০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

অডিটরের চোখে মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের যতো অনিয়ম!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১
  • / ৪২৪৩ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ২০১৯-২০২০ সালের ৩০ জুন এর  আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে অডিটর। সোমবার (০৮ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মোজাফ্ফর হোসাইন ২০১৯-২০২০ সালে স্থায়ী সম্পদের দর পুনর্মূল্যায়ন করেনি। নিয়ম অনুসারে আর্থিক হিসাবে দেখানো স্থায়ী সম্পদের দর ও বাজার দরের মধ্যে যেন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য না হয়, সে কারণে সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন (রিভ্যালুয়েশন) করতে হয়। কিন্তু কোম্পানি এটি করেনি। কোম্পানি শুধু ২০১৯ সালেই নয়, ২০১১ সাল থেকে সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেনি।

শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মোজাফ্ফর হোসাইনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। কোম্পানি সর্বশেষ বছরের লোকসান দেখিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে শুধু বিনিয়োগকারীদের মালিকানা রয়েছে ৬০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাকি শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।

৩০ জুন ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দেখানো হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। যা এর আগের বছরের এই সময় ছিল ৯৫ পয়সা। তাতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিপ্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১৫ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি নতুন অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান অনেক কমিয়ে এনেছে। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ পয়সায়। তবে ছয় মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৯ পয়সা।

আরও পড়ু্ন:

শেয়ার করুন

x
English Version

অডিটরের চোখে মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের যতো অনিয়ম!

আপডেট: ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ২০১৯-২০২০ সালের ৩০ জুন এর  আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে অডিটর। সোমবার (০৮ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মোজাফ্ফর হোসাইন ২০১৯-২০২০ সালে স্থায়ী সম্পদের দর পুনর্মূল্যায়ন করেনি। নিয়ম অনুসারে আর্থিক হিসাবে দেখানো স্থায়ী সম্পদের দর ও বাজার দরের মধ্যে যেন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য না হয়, সে কারণে সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন (রিভ্যালুয়েশন) করতে হয়। কিন্তু কোম্পানি এটি করেনি। কোম্পানি শুধু ২০১৯ সালেই নয়, ২০১১ সাল থেকে সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেনি।

শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মোজাফ্ফর হোসাইনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। কোম্পানি সর্বশেষ বছরের লোকসান দেখিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে শুধু বিনিয়োগকারীদের মালিকানা রয়েছে ৬০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাকি শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।

৩০ জুন ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দেখানো হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। যা এর আগের বছরের এই সময় ছিল ৯৫ পয়সা। তাতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিপ্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১৫ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি নতুন অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান অনেক কমিয়ে এনেছে। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ পয়সায়। তবে ছয় মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৯ পয়সা।

আরও পড়ু্ন: