০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পুঁজিবাজার উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করল বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৫৮০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১১ সালে গঠিত ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রায় ৫ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই কমিটি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় তা রহিত করার সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির ওয়েবসাইট থেকেও এই উপদেষ্টা কমিটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠিত বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নির্দেশে এ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অর্ধমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে এ কমিটি গঠিত হয়। সে সময় উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব ছিলেন তৎকালীন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন।

২০১০ সালের শেষদিকে পঁজিবাজারে ধসের পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিএসইসিকে নতুন করে ঢেলে সাজায় সরকার। সে সময়ে ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন। টানা ৯ বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২০ সালের ১৪ মে তার মেয়াদ শেষ হয়।

এরপর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিএসইসির হাল ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। সে সময় পদাধিকাবলে ওই উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ২০২০ সালের ১৭ মে বিএসইসিতে যোগ দেন। পাঁচ বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাধ্য হলে পদত্যাগ করেন। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মেয়াদকালে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ উপদেষ্ট কমিটির তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায়নি।

২০১১ সালের ২৮ মার্চ একটি নির্দেশনা জারি করে ১৭ সদস্যের বিএসইসি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। তবে, এ উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রমের কোনো রেকর্ড না থাকায় উক্ত কমিটি রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, বিএসিইসির ওয়েবসাইট থেকে কমিটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

২০১১ সালের ২৮ মার্চ বিএসইসির তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং XVII) এর ধারা ২৭ এর বিধানের অধীনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হলো।

আরও পড়ুন: মশিউর সিকিউরিটিজের প্রতারণায় নিঃস্ব বিনিয়োগকারী

উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন- সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান (পূর্বর নাম), সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সকল সদস্য (বর্তমান পদ কমিশনার), অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক জন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জন ডেপুটি গভর্নর, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সভাপতি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিসএসই) সভাপতি, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ থেকে ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার এবং ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন।

উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রমের শর্ত হিসেবে উল্লেখ রয়েছে- দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত নীতির বিকল্প প্রস্তাব করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া, বিএসইসি দ্বারা উল্লেখ করা যেতে পারে এমন অন্য কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, উপদেষ্ট কমিটির যেকোনো সভায় বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো, উপদেষ্টা কমিটি কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় বিবেচিত যেকোনো সময় সভা করতে পারবে এবং উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এসইসির চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, পূর্বের উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করা হয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে বিএসইসি তা নতুন করে করবে।

অন্যদিকে, চলতি বছরের ১৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বিএসইসিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে মনিটরিং বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বাজারকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

পুঁজিবাজার উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করল বিএসইসি

আপডেট: ০৪:২২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১১ সালে গঠিত ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রায় ৫ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই কমিটি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় তা রহিত করার সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির ওয়েবসাইট থেকেও এই উপদেষ্টা কমিটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠিত বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নির্দেশে এ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অর্ধমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে এ কমিটি গঠিত হয়। সে সময় উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব ছিলেন তৎকালীন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন।

২০১০ সালের শেষদিকে পঁজিবাজারে ধসের পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিএসইসিকে নতুন করে ঢেলে সাজায় সরকার। সে সময়ে ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন। টানা ৯ বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২০ সালের ১৪ মে তার মেয়াদ শেষ হয়।

এরপর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিএসইসির হাল ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। সে সময় পদাধিকাবলে ওই উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ২০২০ সালের ১৭ মে বিএসইসিতে যোগ দেন। পাঁচ বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাধ্য হলে পদত্যাগ করেন। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মেয়াদকালে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ উপদেষ্ট কমিটির তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায়নি।

২০১১ সালের ২৮ মার্চ একটি নির্দেশনা জারি করে ১৭ সদস্যের বিএসইসি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। তবে, এ উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রমের কোনো রেকর্ড না থাকায় উক্ত কমিটি রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, বিএসিইসির ওয়েবসাইট থেকে কমিটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

২০১১ সালের ২৮ মার্চ বিএসইসির তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং XVII) এর ধারা ২৭ এর বিধানের অধীনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হলো।

আরও পড়ুন: মশিউর সিকিউরিটিজের প্রতারণায় নিঃস্ব বিনিয়োগকারী

উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন- সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান (পূর্বর নাম), সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সকল সদস্য (বর্তমান পদ কমিশনার), অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক জন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জন ডেপুটি গভর্নর, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সভাপতি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিসএসই) সভাপতি, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ থেকে ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার এবং ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন।

উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রমের শর্ত হিসেবে উল্লেখ রয়েছে- দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত নীতির বিকল্প প্রস্তাব করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া, বিএসইসি দ্বারা উল্লেখ করা যেতে পারে এমন অন্য কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, উপদেষ্ট কমিটির যেকোনো সভায় বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো, উপদেষ্টা কমিটি কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় বিবেচিত যেকোনো সময় সভা করতে পারবে এবং উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এসইসির চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, পূর্বের উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করা হয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে বিএসইসি তা নতুন করে করবে।

অন্যদিকে, চলতি বছরের ১৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বিএসইসিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে মনিটরিং বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বাজারকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ