১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইস্যু ম্যানেজমেন্টে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা চায় বিএমবিএ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, পরিচালনা পর্ষদ, সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক এবং ইস্যু ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ইস্যু ব্যবস্থাপনা বিএসইসির কার্যকর পদ্ধতি ও নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সেক্রেটারি রিয়াদ মতিন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএমবিএর আবেদনে বলা হয়েছে, বিএসইসির সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজ এবং বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ইস্যুকারী কোম্পানি, ইস্যুয়ার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক এবং ইস্যু ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে কমিশনের উদ্যোগের প্রশংসা করছি, যা ভবিষ্যতে অনিয়ম কমাতে পারে। এই বিষয়ে আমরা বলতে চাই, ইস্যু ম্যানেজমেন্টের কাজগুলো করতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সব প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথিপত্র ইস্যুকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে। এর মধ্যে আছে—নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ব্যাংকের নথি, নিয়ন্ত্রকের লাইসেন্স ও বিভিন্ন প্রত্যয়নের অনুলিপি। এছাড়া, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কোম্পানির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ, ম্যানেজমেন্ট, অডিটর এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বসে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজার কারখানা প্রাঙ্গণে যায় এবং ব্যবসার প্রকৃতি, ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি, তহবিল সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা বোঝার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঝুঁকির কারণগুলো এবং স্পনসরদের অভিজ্ঞতায় ওই আয়ের ব্যবহার বিশ্লেষণ করেন। তারপর আইপিও আবেদন জমা দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) বিধিমালা ২০১৫ অনুসরণ করে এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞপ্তি, গেজেট এবং আদেশ মেনে চলে, যা বিএসইসি দ্বারা নির্ধারিত হয়।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে এটলাস বাংলাদেশ

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের দ্বারা কীভাবে সেরা ইস্যু ম্যানেজমেন্ট কাজগুলো দেওয়া যায়, সে সম্পর্কে একটি নিয়ন্ত্রণ দরকার। যাতে সকল সদস্য দক্ষতার সাথে এবং মর্যাদার সাথে ইস্যু ম্যানেজমেন্ট কাজগুলো সম্পাদন করতে উৎসাহ বোধ করে৷ কারণ, যারা সক্রিয়ভাবে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন, তারা ইস্যু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই বিব্রতকর অবস্থানে আছে। তাই, এ বিষয়ে বিএমবিএ কমিশনের পরামর্শ ও নির্দেশনা চায়। যাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা যায়। ফলে, ইস্যু ম্যানেজারদের জন্য দায়িত্ব এবং কাজের পদ্ধতির নির্দেশনা প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে অনিয়ম হওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ইস্যু ম্যানেজমেন্টে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা চায় বিএমবিএ

আপডেট: ০৯:০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, পরিচালনা পর্ষদ, সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক এবং ইস্যু ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ইস্যু ব্যবস্থাপনা বিএসইসির কার্যকর পদ্ধতি ও নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সেক্রেটারি রিয়াদ মতিন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএমবিএর আবেদনে বলা হয়েছে, বিএসইসির সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজ এবং বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ইস্যুকারী কোম্পানি, ইস্যুয়ার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক এবং ইস্যু ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে কমিশনের উদ্যোগের প্রশংসা করছি, যা ভবিষ্যতে অনিয়ম কমাতে পারে। এই বিষয়ে আমরা বলতে চাই, ইস্যু ম্যানেজমেন্টের কাজগুলো করতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সব প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথিপত্র ইস্যুকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে। এর মধ্যে আছে—নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ব্যাংকের নথি, নিয়ন্ত্রকের লাইসেন্স ও বিভিন্ন প্রত্যয়নের অনুলিপি। এছাড়া, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কোম্পানির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ, ম্যানেজমেন্ট, অডিটর এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বসে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজার কারখানা প্রাঙ্গণে যায় এবং ব্যবসার প্রকৃতি, ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি, তহবিল সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা বোঝার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঝুঁকির কারণগুলো এবং স্পনসরদের অভিজ্ঞতায় ওই আয়ের ব্যবহার বিশ্লেষণ করেন। তারপর আইপিও আবেদন জমা দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) বিধিমালা ২০১৫ অনুসরণ করে এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞপ্তি, গেজেট এবং আদেশ মেনে চলে, যা বিএসইসি দ্বারা নির্ধারিত হয়।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে এটলাস বাংলাদেশ

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের দ্বারা কীভাবে সেরা ইস্যু ম্যানেজমেন্ট কাজগুলো দেওয়া যায়, সে সম্পর্কে একটি নিয়ন্ত্রণ দরকার। যাতে সকল সদস্য দক্ষতার সাথে এবং মর্যাদার সাথে ইস্যু ম্যানেজমেন্ট কাজগুলো সম্পাদন করতে উৎসাহ বোধ করে৷ কারণ, যারা সক্রিয়ভাবে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন, তারা ইস্যু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই বিব্রতকর অবস্থানে আছে। তাই, এ বিষয়ে বিএমবিএ কমিশনের পরামর্শ ও নির্দেশনা চায়। যাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা যায়। ফলে, ইস্যু ম্যানেজারদের জন্য দায়িত্ব এবং কাজের পদ্ধতির নির্দেশনা প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে অনিয়ম হওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেবে।

ঢাকা/এসএ