন্য পরিষ্কার বার্তা হলো যারা অপরাধ করেছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। বিচারের প্রক্রিয়া কোনোভাবেই বন্ধ হবে না।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাজুল ইসলাম।

সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যেসব তরুণরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার মুক্ত করেছেন, তাদের স্বজন-পরিবার বেঁচে আছেন। তাদের সাক্ষ্যের মাধ্যমেই দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন যাওয়া পরিবারের প্রতি জাস্টিস করার যে চেষ্টা, সেটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।

চানখারপুলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য শুরু করেন শহিদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। এছাড়া সাক্ষী হিসেবে তার মাও উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে, ১৪ জুলাই এ মামলায় পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বর্তমানে এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন চারজন। তারা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ‍ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

গত ৩ জুলাই চানখারপুলের মামলাটির অভিযোগ গঠন নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ শুভ। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজন। বাকিরা হলেন- ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

গত ২৯ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৩ জুন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ২৫ মে এ মামলায় আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই দিন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।

ঢাকা/এসএইচ