০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইভ্যালির রাসেল ফের রিমান্ডে, শামীমা কারাগারে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের ফের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন গুলশান থানার প্রতারণার মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। রাসেল ও শামীমা দম্পতিকে ধানমন্ডি থানায় একজন গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির একজন গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়।

‘পণ্যগুলো ৭-৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগের মাধ্যমে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা।’

এতে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান তারা। এসময় এমডি রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করেন। একপর্যায়ে অফিসের ভেতরে অবস্থান করা রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ভয়-ভীতি ও হুমকিসহ তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। এতে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন এবং পণ্য বুঝে না পাওয়ায় আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মামলার এজাহারে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অপরাধের কথা বলা হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ধারাগুলো হচ্ছে—৪২০, ৫০৬ ও ৪০৬।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

আগ্রহ হারানোর তালিকায় যেসব কোম্পানির শেয়ার

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় যেসব কোম্পানির শেয়ার

সূচকের উত্থানের সাথে বেড়েছে লেনদেনও

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

ইভ্যালির রাসেল ফের রিমান্ডে, শামীমা কারাগারে

আপডেট: ০৪:০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের ফের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন গুলশান থানার প্রতারণার মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। রাসেল ও শামীমা দম্পতিকে ধানমন্ডি থানায় একজন গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির একজন গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়।

‘পণ্যগুলো ৭-৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগের মাধ্যমে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা।’

এতে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান তারা। এসময় এমডি রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করেন। একপর্যায়ে অফিসের ভেতরে অবস্থান করা রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ভয়-ভীতি ও হুমকিসহ তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। এতে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন এবং পণ্য বুঝে না পাওয়ায় আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মামলার এজাহারে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অপরাধের কথা বলা হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ধারাগুলো হচ্ছে—৪২০, ৫০৬ ও ৪০৬।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

আগ্রহ হারানোর তালিকায় যেসব কোম্পানির শেয়ার

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় যেসব কোম্পানির শেয়ার

সূচকের উত্থানের সাথে বেড়েছে লেনদেনও