১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ইউক্রেনীয় বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে: পুতিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১২০ বার দেখা হয়েছে

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বর্তমান ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসী বাহিনীর ‘তেমন কোনো তফাৎ নেই’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। খবর তাসের

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘এভরিথিং ফর ভিক্টরি’ নামের একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তুলায় গিয়েছিলেন পুতিন। সেখানে এক বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী দিন দিন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। রুশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পরিবর্তে দোনেৎস্ক-লুহানস্ক-ঝাপোরিজ্জিয়া-খেরসনের বেসামরিক লোকজন ও স্থাপনাগুলোতে হামলায় তাদের উৎসাহ বেশি বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কয়েকটি ট্যাংক ঢুকেছিল, সেখানে তাদের এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে বেশ কয়েকজন কয়েকজন নিহত হয়েছে। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ছিল।

পুতিন প্রশ্ন করেন, সব কি নব্যনাৎসীবাদ নয়? সাধারণ বেসামরিকদের ওপর হামলা করে কী অর্জন করতে পারবে তারা? একমাত্র সন্ত্রাসীদের পক্ষেই এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ইউক্রেনের সঙ্গে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থায় সম্পূর্ণরূপে ঢুকে পড়েছে হামাস: নেতানিয়াহু

যুদ্ধের প্রথম দিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষয় পেতে থাকে। এর মধ্যে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়া প্রদেশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ।

রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে সর্বশেষ মরিয়া চেষ্টা হিসেবে গত জুন থেকে কাউন্টার অফেন্সিভ বা সর্বশক্তি দিয়ে রুশ বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার রণকৌশল অনুসরণ করছে ইউক্রেন, কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

ইউক্রেনীয় বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে: পুতিন

আপডেট: ০৫:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বর্তমান ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসী বাহিনীর ‘তেমন কোনো তফাৎ নেই’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। খবর তাসের

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘এভরিথিং ফর ভিক্টরি’ নামের একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তুলায় গিয়েছিলেন পুতিন। সেখানে এক বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী দিন দিন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। রুশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পরিবর্তে দোনেৎস্ক-লুহানস্ক-ঝাপোরিজ্জিয়া-খেরসনের বেসামরিক লোকজন ও স্থাপনাগুলোতে হামলায় তাদের উৎসাহ বেশি বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কয়েকটি ট্যাংক ঢুকেছিল, সেখানে তাদের এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে বেশ কয়েকজন কয়েকজন নিহত হয়েছে। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ছিল।

পুতিন প্রশ্ন করেন, সব কি নব্যনাৎসীবাদ নয়? সাধারণ বেসামরিকদের ওপর হামলা করে কী অর্জন করতে পারবে তারা? একমাত্র সন্ত্রাসীদের পক্ষেই এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ইউক্রেনের সঙ্গে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থায় সম্পূর্ণরূপে ঢুকে পড়েছে হামাস: নেতানিয়াহু

যুদ্ধের প্রথম দিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষয় পেতে থাকে। এর মধ্যে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়া প্রদেশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ।

রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে সর্বশেষ মরিয়া চেষ্টা হিসেবে গত জুন থেকে কাউন্টার অফেন্সিভ বা সর্বশক্তি দিয়ে রুশ বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার রণকৌশল অনুসরণ করছে ইউক্রেন, কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না।

ঢাকা/এসএইচ