০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এখনও অবাধে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে

নকল ও অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। আসছে এপ্রিল- মে’র মধ্যেই চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সার্ভার। এ সার্ভারে নিবন্ধিত হ্যান্ডসেটগুলোতেই কেবল মোবাইল ফোন অপারেটরদের সিমকার্ড চালু করা যাবে। নকল কিংবা অবৈধ পথে আনা হ্যান্ডসেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না।
এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্যোগের পরও দেশে অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি বন্ধ হয়নি। বরং ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে অবৈধ পথে আসা নামি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।

বিটিআরসি সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, যারা এখনও অবৈধ হ্যান্ডসেট কিনছেন, এনইআইআর চালু হলে তারা ওই সেট আর ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ, হ্যান্ডসেটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর নিবন্ধিত না থাকলে সিমকার্ড চালু হবে না।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআই) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ বলেন, এনইআইআর স্থাপনের ফলে বৈধ আমদানিকারক এবং যারা কারখানা স্থাপন করে দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছেন, তারা উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে ক্রেতারাও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

বিএমপিআইর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেটের বাজারের পরিমাণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার। এই পরিমাণ পুরো বাজারের প্রায় ৩৫ শতাংশ। এর ফলে সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ সংস্থার নীতিমালার দুর্বলতা এবং কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ কারবারিদের প্রভাবের কারণে মোবাইল হ্যান্ডসেটের অবৈধ বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি।

কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করে দেশে হ্যান্ডসেট এনে বাণিজ্য করছেন অবৈধ কারবারিরা। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের রিফারবিশড বা পুনঃসংযোজিত পুরোনো ফোন বাজারে নিয়ে এসে আসল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। দেখা যায়, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের অনেক হ্যান্ডসেট উন্নত দেশে পুরোনো হয়ে গেলে সেগুলো বিশেষভাবে পালিশ করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অকেজো যন্ত্রাংশ পুনঃসংযোজন করে ‘লাগেজ পার্টি’র মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসা হয়। এসব হ্যান্ডসেট বাজারে নতুন বলে বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর অপেক্ষাকৃত পুরোনো মডেলের ফোনের ‘রিফারবিশড’ কপি বেশি বিক্রি হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি নতুন ও বৈধভাবে উৎপাদিত স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-২০-এর বাজারমূল্য ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। কিন্তু এই হ্যান্ডসেট ফেসবুকে পেজ খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে কয়েকটি শপিং কমপ্লেক্সের কিছু দোকানে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এগুলো খালি চোখে দেখে নতুন না রিফারবিশড তা বোঝার উপায় নেই।

আর একটি পথ হচ্ছে, লাগেজ পার্টির মাধ্যমে নতুন মডেলের নতুন ফোন কর ফাঁকি দিয়ে দেশে নিয়ে আসা। কর ফাঁকির কারণে এসব ফোন অসাধু বিক্রেতারা ব্র্যান্ড নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কম মূল্যে বিক্রি করছে। এই পথ উৎপাদক এবং বৈধ আমদানিকারকদের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই পথের আরও কিছু শাখা-প্রশাখা আছে। চীনের কিছু মাঝারি মানের ব্র্যান্ড আছে যারা নিজেরা আড়ালে থেকে তৃতীয় পক্ষ আমদানিকারকের মাধ্যমে দেশে হ্যান্ডসেট আমদানি করছে এবং আমদানি পর্যায়ে প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে মূল্য ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিচ্ছে। এভাবে আসা দু-তিনটি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট কিছুটা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।

তৃতীয় পথ হচ্ছে, নকল হ্যান্ডসেট চীন থেকে তৈরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করা। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, এই নকলের ঘটনা ঘটছে মূলত ফিচার ফোন এবং বার ফোনের ক্ষেত্রে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ‘মাস্টার কপি’ নামে প্রকাশ্যেই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে নকল হ্যান্ডসেট বিক্রি করা হয়। এ ক্ষেত্রে নিম্নমানের যন্ত্রাংশে মূল স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ক্লোন কপি স্থাপন করা হয়। এসব স্মার্টফোন দেখতে প্রায় প্রকৃত ফোনের মতো মনে হলেও এটি কার্যত অত্যন্ত নিম্নমানের ফোন। যেহেতু ‘মাস্টার কপি’ নাম দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে, সে কারণে বিক্রেতারাও ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আর কোনো ধরনের দায়িত্ব নেন না। তথাকথিত মাস্টার কপি হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরও নকল।

যেভাবে কাজ করবে এনইআইআর
বিটিআরসি সংশ্নিষ্টরা জানান, এনইআইআর সার্ভারে দেশে বৈধভাবে উৎপাদিত এবং বৈধ পথে আমদানি হওয়া হ্যান্ডসেটগুলোর ডাটাবেজ থাকবে। এই ডাটাবেজ মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক তথ্যভাণ্ডার সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কোনো গ্রাহক যখন তার হ্যান্ডসেটে সিমকার্ড স্থাপন করবেন, তখন এনইআইআর সার্ভারে সেই হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নিবন্ধিত আছে কিনা তা জানিয়ে দেবে। এনইআইআর সার্ভারে নম্বরটি নিবন্ধিত থাকলে সিমকার্ডটি সচল হবে, অন্যথায় হবে না। যদি কেউ বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কিনে আনেন, তাহলে তাকেও বিটিআরসির এনইআইআর সার্ভারে আইএমইআই নম্বরটি নিবন্ধন করে নিতে হবে। বিমানবন্দরেই বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনা হ্যান্ডসেটের এনইআইআর নিবন্ধন করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) জাকির হোসেন খান বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের কার্যক্রম চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে যন্ত্রপাতি কেনার কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে।
বিএমপিআই সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ বলেন, এনইআইআর সার্ভার চালু হলে তিন ধরনের লাভ হবে। গ্রাহক নকল বা অবৈধ সেট কিনে প্রতারিত হবেন না। সরকার বিক্রি হওয়া হ্যান্ডসেট থেকে শতভাগ রাজস্ব পাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজও সহজ হয়ে যাবে। কোনো ব্যক্তিকে খুঁজতে গেলে বেশি কষ্ট করতে হবে না। একটি নম্বরেই সঠিক ব্যক্তিকে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনসেট চুরি হওয়ার প্রবণতাও কমবে।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

এখনও অবাধে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট

আপডেট: ১১:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

নকল ও অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। আসছে এপ্রিল- মে’র মধ্যেই চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সার্ভার। এ সার্ভারে নিবন্ধিত হ্যান্ডসেটগুলোতেই কেবল মোবাইল ফোন অপারেটরদের সিমকার্ড চালু করা যাবে। নকল কিংবা অবৈধ পথে আনা হ্যান্ডসেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না।
এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্যোগের পরও দেশে অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি বন্ধ হয়নি। বরং ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে অবৈধ পথে আসা নামি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।

বিটিআরসি সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, যারা এখনও অবৈধ হ্যান্ডসেট কিনছেন, এনইআইআর চালু হলে তারা ওই সেট আর ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ, হ্যান্ডসেটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর নিবন্ধিত না থাকলে সিমকার্ড চালু হবে না।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআই) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ বলেন, এনইআইআর স্থাপনের ফলে বৈধ আমদানিকারক এবং যারা কারখানা স্থাপন করে দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছেন, তারা উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে ক্রেতারাও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

বিএমপিআইর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেটের বাজারের পরিমাণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার। এই পরিমাণ পুরো বাজারের প্রায় ৩৫ শতাংশ। এর ফলে সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ সংস্থার নীতিমালার দুর্বলতা এবং কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ কারবারিদের প্রভাবের কারণে মোবাইল হ্যান্ডসেটের অবৈধ বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি।

কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করে দেশে হ্যান্ডসেট এনে বাণিজ্য করছেন অবৈধ কারবারিরা। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের রিফারবিশড বা পুনঃসংযোজিত পুরোনো ফোন বাজারে নিয়ে এসে আসল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। দেখা যায়, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের অনেক হ্যান্ডসেট উন্নত দেশে পুরোনো হয়ে গেলে সেগুলো বিশেষভাবে পালিশ করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অকেজো যন্ত্রাংশ পুনঃসংযোজন করে ‘লাগেজ পার্টি’র মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসা হয়। এসব হ্যান্ডসেট বাজারে নতুন বলে বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর অপেক্ষাকৃত পুরোনো মডেলের ফোনের ‘রিফারবিশড’ কপি বেশি বিক্রি হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি নতুন ও বৈধভাবে উৎপাদিত স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-২০-এর বাজারমূল্য ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। কিন্তু এই হ্যান্ডসেট ফেসবুকে পেজ খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে কয়েকটি শপিং কমপ্লেক্সের কিছু দোকানে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এগুলো খালি চোখে দেখে নতুন না রিফারবিশড তা বোঝার উপায় নেই।

আর একটি পথ হচ্ছে, লাগেজ পার্টির মাধ্যমে নতুন মডেলের নতুন ফোন কর ফাঁকি দিয়ে দেশে নিয়ে আসা। কর ফাঁকির কারণে এসব ফোন অসাধু বিক্রেতারা ব্র্যান্ড নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কম মূল্যে বিক্রি করছে। এই পথ উৎপাদক এবং বৈধ আমদানিকারকদের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই পথের আরও কিছু শাখা-প্রশাখা আছে। চীনের কিছু মাঝারি মানের ব্র্যান্ড আছে যারা নিজেরা আড়ালে থেকে তৃতীয় পক্ষ আমদানিকারকের মাধ্যমে দেশে হ্যান্ডসেট আমদানি করছে এবং আমদানি পর্যায়ে প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে মূল্য ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিচ্ছে। এভাবে আসা দু-তিনটি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট কিছুটা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।

তৃতীয় পথ হচ্ছে, নকল হ্যান্ডসেট চীন থেকে তৈরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করা। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, এই নকলের ঘটনা ঘটছে মূলত ফিচার ফোন এবং বার ফোনের ক্ষেত্রে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ‘মাস্টার কপি’ নামে প্রকাশ্যেই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে নকল হ্যান্ডসেট বিক্রি করা হয়। এ ক্ষেত্রে নিম্নমানের যন্ত্রাংশে মূল স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ক্লোন কপি স্থাপন করা হয়। এসব স্মার্টফোন দেখতে প্রায় প্রকৃত ফোনের মতো মনে হলেও এটি কার্যত অত্যন্ত নিম্নমানের ফোন। যেহেতু ‘মাস্টার কপি’ নাম দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে, সে কারণে বিক্রেতারাও ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আর কোনো ধরনের দায়িত্ব নেন না। তথাকথিত মাস্টার কপি হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরও নকল।

যেভাবে কাজ করবে এনইআইআর
বিটিআরসি সংশ্নিষ্টরা জানান, এনইআইআর সার্ভারে দেশে বৈধভাবে উৎপাদিত এবং বৈধ পথে আমদানি হওয়া হ্যান্ডসেটগুলোর ডাটাবেজ থাকবে। এই ডাটাবেজ মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক তথ্যভাণ্ডার সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কোনো গ্রাহক যখন তার হ্যান্ডসেটে সিমকার্ড স্থাপন করবেন, তখন এনইআইআর সার্ভারে সেই হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নিবন্ধিত আছে কিনা তা জানিয়ে দেবে। এনইআইআর সার্ভারে নম্বরটি নিবন্ধিত থাকলে সিমকার্ডটি সচল হবে, অন্যথায় হবে না। যদি কেউ বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কিনে আনেন, তাহলে তাকেও বিটিআরসির এনইআইআর সার্ভারে আইএমইআই নম্বরটি নিবন্ধন করে নিতে হবে। বিমানবন্দরেই বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনা হ্যান্ডসেটের এনইআইআর নিবন্ধন করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) জাকির হোসেন খান বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের কার্যক্রম চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে যন্ত্রপাতি কেনার কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে।
বিএমপিআই সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ বলেন, এনইআইআর সার্ভার চালু হলে তিন ধরনের লাভ হবে। গ্রাহক নকল বা অবৈধ সেট কিনে প্রতারিত হবেন না। সরকার বিক্রি হওয়া হ্যান্ডসেট থেকে শতভাগ রাজস্ব পাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজও সহজ হয়ে যাবে। কোনো ব্যক্তিকে খুঁজতে গেলে বেশি কষ্ট করতে হবে না। একটি নম্বরেই সঠিক ব্যক্তিকে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনসেট চুরি হওয়ার প্রবণতাও কমবে।