০৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

অবশেষে চাঁদের পথে জাপানের মহাকাশযান স্লিম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

তিনবার বিলম্বের পর অবশেষে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো জাপানের মহাকাশযান স্লিম। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে চড়ে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে যাত্রা শুরু করেছে জাপানি মহাকাশযানটি। এর ফলে চন্দ্রজয় করা পঞ্চম দেশ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জাপানের সামনে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম)-কে উন্মুক্ত করেছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত মাসে এক সপ্তাহে তিনবার স্থগিত করা হয়েছিল জাপানি মহাকাশযানের মহাকাশযাত্রা।

জাপানের লক্ষ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডারকে অবতরণ করানো। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাকাশযানটি চাঁদে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পে জাপানের খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রায়)।

চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণের মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই এই চন্দ্রাভিযান শুরু করলো জাপান। ওই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত।

এর আগে, গত বছর চাঁদে অবতরণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল জাপানের। গত নভেম্বরে ওমোতেনাশি ল্যান্ডারের সঙ্গে জাক্সার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভেস্তে যায় চাঁদে অবতরণের চেষ্টা। এছাড়া এপ্রিল মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় বিধ্বস্ত হয় জাপানি স্টার্টআপ ইস্পেসের তৈরি হাকুটো-আর মিশন ১ ল্যান্ডারটি।

আরও পড়ুন: সমর্থন জোরদারে কিয়েভ সফরে ব্লিঙ্কেন, সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

বৃহস্পতিবারের এইচ-আইআইএ রকেটটি ল্যান্ডারের পাশাপাশি এক্স-রে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সআরআইএসএম) স্যাটেলাইটও বহন করছে। এটি জাক্সা, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি যৌথ প্রকল্প।

রকেটটি তৈরি তরেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উড্ডয়নও পরিচালনা করেছে তারা। এ নিয়ে ২০০১ সালের পর থেকে ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান। মহাকাশযানটির এবারের চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

অবশেষে চাঁদের পথে জাপানের মহাকাশযান স্লিম

আপডেট: ১২:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তিনবার বিলম্বের পর অবশেষে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো জাপানের মহাকাশযান স্লিম। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে চড়ে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে যাত্রা শুরু করেছে জাপানি মহাকাশযানটি। এর ফলে চন্দ্রজয় করা পঞ্চম দেশ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জাপানের সামনে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম)-কে উন্মুক্ত করেছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত মাসে এক সপ্তাহে তিনবার স্থগিত করা হয়েছিল জাপানি মহাকাশযানের মহাকাশযাত্রা।

জাপানের লক্ষ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডারকে অবতরণ করানো। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাকাশযানটি চাঁদে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পে জাপানের খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রায়)।

চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণের মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই এই চন্দ্রাভিযান শুরু করলো জাপান। ওই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত।

এর আগে, গত বছর চাঁদে অবতরণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল জাপানের। গত নভেম্বরে ওমোতেনাশি ল্যান্ডারের সঙ্গে জাক্সার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভেস্তে যায় চাঁদে অবতরণের চেষ্টা। এছাড়া এপ্রিল মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় বিধ্বস্ত হয় জাপানি স্টার্টআপ ইস্পেসের তৈরি হাকুটো-আর মিশন ১ ল্যান্ডারটি।

আরও পড়ুন: সমর্থন জোরদারে কিয়েভ সফরে ব্লিঙ্কেন, সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

বৃহস্পতিবারের এইচ-আইআইএ রকেটটি ল্যান্ডারের পাশাপাশি এক্স-রে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সআরআইএসএম) স্যাটেলাইটও বহন করছে। এটি জাক্সা, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি যৌথ প্রকল্প।

রকেটটি তৈরি তরেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উড্ডয়নও পরিচালনা করেছে তারা। এ নিয়ে ২০০১ সালের পর থেকে ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান। মহাকাশযানটির এবারের চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এসএম