০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আমাদের দেশে গুম বলে কোনো শব্দ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা আগে হলেও এখন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সরকার তা তদন্ত করবে।

রোববার সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন জানান, আমরা বলেছি— গুম বলে আমাদের দেশে কোনো শব্দ নেই। কিছু কিছু লোক নাকি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, সরকার নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ জনকে দেখা যায় পাওয়া গেছে। বাকিগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না তারা কোথায় গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে তারা বলেনি। আমরা নিজে থেকে বলেছি। এ রকম বলা হয়েছে যে, কিছু লোককে কিলিং করা হয়েছে। আমাদের এখানে আগে হতো এটা- ২০০০, ২০০৩ ওই সময়ে। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে তদন্ত করা হবে। 

মন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় প্রতি বছর পুলিশ হাজারখানেক লোককে মেরে ফেলে। আমাদের দেশে আগে হতো – ২০০২ বা ২০০৩ বা পরে– এবং ওই সময় হার্টফেল হতো কিন্তু এখন আর হার্টফেল নেই।

আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের (জাতিসংঘ) ধারণা বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নেই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না। তাদের (গণমাধ্যম) সেন্সর করে। আমি বলেছি, আমার এমন কিছু জানা নেই। আমি তো দেখি আমাদের মিডিয়া ভেরি স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন একটা কথা বললেই ধরে ফেলে। 

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ খুব উদ্বিগ্ন এবং এ সমস্যা সমাধানে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলেও উল্লেখ করেন মোমেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি রোহিঙ্গা আগেও এসেছিল বহুবার এবং ফেরত গেছে। এবারে সংখ্যা বেশি। তবে দুঃখের বিষয় যারা মানবাধিকারের জন্য শান্তি পুরস্কার পেয়েছে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আগের মতো সম্পর্ক বজায় রাখছে। চুটিয়ে ব্যবসা করছে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যবসা ১৫ গুণ বেড়েছে। শুধু যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বেড়েছে ১০০ গুণ। বিনিয়োগ হয়েছে গত ৫-৬ বছরে ২৩০ কোটি ডলার। আমরা বলেছি আপনারা রাখাইনে গিয়ে সাহায্য করেন। 

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

আমাদের দেশে গুম বলে কোনো শব্দ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:৪১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা আগে হলেও এখন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সরকার তা তদন্ত করবে।

রোববার সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন জানান, আমরা বলেছি— গুম বলে আমাদের দেশে কোনো শব্দ নেই। কিছু কিছু লোক নাকি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, সরকার নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ জনকে দেখা যায় পাওয়া গেছে। বাকিগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না তারা কোথায় গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে তারা বলেনি। আমরা নিজে থেকে বলেছি। এ রকম বলা হয়েছে যে, কিছু লোককে কিলিং করা হয়েছে। আমাদের এখানে আগে হতো এটা- ২০০০, ২০০৩ ওই সময়ে। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে তদন্ত করা হবে। 

মন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় প্রতি বছর পুলিশ হাজারখানেক লোককে মেরে ফেলে। আমাদের দেশে আগে হতো – ২০০২ বা ২০০৩ বা পরে– এবং ওই সময় হার্টফেল হতো কিন্তু এখন আর হার্টফেল নেই।

আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের (জাতিসংঘ) ধারণা বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নেই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না। তাদের (গণমাধ্যম) সেন্সর করে। আমি বলেছি, আমার এমন কিছু জানা নেই। আমি তো দেখি আমাদের মিডিয়া ভেরি স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন একটা কথা বললেই ধরে ফেলে। 

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ খুব উদ্বিগ্ন এবং এ সমস্যা সমাধানে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলেও উল্লেখ করেন মোমেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি রোহিঙ্গা আগেও এসেছিল বহুবার এবং ফেরত গেছে। এবারে সংখ্যা বেশি। তবে দুঃখের বিষয় যারা মানবাধিকারের জন্য শান্তি পুরস্কার পেয়েছে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আগের মতো সম্পর্ক বজায় রাখছে। চুটিয়ে ব্যবসা করছে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যবসা ১৫ গুণ বেড়েছে। শুধু যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বেড়েছে ১০০ গুণ। বিনিয়োগ হয়েছে গত ৫-৬ বছরে ২৩০ কোটি ডলার। আমরা বলেছি আপনারা রাখাইনে গিয়ে সাহায্য করেন। 

ঢাকা/টিএ