০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

এক বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৫৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দেশে বর্তমান নানা সংকটের মধ্যেও পোশাকশিল্পে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল মোট রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ। গত বছরের একই প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় ছিল মোট রপ্তানির সাড়ে ৫১ শতাংশ। এ হিসাবে প্রায় ২০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে। যদিও পোশাক খাতের প্রকৃত আয়ের এ হিসাব নিয়ে খাত–সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত বছরের শেষের দিকে অধিকাংশ কারখানা ২০-৩০ শতাংশ কম উৎপাদন সক্ষমতায় চলেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের কারণে উৎপাদনও কম-বেশি ব্যাহত হয়েছে। তাই এ খাতের প্রকৃত আয়ের তথ্য নিয়ে তারা সন্দিহান।

দেশের পোশাক খাতের রপ্তানি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ গত ৩০ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন ছিল ৮২২ কোটি মার্কিন ডলারের। পোশাকের মোট রপ্তানি আয় থেকে কাঁচামাল আমদানি বাবদ খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত আয়ের এ হিসাব করা হয়েছে।

গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে পোশাক রপ্তানি বাবদ মোট আয় ছিল এক হাজার ১৬২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩৯ কোটি ডলার। তাতে এ খাতের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৮২২ কোটি ডলারে, যা এ খাতের মোট আয়ের প্রায় ৭১ শতাংশ। অথচ ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) এক হাজার ২৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি বাবদ ব্যয় ছিল ৪৯৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় ছিল ৫২৯ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের সাড়ে ৫১ শতাংশ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি হঠাৎ করে বেড়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পোশাক রপ্তানি আয়ের ৭১ শতাংশই ছিল প্রকৃত আয়। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে তা বেড়ে হয় সাড়ে ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেও বাড়ছে ব্যাংক ঋণের সুদহার

সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে পোশাক খাতের এক হাজার ১৬২ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭৬ কোটি ডলার। আর একই সময়ে ওভেন পোশাকের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮৫ কোটি ডলার। চলতি বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় সাড়ে ৪৯ শতাংশই ছিল নিট পোশাকের, আর ওভেনের সাড়ে ৩৫ শতাংশ।

গত ২০১৯–২০ অর্থবছরেও নিট এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল প্রায় সমান সমান। ২০২০–২১ অর্থবছর থেকে ওভেনকে ছাড়িয়ে যায় নিট পোশাকের রপ্তানি। এরপর প্রতি অর্থবছরই নিট পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। সর্বশেষ ২০২২–২৩ অর্থবছরে পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের প্রায় সাড়ে ৪৬ শতাংশ ছিল নিট খাতের আর ওভেন খাতের ছিল সোয়া ৩৮ শতাংশ।

ঢাকা/এসএ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

এক বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ

আপডেট: ০৬:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশে বর্তমান নানা সংকটের মধ্যেও পোশাকশিল্পে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল মোট রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ। গত বছরের একই প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় ছিল মোট রপ্তানির সাড়ে ৫১ শতাংশ। এ হিসাবে প্রায় ২০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে। যদিও পোশাক খাতের প্রকৃত আয়ের এ হিসাব নিয়ে খাত–সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত বছরের শেষের দিকে অধিকাংশ কারখানা ২০-৩০ শতাংশ কম উৎপাদন সক্ষমতায় চলেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের কারণে উৎপাদনও কম-বেশি ব্যাহত হয়েছে। তাই এ খাতের প্রকৃত আয়ের তথ্য নিয়ে তারা সন্দিহান।

দেশের পোশাক খাতের রপ্তানি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ গত ৩০ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন ছিল ৮২২ কোটি মার্কিন ডলারের। পোশাকের মোট রপ্তানি আয় থেকে কাঁচামাল আমদানি বাবদ খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত আয়ের এ হিসাব করা হয়েছে।

গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে পোশাক রপ্তানি বাবদ মোট আয় ছিল এক হাজার ১৬২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩৯ কোটি ডলার। তাতে এ খাতের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৮২২ কোটি ডলারে, যা এ খাতের মোট আয়ের প্রায় ৭১ শতাংশ। অথচ ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) এক হাজার ২৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি বাবদ ব্যয় ছিল ৪৯৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় ছিল ৫২৯ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের সাড়ে ৫১ শতাংশ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি হঠাৎ করে বেড়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পোশাক রপ্তানি আয়ের ৭১ শতাংশই ছিল প্রকৃত আয়। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে তা বেড়ে হয় সাড়ে ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেও বাড়ছে ব্যাংক ঋণের সুদহার

সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে পোশাক খাতের এক হাজার ১৬২ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭৬ কোটি ডলার। আর একই সময়ে ওভেন পোশাকের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮৫ কোটি ডলার। চলতি বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় সাড়ে ৪৯ শতাংশই ছিল নিট পোশাকের, আর ওভেনের সাড়ে ৩৫ শতাংশ।

গত ২০১৯–২০ অর্থবছরেও নিট এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল প্রায় সমান সমান। ২০২০–২১ অর্থবছর থেকে ওভেনকে ছাড়িয়ে যায় নিট পোশাকের রপ্তানি। এরপর প্রতি অর্থবছরই নিট পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। সর্বশেষ ২০২২–২৩ অর্থবছরে পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের প্রায় সাড়ে ৪৬ শতাংশ ছিল নিট খাতের আর ওভেন খাতের ছিল সোয়া ৩৮ শতাংশ।

ঢাকা/এসএ