০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে শিথিল হলো করপোরেট কর সুবিধার শর্ত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ৪১৭৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ শতাংশ (১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তর), অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার দাঁড়াবে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটে এসব শ্রেণির করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কর সুবিধা পেতে হলে ওই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে বছরের ১২ লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা খরচ করতে পারবে না- এমন শর্ত দেওয়া হয়। এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

এতে এই সীমা বছরে ৩৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। ৩৬ লাখ টাকার বেশি বাকি অর্থ লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে। এ ছাড়া একক লেনদেন পাঁচ লাখ টাকার বেশি হলেও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

বুধবার (২৯ জুন) অর্থবিল পাসের সময় এই সংশোধন করা হয়। এই দুটি শর্ত পূরণ করলেই কেবল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য সাড়ে ২২ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরট কর হার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ শতাংশ করপোরেট কর আরোপ হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কিন্তু নতুন হারে করপোরেট কর দেওয়ার সুবিধা পেতে বেশ কিছু কঠিন শর্তের কথা বলা হয়। যা নিয়ে দ্বিমত করে আসছিল ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট মহল। করপোরেট কর হ্রাসের সুবিধা পেতে শর্ত শিথিলসহ বেশ কিছু সংশোধনী এনে প্রস্তাবিত অর্থবিল পাস হচ্ছে।

এছাড়া, পাচার করা টাকা দেশে না আনলে বৈধ করা যাবে না। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ আনলে ৭ শতাংশ কর দিয়ে তা কর নথিতে দেখালেই বৈধ হয়ে যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) অন্য কোনো সংস্থা এই বিষয়ে প্রশ্ন করবে না। বিদেশে বাড়ি-গাড়ির মতো সম্পদ এবং অর্থ দেশে না এনে শুধু কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশে সম্পদ বা অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি হিসেবে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করার ক্ষমতা কর কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট ঘোষণার সময় পাচার করা অর্থ বা সম্পদ বৈধ করার তিন ধরনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২২ সালের অর্থবিল পাসের সময় এই সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যে দুটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা হলো-বিদেশে অবস্থিত অস্থাবর সম্পত্তি (অর্থ, গয়না ইত্যাদি) বাংলাদেশে না আনলে এর ওপর ১০ শতাংশ কর এবং বিদেশে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে ওই সম্পদের মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করার প্রস্তাব। উল্লেখ্য, আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ এফ ধারায় এই দুটি সংশোধনী আনা হয়।

এছাড়া, সব সেবার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন (করদাতা শরাক্তকরণ নম্বর) যুক্ত করে রিটার্ন দাখিলের যে বাধ্যবাধকতা ছিল তাতেও ছাড় দেয়া হয়েছে। কেবল ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

অবশেষে শিথিল হলো করপোরেট কর সুবিধার শর্ত

আপডেট: ১০:৫৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ শতাংশ (১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তর), অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার দাঁড়াবে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটে এসব শ্রেণির করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কর সুবিধা পেতে হলে ওই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে বছরের ১২ লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা খরচ করতে পারবে না- এমন শর্ত দেওয়া হয়। এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

এতে এই সীমা বছরে ৩৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। ৩৬ লাখ টাকার বেশি বাকি অর্থ লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে। এ ছাড়া একক লেনদেন পাঁচ লাখ টাকার বেশি হলেও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

বুধবার (২৯ জুন) অর্থবিল পাসের সময় এই সংশোধন করা হয়। এই দুটি শর্ত পূরণ করলেই কেবল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য সাড়ে ২২ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরট কর হার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ শতাংশ করপোরেট কর আরোপ হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কিন্তু নতুন হারে করপোরেট কর দেওয়ার সুবিধা পেতে বেশ কিছু কঠিন শর্তের কথা বলা হয়। যা নিয়ে দ্বিমত করে আসছিল ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট মহল। করপোরেট কর হ্রাসের সুবিধা পেতে শর্ত শিথিলসহ বেশ কিছু সংশোধনী এনে প্রস্তাবিত অর্থবিল পাস হচ্ছে।

এছাড়া, পাচার করা টাকা দেশে না আনলে বৈধ করা যাবে না। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ আনলে ৭ শতাংশ কর দিয়ে তা কর নথিতে দেখালেই বৈধ হয়ে যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) অন্য কোনো সংস্থা এই বিষয়ে প্রশ্ন করবে না। বিদেশে বাড়ি-গাড়ির মতো সম্পদ এবং অর্থ দেশে না এনে শুধু কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশে সম্পদ বা অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি হিসেবে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করার ক্ষমতা কর কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট ঘোষণার সময় পাচার করা অর্থ বা সম্পদ বৈধ করার তিন ধরনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২২ সালের অর্থবিল পাসের সময় এই সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যে দুটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা হলো-বিদেশে অবস্থিত অস্থাবর সম্পত্তি (অর্থ, গয়না ইত্যাদি) বাংলাদেশে না আনলে এর ওপর ১০ শতাংশ কর এবং বিদেশে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে ওই সম্পদের মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করার প্রস্তাব। উল্লেখ্য, আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ এফ ধারায় এই দুটি সংশোধনী আনা হয়।

এছাড়া, সব সেবার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন (করদাতা শরাক্তকরণ নম্বর) যুক্ত করে রিটার্ন দাখিলের যে বাধ্যবাধকতা ছিল তাতেও ছাড় দেয়া হয়েছে। কেবল ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ঢাকা/টিএ