একটি মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে: নিপুণ
- আপডেট: ১২:০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পরই এর কার্যালয় থেকে ঢাকাই সিনেমার তিন কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা, ফারুক ও উজ্জ্বলের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেই ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ কেন এমনটি করলেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক তারকা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে চিত্রনায়ক রুবেলও এ বিষয়ে সমালোচনা করেছেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তবে গোটা বিষয়টি তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। তিন কিংবদন্তির ছবি সরানোর খবরটি স্রেফ মিথ্যাচার বলে জানালেন এ চিত্রনায়িকা।
বুধবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের খোলাসা করেন নিপুণ, ‘একটি মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে, যা মনগড়া। ফারুক, সোহেল রানা ও উজ্জ্বল ভাইদের ছবি সরানো হয়নি। তারা আমাদের আদর্শ। আমাদের কিংবদন্তি। আমাদের মাথার মুকুট এ তিনজন। তাদের ছবি সরানোর কি কোনো কারণ বা লজিক আছে আপনাদের কাছে? কাদের মাথা থেকে এসব নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে আমি জানি না।’
তবে কেন এমন গুঞ্জন উঠল?
নিপুণ বলেন, ‘ছবি সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। তাদের ছবির কাচটা ভেঙে গিয়েছিল। সেটিই সারিয়ে আনা হয়েছে। এবং তা আমাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও খরচে করা হয়েছে। অথচ ছড়ানো হচ্ছে তিনজনের ছবি আমরা সরিয়ে দিয়েছি। ছবি সংস্কার করিয়ে আবারও নামফলক নির্ধারিত স্থানেই বসানো হয়েছে।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘তারা সম্মানের জায়গায় ছিলেন, চিরদিন থাকবেন। আমরা চিন্তা করছি পদের ঝামেলা মিটলে শুধু এই তিনজন কেন, তাদের সঙ্গে নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, আহমেদ শরীফ, খলিলসহ অনেক কিংবদন্তির ছবি রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত নায়ক সোহেল রানার প্রস্তাবে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন আরেক নায়ক ফারুক। সমিতি গঠনে সহায়তা করেন নায়ক উজ্জ্বল। এই তিনজনের উদ্যোগে গঠিত শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি হন নায়করাজ রাজ্জাক। সেই সময় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আহমেদ শরীফ।
উদ্যোক্তাদের প্রতি সম্মান জানাতে সোহেল-ফারুক-উজ্জলের ছবি সমিতির কার্যালয়ের দেয়ালে টাঙান মিশা-জায়েদের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
ঢাকা/এমআর