০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওটিসি ফেরত চার কোম্পানির তদন্তের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০৩০৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ফেরত চার কোম্পানির সার্বিক অবস্থা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার বিএসইসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই নির্দেশ দিয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো-তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মুন্নু ফেব্রিকস।

বিএসইসির নির্দেশনায় গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরা চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়। যার পর থেকেই টানা দর বাড়তে থাকে কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পতনের খবর প্রকাশও তাতে বাধা হয়ে দাড়াঁতে পারেনি। এমনকি দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন নেই বলে ডিএসই থেকে সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশের পরে টানা দর বাড়তে থাকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই স্বল্প সময়ের মধ্যে গড়ে ৮০০ শতাংশ করে দর বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরাও।লেনদেন শুরু হওয়ার পরে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়ায় চার কোম্পানি নিয়ে সন্দেহ তৈরী হয় ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে। যে কারনে তারা কারন অনুসন্ধান করে। কিন্তু কোম্পানি চারটির মধ্যে ১টিরও টানা দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন খুজেঁ পায়নি ডিএসই।

নিম্নে ‍ওটিসি থেকে ফেরা ৪ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হল-

কোম্পানির নাম ওটিসি থেকে ফেরার দর ১৩ সেপ্টেম্বরের দর বৃদ্ধির হার
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ১৬ টাকা ২১৫.৯০ টাকা ১২৪৯%
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস ১২ টাকা ১৮০.৪০ টাকা ১৪০৩%
মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং ৫০ টাকা ২২৩.৯০ টাকা ৩৪৮%
মুন্নু ফেব্রিকস ১০ টাকা ২৯.৯০ টাকা ১৯৯%
গড় দর বৃদ্ধি ৮০০%

বাংলাদেশ মোনোসপোল: বাংলাদেশ মোনোসপোল পেপার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড সর্বশেষ আর্থিকবছরে শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পঞ্চাশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৫৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল: তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড সর্বশেষ আর্থিকবছরে শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পয়ত্রিশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৬২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

বিয়ে করেই দুই সন্তানের মা মাহিয়া মাহি!

তিন কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

অস্ট্রেলিয়ার আপত্তির কড়া জবাব দিলেন আসগর আফগান

করোনায় একদিনে আরও ৪১ জনের মৃত্যু

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

ওটিসি ফেরত চার কোম্পানির তদন্তের নির্দেশ

আপডেট: ০৮:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ফেরত চার কোম্পানির সার্বিক অবস্থা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার বিএসইসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই নির্দেশ দিয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো-তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মুন্নু ফেব্রিকস।

বিএসইসির নির্দেশনায় গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরা চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়। যার পর থেকেই টানা দর বাড়তে থাকে কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পতনের খবর প্রকাশও তাতে বাধা হয়ে দাড়াঁতে পারেনি। এমনকি দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন নেই বলে ডিএসই থেকে সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশের পরে টানা দর বাড়তে থাকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই স্বল্প সময়ের মধ্যে গড়ে ৮০০ শতাংশ করে দর বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরাও।লেনদেন শুরু হওয়ার পরে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়ায় চার কোম্পানি নিয়ে সন্দেহ তৈরী হয় ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে। যে কারনে তারা কারন অনুসন্ধান করে। কিন্তু কোম্পানি চারটির মধ্যে ১টিরও টানা দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন খুজেঁ পায়নি ডিএসই।

নিম্নে ‍ওটিসি থেকে ফেরা ৪ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হল-

কোম্পানির নাম ওটিসি থেকে ফেরার দর ১৩ সেপ্টেম্বরের দর বৃদ্ধির হার
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ১৬ টাকা ২১৫.৯০ টাকা ১২৪৯%
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস ১২ টাকা ১৮০.৪০ টাকা ১৪০৩%
মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং ৫০ টাকা ২২৩.৯০ টাকা ৩৪৮%
মুন্নু ফেব্রিকস ১০ টাকা ২৯.৯০ টাকা ১৯৯%
গড় দর বৃদ্ধি ৮০০%

বাংলাদেশ মোনোসপোল: বাংলাদেশ মোনোসপোল পেপার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড সর্বশেষ আর্থিকবছরে শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পঞ্চাশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৫৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল: তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড সর্বশেষ আর্থিকবছরে শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ,২১) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন পয়ত্রিশ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে দশমিক ৬২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

বিয়ে করেই দুই সন্তানের মা মাহিয়া মাহি!

তিন কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

অস্ট্রেলিয়ার আপত্তির কড়া জবাব দিলেন আসগর আফগান

করোনায় একদিনে আরও ৪১ জনের মৃত্যু