০২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তে প্রথম যে নদীসেতু যুক্ত করবে বাংলাদেশ ও ভারতকে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংযোগের জন্য ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রথম নদীসেতু।  প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে মৈত্রী সেতু। এটি মঙ্গলবার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার রাতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি এই সেতুটির উদ্বোধন করবেন।সাবরুমে এই চেকপোস্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মালামাল ও মানুষজনের চলাচলও অনেক সহজ হবে বলে বলা হচ্ছে।
শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মধ্যে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’

মৈত্রী সেতু শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যকে আরও সহজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১০ সালে ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ফেনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনুরোধটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করি। তারপর থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় পক্ষকে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করে আসছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।  পার্লামেন্টও সে প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট-টা শুধু ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যই।

২০১৫ সালের জুন মাসে ঢাকাতে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা মিলে যৌথভাবেই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন।

তবে এখন যখন ফেনী নদীর সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে, তখন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই সেটির উদ্বোধন করবেন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কি না সে ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন:

 

শেয়ার করুন

x
English Version

সীমান্তে প্রথম যে নদীসেতু যুক্ত করবে বাংলাদেশ ও ভারতকে

আপডেট: ০২:৪০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংযোগের জন্য ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রথম নদীসেতু।  প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে মৈত্রী সেতু। এটি মঙ্গলবার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার রাতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি এই সেতুটির উদ্বোধন করবেন।সাবরুমে এই চেকপোস্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মালামাল ও মানুষজনের চলাচলও অনেক সহজ হবে বলে বলা হচ্ছে।
শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মধ্যে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’

মৈত্রী সেতু শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যকে আরও সহজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১০ সালে ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ফেনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনুরোধটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করি। তারপর থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় পক্ষকে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করে আসছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।  পার্লামেন্টও সে প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট-টা শুধু ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যই।

২০১৫ সালের জুন মাসে ঢাকাতে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা মিলে যৌথভাবেই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন।

তবে এখন যখন ফেনী নদীর সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে, তখন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই সেটির উদ্বোধন করবেন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কি না সে ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন: