পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মোড় অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
- আপডেট: ০৩:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
- / ১০২৭০ বার দেখা হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে একটি গণপদযাত্রা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। গণপদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের একটি আল্টিমেটাম দেব। হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, দেশে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া দরকার তা জবিয়ানরা পায় না। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় সবার শেষের আগেরটা জবি, এরপর থাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কাজই হয়নি। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
ইউজিসির পাইলট প্রজেক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, পাইলট প্রজেক্টের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে শুরু হলে অবশ্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই শুরু করতে হবে।
এদিকে অবরোধের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটের যাওয়ার পাঁচটি মুখে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজারবাইজান গেলেন প্রধান উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো–
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
ঢাকা/এসএইচ