০৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৮৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে অপসারন করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ন সচিব বরাবরও রুল ইস্যু করা হয়েছে।

বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদীর জনস্বার্থে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মুস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান।

রুলে বলা হয়েছে, আইডিআরএ চেয়ারম্যান ২০১৭ সালের ৯ মে ‘লাভস অ্যান্ড লাইভ অর্গানিকস লি:’ নামে একটি কোম্পানি আরজেএসসিতে নিবন্ধন করেন। যার পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজে এবং স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়াকে পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

এরপরে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘গুলশান ভ্যালি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি:’ নামে আরেকটি কোম্পানি নিবন্ধন করেন। এটারও পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজে এবং স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়াকে পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্তু আইডিআরএ আইন, ২০১০ অনুযায়ি, কোন ব্যক্তি কোন কোম্পানির বা সংস্থার পরিচালক বা অন্য কোন পদে নিযুক্ত থাকলে, তিনি কর্তৃপক্ষের সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না।

ওই আইনের ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ি, কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি বীমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোন সংস্থার বা উক্তরুপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোন কোম্পানি বা সংস্থার (সরকারি বা বেসরকারি) পরিচালক বা অন্য কোন পদে নিযুক্ত থাকেন।

এদিকে ১৪ ধারার উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকার আইডিআরএর চেয়ারম্যান বা যেকোন সদস্যকে অপসারন করতে পারবে, যদি তিনি (গ) এই আইনের অধীন চেয়ারম্যান বা সদস্য থাকার অযোগ্য হয়ে পড়েন।

(২) উপধারা (১) এ বর্ণিত কারনে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে তার পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য মনে করলে, সরকার উক্ত কারনের যথার্থতা যাচাই করবার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং তদন্ত দাখিলের সময়সীমাও নির্ধারন করে দেবে।

এই আইনের পরেও দুটি কোম্পানির পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে আইডিআরএ আইন ২০২০ এর ৭(৩)(খ) ধারার লঙ্ঘন করে মোশাররফ সদস্য ও চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন বলে রুলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই দুই কোম্পানিতে এখনো নিয়োজিত আছেন বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ড. মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে আইডিআরএর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। এরপরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

আপডেট: ০৭:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে অপসারন করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ন সচিব বরাবরও রুল ইস্যু করা হয়েছে।

বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদীর জনস্বার্থে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মুস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান।

রুলে বলা হয়েছে, আইডিআরএ চেয়ারম্যান ২০১৭ সালের ৯ মে ‘লাভস অ্যান্ড লাইভ অর্গানিকস লি:’ নামে একটি কোম্পানি আরজেএসসিতে নিবন্ধন করেন। যার পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজে এবং স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়াকে পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

এরপরে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘গুলশান ভ্যালি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি:’ নামে আরেকটি কোম্পানি নিবন্ধন করেন। এটারও পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজে এবং স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়াকে পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্তু আইডিআরএ আইন, ২০১০ অনুযায়ি, কোন ব্যক্তি কোন কোম্পানির বা সংস্থার পরিচালক বা অন্য কোন পদে নিযুক্ত থাকলে, তিনি কর্তৃপক্ষের সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না।

ওই আইনের ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ি, কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি বীমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোন সংস্থার বা উক্তরুপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোন কোম্পানি বা সংস্থার (সরকারি বা বেসরকারি) পরিচালক বা অন্য কোন পদে নিযুক্ত থাকেন।

এদিকে ১৪ ধারার উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকার আইডিআরএর চেয়ারম্যান বা যেকোন সদস্যকে অপসারন করতে পারবে, যদি তিনি (গ) এই আইনের অধীন চেয়ারম্যান বা সদস্য থাকার অযোগ্য হয়ে পড়েন।

(২) উপধারা (১) এ বর্ণিত কারনে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে তার পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য মনে করলে, সরকার উক্ত কারনের যথার্থতা যাচাই করবার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং তদন্ত দাখিলের সময়সীমাও নির্ধারন করে দেবে।

এই আইনের পরেও দুটি কোম্পানির পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে আইডিআরএ আইন ২০২০ এর ৭(৩)(খ) ধারার লঙ্ঘন করে মোশাররফ সদস্য ও চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন বলে রুলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই দুই কোম্পানিতে এখনো নিয়োজিত আছেন বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ড. মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে আইডিআরএর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। এরপরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।

ঢাকা/এসআর