১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মানুষের সম্মান রক্ষায় ইসলামের বিধান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০২৯২ বার দেখা হয়েছে

ইসলাম ধর্মে মানুষের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি বিধান মানুষের মর্যাদা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিশ্চিত করে। সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে মানুষের দোষ-ত্রুটি আড়াল করা এবং গোপন রাখাকে ইসলামের অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একইসঙ্গে, যদি সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেক্ষেত্রে তা প্রকাশের অনুমতি রয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী, মুসলিম ব্যক্তির উচিত সতর্ক থাকা, যাতে কারো মান-সম্মানহানি না ঘটে।

ইসলামের এই মানবিক ও নৈতিক শিক্ষা আমাদের শেখায়, শুধু অপরাধীকে শাস্তি দেওয়াই নয়, বরং তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া এবং সম্মান রক্ষার দায়িত্ব পালন করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য।  আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের মর্মন্তুদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৯)

ইমাম কুরতুবি (রহ.) এ আয়াতের অর্থ এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, যারা মুমিনদের থেকে এমন কথা ও আচরণ ছড়াতে চায়, যা পবিত্র নারী ও পুরুষদের সম্মানহানির কারণ হয়, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি রয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবি)

মানুষের সম্মান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যখন মুখে মুখে তা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন কথা বলছিলে, যার কোনো জ্ঞান তোমাদের ছিল না, তখন তোমরা এটিকে তুচ্ছ মনে করছিলে, যদিও আল্লাহর কাছে তা ছিল গুরুতর বিষয়।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৫)

ইসলাম মানুষের সম্মানহানিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছে, কিন্তু অন্তরে ঈমান মজবুত হয়নি!

আরও পড়ুন: ইতিহাসের এই দিনে স্মরণীয় যত ঘটনা

তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দেবে না, তাদের লজ্জিত করবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না। যে ব্যক্তি মুসলমান ভাইয়ের গোপন দোষ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেবেন, এবং যার দোষ আল্লাহ প্রকাশ করবেন, সে অপমানিত হবে, সে যতই লুকিয়ে থাকুক না কেন।’ (তিরমিজি, হাদিস ২০৩২)

ইসলামের মূলনীতি হলো, অপরাধ প্রমাণের আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কেন এ বিষয়ে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করেনি? যেহেতু তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, সেহেতু তারা আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৩)

সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া কোনো মুমিনের ব্যাপারে মন্দ ধারণা করা ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তারা তা শুনল, তখন মুমিন পুরুষ ও নারীরা কেন নিজেদের লোকদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করল না এবং বলল না, এটি তো সুস্পষ্ট অপবাদ।’ (সুরা নুর, আয়াত ১২)

একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যের দোষ-ত্রুটি আড়াল করা এবং এমন কোনো বিষয়ে চুপ থাকা, যা কারো সম্মানহানির কারণ হতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যখন এটি শুনেছিলে, তখন কেন বললে না, এ বিষয়ে কথা বলা আমাদের জন্য শোভন নয়; আল্লাহ পবিত্র, মহান! এটি তো এক গুরুতর অপবাদ।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৬) তবে যদি সমাজের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তখন দোষ প্রকাশ করা বৈধ।

যে ব্যক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস ৪৮৯৩)

মুমিনের নিজেরও দায়িত্ব রয়েছে সম্মান রক্ষা করার। যদি কেউ পাপ করে, তবে তা গোপন রাখবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করা হবে, তবে যারা তাদের পাপ প্রকাশ করে তারা ছাড়া।’ (বুখারি, হাদিস ৬০৬৯)

যদি কেউ পাপ করে তওবা করে, তবে তাকে গালমন্দ করা যাবে না। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী সেই ব্যক্তির মতো, যার কোনো গুনাহ নেই।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৪২৫০)

শাস্তি ভোগ করার পরও কাউকে গালমন্দ করা যাবে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এক ব্যক্তিকে আনা হলো, যিনি মদ পান করেছিলেন। প্রহার করার পর কেউ তাকে অভিশাপ দিলে রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এমন কথা বলো না, শয়তানকে এর বিরুদ্ধে সাহায্য কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস ৬৭৭৭)

ইসলামে মানুষের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো তার ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা এবং তার মান-মর্যাদা রক্ষা করা। ইসলাম শুধু গুনাহ থেকে বাঁচার পথই দেখায় না, বরং অন্যের ভুলত্রুটি আড়াল করার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার দিকনির্দেশনা দেয়।

তবে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে দোষ প্রকাশ করা অনুমোদনযোগ্য। একজন মুসলমান যদি তওবা করে, তবে তাকে দোষারোপ বা অপমান করা ইসলামের শিক্ষার পরিপন্থি।

ইসলামের এই মানবিক শিক্ষা মানুষকে সম্মানিত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে, যেখানে গুনাহ থেকে ফিরে আসার পথ খোলা থাকে এবং পারস্পরিক সম্মান রক্ষার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

মানুষের সম্মান রক্ষায় ইসলামের বিধান

আপডেট: ০৫:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

ইসলাম ধর্মে মানুষের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি বিধান মানুষের মর্যাদা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিশ্চিত করে। সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে মানুষের দোষ-ত্রুটি আড়াল করা এবং গোপন রাখাকে ইসলামের অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একইসঙ্গে, যদি সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেক্ষেত্রে তা প্রকাশের অনুমতি রয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী, মুসলিম ব্যক্তির উচিত সতর্ক থাকা, যাতে কারো মান-সম্মানহানি না ঘটে।

ইসলামের এই মানবিক ও নৈতিক শিক্ষা আমাদের শেখায়, শুধু অপরাধীকে শাস্তি দেওয়াই নয়, বরং তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া এবং সম্মান রক্ষার দায়িত্ব পালন করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য।  আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের মর্মন্তুদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৯)

ইমাম কুরতুবি (রহ.) এ আয়াতের অর্থ এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, যারা মুমিনদের থেকে এমন কথা ও আচরণ ছড়াতে চায়, যা পবিত্র নারী ও পুরুষদের সম্মানহানির কারণ হয়, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি রয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবি)

মানুষের সম্মান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যখন মুখে মুখে তা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন কথা বলছিলে, যার কোনো জ্ঞান তোমাদের ছিল না, তখন তোমরা এটিকে তুচ্ছ মনে করছিলে, যদিও আল্লাহর কাছে তা ছিল গুরুতর বিষয়।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৫)

ইসলাম মানুষের সম্মানহানিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছে, কিন্তু অন্তরে ঈমান মজবুত হয়নি!

আরও পড়ুন: ইতিহাসের এই দিনে স্মরণীয় যত ঘটনা

তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দেবে না, তাদের লজ্জিত করবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না। যে ব্যক্তি মুসলমান ভাইয়ের গোপন দোষ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেবেন, এবং যার দোষ আল্লাহ প্রকাশ করবেন, সে অপমানিত হবে, সে যতই লুকিয়ে থাকুক না কেন।’ (তিরমিজি, হাদিস ২০৩২)

ইসলামের মূলনীতি হলো, অপরাধ প্রমাণের আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কেন এ বিষয়ে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করেনি? যেহেতু তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, সেহেতু তারা আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৩)

সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া কোনো মুমিনের ব্যাপারে মন্দ ধারণা করা ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তারা তা শুনল, তখন মুমিন পুরুষ ও নারীরা কেন নিজেদের লোকদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করল না এবং বলল না, এটি তো সুস্পষ্ট অপবাদ।’ (সুরা নুর, আয়াত ১২)

একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যের দোষ-ত্রুটি আড়াল করা এবং এমন কোনো বিষয়ে চুপ থাকা, যা কারো সম্মানহানির কারণ হতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যখন এটি শুনেছিলে, তখন কেন বললে না, এ বিষয়ে কথা বলা আমাদের জন্য শোভন নয়; আল্লাহ পবিত্র, মহান! এটি তো এক গুরুতর অপবাদ।’ (সুরা নুর, আয়াত ১৬) তবে যদি সমাজের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তখন দোষ প্রকাশ করা বৈধ।

যে ব্যক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস ৪৮৯৩)

মুমিনের নিজেরও দায়িত্ব রয়েছে সম্মান রক্ষা করার। যদি কেউ পাপ করে, তবে তা গোপন রাখবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করা হবে, তবে যারা তাদের পাপ প্রকাশ করে তারা ছাড়া।’ (বুখারি, হাদিস ৬০৬৯)

যদি কেউ পাপ করে তওবা করে, তবে তাকে গালমন্দ করা যাবে না। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী সেই ব্যক্তির মতো, যার কোনো গুনাহ নেই।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৪২৫০)

শাস্তি ভোগ করার পরও কাউকে গালমন্দ করা যাবে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এক ব্যক্তিকে আনা হলো, যিনি মদ পান করেছিলেন। প্রহার করার পর কেউ তাকে অভিশাপ দিলে রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এমন কথা বলো না, শয়তানকে এর বিরুদ্ধে সাহায্য কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস ৬৭৭৭)

ইসলামে মানুষের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো তার ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা এবং তার মান-মর্যাদা রক্ষা করা। ইসলাম শুধু গুনাহ থেকে বাঁচার পথই দেখায় না, বরং অন্যের ভুলত্রুটি আড়াল করার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার দিকনির্দেশনা দেয়।

তবে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে দোষ প্রকাশ করা অনুমোদনযোগ্য। একজন মুসলমান যদি তওবা করে, তবে তাকে দোষারোপ বা অপমান করা ইসলামের শিক্ষার পরিপন্থি।

ইসলামের এই মানবিক শিক্ষা মানুষকে সম্মানিত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে, যেখানে গুনাহ থেকে ফিরে আসার পথ খোলা থাকে এবং পারস্পরিক সম্মান রক্ষার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/এসএইচ