০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উন্নত জাতের মসলা চাষে ১১৯ কোটি টাকা অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ৪১০৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে মসলা জাতীয় ফসলের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ মসলাই আমদানি করা হয়। এমতাবস্থায় দেশে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে উন্নত জাতের মসলার চাষ এবং নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদার করতে চায় সরকার। এজন্য ১১৯ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জুলাই ২০২২ হতে জুন ২০২৭ মেয়াদে দেশের ১১০টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। আজ এটিসহ প্রায় ২ হাজার ১১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সভাশেষে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রকল্প এলাকা: দেশের ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টার।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: আধুনিক বা টেকসই প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ, মসলা ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদনোত্তর অপচয় হ্রাস এবং শস্য নিবিড়তা ২ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা, মসলা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন জাত প্রচলন।

প্রধান কার্যক্রম: ২৮ হাজার ৬৫২টি মসলা প্রদর্শনী এবং চারা-কলম উৎপাদন ও আমদানি, ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা, ৪ হাজার ২০০ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর ও ১৮৫টি পলি শেড বা গার্ড শেড বা লেবার শেড বা নার্সারি শেড নির্মাণ করা।

এছাড়া এ কার্যক্রমের আওতায় ২ হাজার ৬৫০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৫ ব্যাচ এসএএও বা সমমানের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ২৯ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও দুই ব্যাচ বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, ১৩৫ ব্যাচ কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ১ হাজার ৬৫০টি কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

উন্নত জাতের মসলা চাষে ১১৯ কোটি টাকা অনুমোদন

আপডেট: ০৫:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে মসলা জাতীয় ফসলের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ মসলাই আমদানি করা হয়। এমতাবস্থায় দেশে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে উন্নত জাতের মসলার চাষ এবং নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদার করতে চায় সরকার। এজন্য ১১৯ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জুলাই ২০২২ হতে জুন ২০২৭ মেয়াদে দেশের ১১০টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। আজ এটিসহ প্রায় ২ হাজার ১১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সভাশেষে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রকল্প এলাকা: দেশের ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টার।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: আধুনিক বা টেকসই প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ, মসলা ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদনোত্তর অপচয় হ্রাস এবং শস্য নিবিড়তা ২ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা, মসলা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন জাত প্রচলন।

প্রধান কার্যক্রম: ২৮ হাজার ৬৫২টি মসলা প্রদর্শনী এবং চারা-কলম উৎপাদন ও আমদানি, ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা, ৪ হাজার ২০০ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর ও ১৮৫টি পলি শেড বা গার্ড শেড বা লেবার শেড বা নার্সারি শেড নির্মাণ করা।

এছাড়া এ কার্যক্রমের আওতায় ২ হাজার ৬৫০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৫ ব্যাচ এসএএও বা সমমানের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ২৯ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও দুই ব্যাচ বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, ১৩৫ ব্যাচ কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ১ হাজার ৬৫০টি কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ঢাকা/টিএ