১১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ১০৩৬০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (ILFSL)-এর আমানতকারীরা তাঁদের আটকে থাকা অর্থ ফেরত চেয়ে চার দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। এতে ক্ষতিপূরণসহ আমানতের পূর্ণ ফেরত, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আর্থিক খাতে সংস্কারের দাবি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ রোববার (১৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যক্তি-আমানতকারী ফোরাম।

দাবিগুলো হলো:

আটকে থাকা আমানতের মূল অর্থ ও ক্ষতিপূরণসহ ফেরত প্রদান

পি কে হালদারকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা ও জবাবদিহির আওতায় আনা

আর্থিক খাতের দুর্নীতিতে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংক ও লিজিং প্রতিষ্ঠানের দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা

ব্যক্তি আমানতকারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন

ফোরামের সমন্বয়ক তাসদিক আহমেদ বলেন,“২০১৫ সালে পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে এটি ছিল একটি স্থিতিশীল ও বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হালদার ও তাঁর সহযোগীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় জনসাধারণের আমানত লুটে নেয়। সাত বছর ধরে আমরা আমানতের টাকায় হাতও দিতে পারিনি।”

আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিএসইসি

তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলম এ লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পি কে হালদার ২০১৫ সালে চারটি ফ্রন্ট কোম্পানি—হাল ইন্টারন্যাশনাল, বিআর ইন্টারন্যাশনাল, নেচার এন্টারপ্রাইজ এবং নিউ টেক এন্টারপ্রাইজ—এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার কিনে নিয়ন্ত্রণ নেন।

এরপর, নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিদের ব্যবস্থাপনায় বসিয়ে ৩৪টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া ঋণের নামে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা আরও ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। সবমিলিয়ে আমানতকারীদের শত শত কোটি টাকা আটকে রয়েছে।

তাসদিক আহমেদ বলেন,“আমরা আট মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি। বহুবার চিঠি, ই-মেইল করেও কোনো সাড়া পাইনি। আমরা চাই, আমাদের বক্তব্য সরাসরি তাঁকে জানাতে।”

ফোরামের সভাপতি বাদল নন্দী ও আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কামাল জানান,ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে প্রায় ১,৪৭০ জন ব্যক্তি আমানতকারীর টাকা আটকে আছে। কারও কারও সঞ্চয়ের পরিমাণ এক কোটি টাকারও বেশি। এ অর্থ অনেকের জীবনের শেষ সঞ্চয় ছিল।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আমানতকারীরা টাকা ফেরত চান

আপডেট: ০৫:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (ILFSL)-এর আমানতকারীরা তাঁদের আটকে থাকা অর্থ ফেরত চেয়ে চার দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। এতে ক্ষতিপূরণসহ আমানতের পূর্ণ ফেরত, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আর্থিক খাতে সংস্কারের দাবি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ রোববার (১৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যক্তি-আমানতকারী ফোরাম।

দাবিগুলো হলো:

আটকে থাকা আমানতের মূল অর্থ ও ক্ষতিপূরণসহ ফেরত প্রদান

পি কে হালদারকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা ও জবাবদিহির আওতায় আনা

আর্থিক খাতের দুর্নীতিতে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংক ও লিজিং প্রতিষ্ঠানের দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা

ব্যক্তি আমানতকারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন

ফোরামের সমন্বয়ক তাসদিক আহমেদ বলেন,“২০১৫ সালে পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে এটি ছিল একটি স্থিতিশীল ও বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হালদার ও তাঁর সহযোগীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় জনসাধারণের আমানত লুটে নেয়। সাত বছর ধরে আমরা আমানতের টাকায় হাতও দিতে পারিনি।”

আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিএসইসি

তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলম এ লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পি কে হালদার ২০১৫ সালে চারটি ফ্রন্ট কোম্পানি—হাল ইন্টারন্যাশনাল, বিআর ইন্টারন্যাশনাল, নেচার এন্টারপ্রাইজ এবং নিউ টেক এন্টারপ্রাইজ—এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার কিনে নিয়ন্ত্রণ নেন।

এরপর, নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিদের ব্যবস্থাপনায় বসিয়ে ৩৪টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া ঋণের নামে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা আরও ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। সবমিলিয়ে আমানতকারীদের শত শত কোটি টাকা আটকে রয়েছে।

তাসদিক আহমেদ বলেন,“আমরা আট মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি। বহুবার চিঠি, ই-মেইল করেও কোনো সাড়া পাইনি। আমরা চাই, আমাদের বক্তব্য সরাসরি তাঁকে জানাতে।”

ফোরামের সভাপতি বাদল নন্দী ও আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কামাল জানান,ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে প্রায় ১,৪৭০ জন ব্যক্তি আমানতকারীর টাকা আটকে আছে। কারও কারও সঞ্চয়ের পরিমাণ এক কোটি টাকারও বেশি। এ অর্থ অনেকের জীবনের শেষ সঞ্চয় ছিল।

ঢাকা/এসএইচ