১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অভিবাসন ব্যয় কমাতে চাই: মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৪২০ বার দেখা হয়েছে

বাংলা‌দেশ সফ‌রে আসা মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল বলেছেন, অভিবাসন ব্যয় কমা‌তে চাই। আগামীতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা পর্যা‌লোচনা করবেন, সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কিনা। আজ রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ইস্কাট‌নে প্রবাসী কল‌্যাণ ভব‌নে কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহম‌দের স‌ঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল ব‌লেন, সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার বড় অংশ নিয়ে ছিল এই চুক্তি। মালয়েশিয়া সরকার বি‌দে‌শি কর্মী নি‌য়োগ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, ত‌বে মাল‌য়ে‌শিয়া পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আলোচনায় বসবো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী কর্মরত র‌য়ে‌ছেন। তা‌দের সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি। সেই কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে র‌য়ে‌ছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ দুটি বিষ‌য়ে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরো দ্রুত করা এবং দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুন: অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না: প্রধানমন্ত্রী

রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। তাদেরকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বৈধকরণের যত অনুমোদন দেওয়‌া হ‌য়ে‌ছে, তা‌দের ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি। মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে অনুরোধ ক‌রে‌ছি, সহযোগিতার জন্য। বাংলাদেশ যেন নিজ অংশের দা‌য়িত্ব পালন করে, আমরা যেন আমাদের কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারি। নতুন কর্মী অনুমোদন দেওয়ার সময় কমিয়ে এনেছি। আগে ২০-৩০ দিন লাগত। এখন ২-৩ দিনে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যা বড় নীতিগত পরিবর্তন।

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

অভিবাসন ব্যয় কমাতে চাই: মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলা‌দেশ সফ‌রে আসা মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল বলেছেন, অভিবাসন ব্যয় কমা‌তে চাই। আগামীতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা পর্যা‌লোচনা করবেন, সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কিনা। আজ রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ইস্কাট‌নে প্রবাসী কল‌্যাণ ভব‌নে কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহম‌দের স‌ঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল ব‌লেন, সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার বড় অংশ নিয়ে ছিল এই চুক্তি। মালয়েশিয়া সরকার বি‌দে‌শি কর্মী নি‌য়োগ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, ত‌বে মাল‌য়ে‌শিয়া পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আলোচনায় বসবো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী কর্মরত র‌য়ে‌ছেন। তা‌দের সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি। সেই কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে র‌য়ে‌ছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ দুটি বিষ‌য়ে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরো দ্রুত করা এবং দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুন: অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না: প্রধানমন্ত্রী

রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। তাদেরকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বৈধকরণের যত অনুমোদন দেওয়‌া হ‌য়ে‌ছে, তা‌দের ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি। মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে অনুরোধ ক‌রে‌ছি, সহযোগিতার জন্য। বাংলাদেশ যেন নিজ অংশের দা‌য়িত্ব পালন করে, আমরা যেন আমাদের কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারি। নতুন কর্মী অনুমোদন দেওয়ার সময় কমিয়ে এনেছি। আগে ২০-৩০ দিন লাগত। এখন ২-৩ দিনে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যা বড় নীতিগত পরিবর্তন।

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ