০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

রোজা অবস্থায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৩১০ বার দেখা হয়েছে

রমজান মাস বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কোরআন মানবতার মুক্তির সনদ। সুন্দরভাবে রমজান মাস কাটানো প্রতিটি মুমিনের আরাধ্য স্বপ্ন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকে জানতে চেয়েছেন, রোজা অবস্থায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কিছু মানুষের ধারণা, রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তার কাজা করতে হবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হলেও রোজা ভাঙবে না, কাজাও আদায় করতে হবে না। তবে হাঁ, কেউ যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা আদায় করতে হবে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ

অর্থ: যার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়ে যায় তাকে কাজা আদায় করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোজা ভাঙবে না)। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাজা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোজা ভেঙে যাবে)। (তিরমিজি, হাদিস: ৭২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৭৬)

আরও পড়ুন: রমজানে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা যাবে?

অনেকের ভুল ধারণা আছে যে, রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তার কাজা করতে হবে। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হওয়ার পর এ ধারণার কারণে রোজা ভেঙে গেছে মনে করে যদি ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা ওয়াজিব হবে না। আর ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে, বমি মুখে চলে আসর পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, শুধু কাজা করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রোজা অবস্থায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?

আপডেট: ১১:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

রমজান মাস বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কোরআন মানবতার মুক্তির সনদ। সুন্দরভাবে রমজান মাস কাটানো প্রতিটি মুমিনের আরাধ্য স্বপ্ন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকে জানতে চেয়েছেন, রোজা অবস্থায় বমি হলে কি রোজা ভেঙে যায়?

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কিছু মানুষের ধারণা, রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তার কাজা করতে হবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হলেও রোজা ভাঙবে না, কাজাও আদায় করতে হবে না। তবে হাঁ, কেউ যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা আদায় করতে হবে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ

অর্থ: যার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়ে যায় তাকে কাজা আদায় করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোজা ভাঙবে না)। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাজা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোজা ভেঙে যাবে)। (তিরমিজি, হাদিস: ৭২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৭৬)

আরও পড়ুন: রমজানে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা যাবে?

অনেকের ভুল ধারণা আছে যে, রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তার কাজা করতে হবে। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হওয়ার পর এ ধারণার কারণে রোজা ভেঙে গেছে মনে করে যদি ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা ওয়াজিব হবে না। আর ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে, বমি মুখে চলে আসর পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, শুধু কাজা করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ