০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এবার মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৬৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের (ধর্ষণ) অভিযোগ এনে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার নম্বর ৩০। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু। তিনি জানান, মামলাটি তদন্ত করবেন সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।

অভিযোগে মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে জান্নাত জানান, মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয়ের আগে তাদের দুই সন্তান আবদুর রহমান (১৭) ও মোহাম্মদ তামিমকে (১৩) নিয়ে সুখী ও সুন্দর দাম্পত্য জীবন চলছিল। পরিচয়ের পর থেকে মামুনুল হক তাদের বাসায় (ঝর্ণার) অবাধ যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে মামুনুল হকের খারাপ দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো মতানৈক্যের মধ্যে কৌশলে প্রবেশ করে মামুনুল হক দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেন।
বিচ্ছেদ বিষয়ে তিনি বলেন, মামুনুল হকের কুপরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর আমার অসহায়ত্বের সুযোগে মামুনুল হক আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে তার পরামর্শে আমি ঢাকার কলাবাগানে সাবলেট হিসেবে একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকি এবং একটি পার্লারে কাজ শিখতে থাকি। আমার বাসা ভাড়া ও ভরণপোষণ বহন করেন মামুনুল হক। এক পর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক (ধর্ষণ) করেন।

লিখিত অভিযোগে ঝর্ণা বলেন, দুই বছর ধরে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির নাম করে মামুনুল হক বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে রাত্রী যাপন করেন এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে যৌন লালসা চরিতার্থ করেন।

এজাহারে ঝর্ণা বলেন, সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে তিনি আমাকে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে কিছু মানুষ আমাদের আটক করে ফেলে। মামুনুল হকের অনুসারীরা রিসোর্টে হামলা করে আমাদের নিয়ে যায়। কিন্তু মামুনুল আমাকে নিজের বাসায় ফিরতে না দিয়ে পরিচিত একজনের বাসায় অবৈধভাবে আটকে রাখেন। কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেননি।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার পর জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেন, মামুনুল হক দীর্ঘদিন ধরেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে বাদীর সঙ্গে মামুনুল হক প্রতারণা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩০। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯-এর ১।

এদিকে মামলা হওয়ার পর সোনারগাঁ থানার পুলিশ ঝর্ণাকে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

এবার মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

আপডেট: ০৭:২৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের (ধর্ষণ) অভিযোগ এনে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার নম্বর ৩০। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু। তিনি জানান, মামলাটি তদন্ত করবেন সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।

অভিযোগে মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে জান্নাত জানান, মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয়ের আগে তাদের দুই সন্তান আবদুর রহমান (১৭) ও মোহাম্মদ তামিমকে (১৩) নিয়ে সুখী ও সুন্দর দাম্পত্য জীবন চলছিল। পরিচয়ের পর থেকে মামুনুল হক তাদের বাসায় (ঝর্ণার) অবাধ যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে মামুনুল হকের খারাপ দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো মতানৈক্যের মধ্যে কৌশলে প্রবেশ করে মামুনুল হক দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেন।
বিচ্ছেদ বিষয়ে তিনি বলেন, মামুনুল হকের কুপরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর আমার অসহায়ত্বের সুযোগে মামুনুল হক আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে তার পরামর্শে আমি ঢাকার কলাবাগানে সাবলেট হিসেবে একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকি এবং একটি পার্লারে কাজ শিখতে থাকি। আমার বাসা ভাড়া ও ভরণপোষণ বহন করেন মামুনুল হক। এক পর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক (ধর্ষণ) করেন।

লিখিত অভিযোগে ঝর্ণা বলেন, দুই বছর ধরে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির নাম করে মামুনুল হক বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে রাত্রী যাপন করেন এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে যৌন লালসা চরিতার্থ করেন।

এজাহারে ঝর্ণা বলেন, সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে তিনি আমাকে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে কিছু মানুষ আমাদের আটক করে ফেলে। মামুনুল হকের অনুসারীরা রিসোর্টে হামলা করে আমাদের নিয়ে যায়। কিন্তু মামুনুল আমাকে নিজের বাসায় ফিরতে না দিয়ে পরিচিত একজনের বাসায় অবৈধভাবে আটকে রাখেন। কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেননি।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার পর জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেন, মামুনুল হক দীর্ঘদিন ধরেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে বাদীর সঙ্গে মামুনুল হক প্রতারণা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩০। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯-এর ১।

এদিকে মামলা হওয়ার পর সোনারগাঁ থানার পুলিশ ঝর্ণাকে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা/এসএ