১০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানির পতনে ধুঁকছে পুঁজিবাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৭৮ বার দেখা হয়েছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল শেয়ারদর ও মূল্যসূচক।

তবে বিনিয়োগে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ না থাকায় শেষ পর্যন্ত শেয়ার দর হারিয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি। পরিণতিতে দর ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফার দিকে না তাকিয়ে শেয়ার বিক্রির চেষ্টায় ছিলেন। এতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্যমতে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৪১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমেছে। সূচকটি আজ বাজার শেষে ৫ হাজার ৭৩৬ পয়েন্টে দাড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইর শরীয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসইতে আজ মোট ৭৯৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে মোট ৩৯৮ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৫টিরই শেয়ারের দাম কমেছে। দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮টির এবং বাকি ১৪ কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে কারসাজির শঙ্কা: তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাত সংস্কার এবং পুঁজিবাজারে আস্থা পুনরুদ্ধার করা ছিল অর্থনীতির মূল চ্যালেঞ্জ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দেড় মাসে সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অর্থবাজারে কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে। কিন্তু, পুঁজিবাজারের চিত্র এখনো আগের অবস্থানে আছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য গভর্নর হিসেবে অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দেওয়া হয়েছে পুঁজিবাজারের দায়িত্ব। ব্যাংক খাত অভিজ্ঞ অভিভাবক পেলেও পুঁজিবাজার যোগ্য নীতিনির্ধারক পায়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বিএসইসি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কিন্তু, ইতোমধ্যে বিএসইসি’র নতুন কমিশনের বেশকিছু ভুল সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এমনকি, কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষতা ও বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফলে, পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরার পরিবর্তে বিএসইসি’র সঙ্গে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কাল থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে ২৭ কোম্পানি

তারা আরো বলছেন, বর্তমান কমিশন হয়ত সবাইকে দুর্নীতিবাজ বা খারাপ ভাবছে। অভিভাবক হিসেবে তারা যা করছেন, তা-ই ঠিক; অন্যদের কথা শোনা বা পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই, এমনটা ভাবা হবে খুবই ভুল সিদ্ধান্ত। এমন চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানির পতনে ধুঁকছে পুঁজিবাজার

আপডেট: ০৫:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল শেয়ারদর ও মূল্যসূচক।

তবে বিনিয়োগে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ না থাকায় শেষ পর্যন্ত শেয়ার দর হারিয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি। পরিণতিতে দর ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফার দিকে না তাকিয়ে শেয়ার বিক্রির চেষ্টায় ছিলেন। এতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্যমতে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৪১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমেছে। সূচকটি আজ বাজার শেষে ৫ হাজার ৭৩৬ পয়েন্টে দাড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইর শরীয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসইতে আজ মোট ৭৯৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে মোট ৩৯৮ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৫টিরই শেয়ারের দাম কমেছে। দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮টির এবং বাকি ১৪ কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে কারসাজির শঙ্কা: তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাত সংস্কার এবং পুঁজিবাজারে আস্থা পুনরুদ্ধার করা ছিল অর্থনীতির মূল চ্যালেঞ্জ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দেড় মাসে সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অর্থবাজারে কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে। কিন্তু, পুঁজিবাজারের চিত্র এখনো আগের অবস্থানে আছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য গভর্নর হিসেবে অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দেওয়া হয়েছে পুঁজিবাজারের দায়িত্ব। ব্যাংক খাত অভিজ্ঞ অভিভাবক পেলেও পুঁজিবাজার যোগ্য নীতিনির্ধারক পায়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বিএসইসি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কিন্তু, ইতোমধ্যে বিএসইসি’র নতুন কমিশনের বেশকিছু ভুল সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এমনকি, কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষতা ও বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফলে, পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরার পরিবর্তে বিএসইসি’র সঙ্গে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কাল থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে ২৭ কোম্পানি

তারা আরো বলছেন, বর্তমান কমিশন হয়ত সবাইকে দুর্নীতিবাজ বা খারাপ ভাবছে। অভিভাবক হিসেবে তারা যা করছেন, তা-ই ঠিক; অন্যদের কথা শোনা বা পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই, এমনটা ভাবা হবে খুবই ভুল সিদ্ধান্ত। এমন চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

ঢাকা/এসআর