আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার একসঙ্গে পাচ্ছে বাংলাদেশ

- আপডেট: ১০:৫০:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / ১০২৯১ বার দেখা হয়েছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ একসঙ্গে পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এটি তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ। আগামী দু-একদিনের মধ্যে ঋণের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যুক্ত হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ এই অর্থ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সহায়তা করবে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং তা অনুমোদন করা হয়।
ঋণের পটভূমি ও উদ্দেশ্য
২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি এই ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণ কর্মসূচি অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানিয়েছিল, এই সহায়তা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।
মূলত চলতি হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আইএমএফের কাছে এই ঋণ সহায়তা চায়।
মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ১৪০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখযোগ্য, আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথমবারের মতো ঋণ পায়।
আরও পড়ুন: বিদেশি ঋণের শর্তে রাজস্ব আদায় ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
কিস্তি ও প্রাপ্তির সময়রেখা
১: ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।
২: একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
৩: ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার (পূর্ববর্তী কিস্তি) পায় বাংলাদেশ।
সোমবার (২৩ জুন) রাতে দুই কিস্তির প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর বাকি থাকবে ১২৯ কোটি ডলার, যা পাওয়া যাবে আরও দুই কিস্তিতে।
এখানে উল্লেখ্য যে, চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। বিভিন্ন কারণে সেটি পেতে ছয় মাস সময় বেশি লেগেছে।
ঢাকা/এসএইচ