দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
- আপডেট: ০১:০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ১০২১০ বার দেখা হয়েছে
রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান এমডিবি’র অর্থ তছরুপ ও পাচার সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। বুধবার রাজাক এবং মামলার অপর আসামি ও মালয়েশিয়ার ট্রেজারি সেক্রেটারি জেনারেল ইরওয়ান সেরিগার আবদুল্লাহকে আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজাকের আইনজীবীরা। যদি তিনি অব্যাহতি না পেতেন এবং দোষী প্রমাণিত হতেন, সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে অন্তত ১২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হতো।
ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ বা ওয়ান এমডিবি নামের এই রাষ্ট্রীয় তহবিলটি গঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক তহবিলটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ৪৫০ কোটি ডলার খোয়া যায়। নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যাহার করে এবং কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে এই অর্থ তছরুপ ও পাচার করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে নাজিবকে এক নম্বর এবং ইরওয়ান সেরিগার আবদুল্লাহকে দ্বিতীয় আসামি করে মামলা হয় মালয়েশিয়ার নিম্ন আদালতে। ২০২০ সালে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। সেই রায়ে সেই রায়ে নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১ কোটি রিংগিত (৪৪৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়। ইরওয়ানকেও একই সাজা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্রে পরিণত পাকিস্তানের ইসলামাবাদ
নিম্ন আদালত রায় ঘোষণার তা বাতিল চেয়ে পর প্রথমে উচ্চ আদালত ও তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন নাজিবের আইনজীবীরা। তবে দু’ই আদালতই নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণার পর শেষ চেষ্টা হিসেবে চলতি বছর জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার রাজার কাছে ক্ষমাভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন নাজিব রাজাক। রাজার নেতৃত্বাধীন যে উচ্চপর্যায়ের পরিষদ রয়েছে, সেটিতে রয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। এ বোর্ড মূলত রাজাকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই বোর্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন কনে মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
নাজিবের আইনজীবীরা যদিও এ ব্যাপারে ভেঙে কিছু বলেননি, তবে ধারণা করা হচ্ছে— রাজার হস্তক্ষেপেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
এর আগে গত মাসে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন নাজিব। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, এই দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ তিনি ছিলেন না।
সূত্র: রয়টার্স
ঢাকা/এসএইচ