০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

করমুক্ত ডিভিডেন্ড আয় সীমা ২ লাখ করার প্রস্তাব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • / ৪৪৯১ বার দেখা হয়েছে

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ১১ দফা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এই প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫ বছরের কর ছাড়, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা, লভ্যাংশে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো।

ডিএসইর বাজেট প্রস্তাবনায় ব্যাক্তি-বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ-আয়ে করমুক্ত সীমা বাড়িয়ে দুই লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর যুক্তি হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জটি বলেছে, লভ্যাংশ-আয়ে করমুক্ত সীমা বাড়ানো হলে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আরও বেশী আগ্রহী হবেন।

ডিএসই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ-আয়ে করের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে লভ্যাংশ-আয়ের উপর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হয়। ডিএসই এটি কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, বাংলাদেশে করপোরেট করের হার প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। তাছাড়া, কোম্পানিগুলো নিট মুনাফা নির্ধারণের আগে একবার তার মুনাফার উপর কর দিয়ে থাকে। এই মুনাফা থেকে বণ্টন করা লভ্যাংশের উপর ফের কর দেওয়ার বিষয়টি মূলত দ্বৈত কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ডিএসই আর্থিক খাত ও টেলিকম খাতের কোম্পানি ছাড়া তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এসব কোম্পানিকে ২৫ শতাংশ হারে আয়-কর দিতে হয়। ডিএসই এই কর-হার সাড়ে ১৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। অন্যদিকে আর্থিক খাতের কোম্পানির (ব্যাংক, এনবিএফআই ও বীমা কোম্পানি) করহার সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে সাড়ে ৩২ শতাংশ এবং টেলিকম খাতের কোম্পানির করহার ৪০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে ডিএসইর প্রস্তাবনায়।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ চালু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানির করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

 

ডিএসইর অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশ করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং স্টক ডিলারদের ক্ষেত্রে মূলধনী মুনাফা কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার

শেয়ার করুন

x
English Version

করমুক্ত ডিভিডেন্ড আয় সীমা ২ লাখ করার প্রস্তাব

আপডেট: ১০:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ১১ দফা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এই প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫ বছরের কর ছাড়, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা, লভ্যাংশে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো।

ডিএসইর বাজেট প্রস্তাবনায় ব্যাক্তি-বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ-আয়ে করমুক্ত সীমা বাড়িয়ে দুই লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর যুক্তি হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জটি বলেছে, লভ্যাংশ-আয়ে করমুক্ত সীমা বাড়ানো হলে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আরও বেশী আগ্রহী হবেন।

ডিএসই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ-আয়ে করের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে লভ্যাংশ-আয়ের উপর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হয়। ডিএসই এটি কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, বাংলাদেশে করপোরেট করের হার প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। তাছাড়া, কোম্পানিগুলো নিট মুনাফা নির্ধারণের আগে একবার তার মুনাফার উপর কর দিয়ে থাকে। এই মুনাফা থেকে বণ্টন করা লভ্যাংশের উপর ফের কর দেওয়ার বিষয়টি মূলত দ্বৈত কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ডিএসই আর্থিক খাত ও টেলিকম খাতের কোম্পানি ছাড়া তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এসব কোম্পানিকে ২৫ শতাংশ হারে আয়-কর দিতে হয়। ডিএসই এই কর-হার সাড়ে ১৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। অন্যদিকে আর্থিক খাতের কোম্পানির (ব্যাংক, এনবিএফআই ও বীমা কোম্পানি) করহার সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে সাড়ে ৩২ শতাংশ এবং টেলিকম খাতের কোম্পানির করহার ৪০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে ডিএসইর প্রস্তাবনায়।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ চালু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানির করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

 

ডিএসইর অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশ করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং স্টক ডিলারদের ক্ষেত্রে মূলধনী মুনাফা কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার