০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৪৬২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লাকডাউনে তফসিলি সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজন পড়লে স্থল, বিমান ও সুমদ্রবন্দর এলাকায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা কর্তৃপক্ষ চাইলে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে এডি শাখা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খুলতে পারবে।

এরই ধারাবাহিকতায় লকডাউনে বন্ধ থাকছে শেয়ারবাজারও। আজ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামও। তিনি বলেছিলেনন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।’

এর আগে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলের ওপর আট দিনের বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ আরোপ করে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

এতে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

নির্দেশনায় যেসব কথা বলা হয়, তার মধ্যে রয়েছে শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

এছাড়া আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

ঢাকা/জেএইচ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

অবশেষে লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট: ০৬:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লাকডাউনে তফসিলি সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজন পড়লে স্থল, বিমান ও সুমদ্রবন্দর এলাকায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা কর্তৃপক্ষ চাইলে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে এডি শাখা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খুলতে পারবে।

এরই ধারাবাহিকতায় লকডাউনে বন্ধ থাকছে শেয়ারবাজারও। আজ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামও। তিনি বলেছিলেনন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।’

এর আগে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলের ওপর আট দিনের বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ আরোপ করে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

এতে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

নির্দেশনায় যেসব কথা বলা হয়, তার মধ্যে রয়েছে শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

এছাড়া আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

ঢাকা/জেএইচ

আরও পড়ুন: