০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

করোনায় মনের যত্ন: কোনভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি পরিবর্তন করেছে মানুষের মনােজগৎ, তা আমরা আঁচ করতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালিত মানসিক রােগের হার সংক্রান্ত জরিপের ফলাফলে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রােগের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ। এর মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা (৬.৭ শতাংশ) আর দুশ্চিন্তার (৪.৭ শতাংশ) সমস্যা ছিল। কোভিডকালে বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মধ্যে বিষন্নতা আর ৩৩ শতাংশের এংজাইটি বা দুশ্চিন্তার লক্ষণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সাধারণ সময়ের চেয়ে কোভিডকালে মানসিক সমস্যা বাংলাদেশেও বেড়ে যাচ্ছে।

গত একবছরে বাংলাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৪ হাজার, যা পূর্ববর্তী বছরগুলাের চেয়ে বেশি। সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড নিয়ে কুসংস্কার, স্টিগমা, কোভিড ভীতিতে প্রায় ৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। করােনা সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃত্যুভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্ব; এসব কারণে বাড়ছে মানসিক সংকট।

করােনা চিকিৎসায় নিয়ােজিত সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মানসিকচাপ, বার্ন আউট হচ্ছে, যা কোভিড-১৯ এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

কোভিড -১৯ পরিস্থিতি মােকাবিলায় করণীয়
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে করণীয়- কোনভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আতঙ্ক মানুষের স্বাভাবিক রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। মানসিক চাপ হ্রাস করতে হবে। এ জন্য যা করতে হবে- ঘুমানাের স্বাভাবিক সময় ঠিক রাখা, নিজের পছন্দের বিষয় ও কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, পরিবারের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানাে (যেমন পরস্পরকে উৎসাহ দেওয়া, পরস্পরের কাজে সহযােগিতা করা, ঘরের মধ্যেই একসঙ্গে সময় কাটানাে ও পছন্দের কাজ করা), প্রতিদিন কিছুক্ষণ সময় অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করা, নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঘরেই প্রার্থনা করা ও আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। সর্বোপরি এ কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে আছি, বেঁচে আছি এ জন্য সন্তুষ্ট থাকা, সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। কিন্তু কোনভাবেই পরিস্থিতি বা রােগ কোনো কারণেই কারাে প্রতি করুণা প্রকাশ করা যাবে না।

অতিরিক্ত আতঙ্ক, অস্থিরতা, মানসিক চাপ, বিষন্নতা, ঘুমের ধরন পরিবর্তন ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা গেলে আপনার কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের সঙ্গে যােগাযােগ করুন। অথবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর এর হটলাইন যােগাযােগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করুন।

যে কোনাে জরুরি প্রয়ােজনে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-১ বা বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে যােগাযােগ করুন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনায় মনের যত্ন: কোনভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না

আপডেট: ১২:৪৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি পরিবর্তন করেছে মানুষের মনােজগৎ, তা আমরা আঁচ করতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালিত মানসিক রােগের হার সংক্রান্ত জরিপের ফলাফলে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রােগের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ। এর মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা (৬.৭ শতাংশ) আর দুশ্চিন্তার (৪.৭ শতাংশ) সমস্যা ছিল। কোভিডকালে বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মধ্যে বিষন্নতা আর ৩৩ শতাংশের এংজাইটি বা দুশ্চিন্তার লক্ষণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সাধারণ সময়ের চেয়ে কোভিডকালে মানসিক সমস্যা বাংলাদেশেও বেড়ে যাচ্ছে।

গত একবছরে বাংলাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৪ হাজার, যা পূর্ববর্তী বছরগুলাের চেয়ে বেশি। সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড নিয়ে কুসংস্কার, স্টিগমা, কোভিড ভীতিতে প্রায় ৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। করােনা সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃত্যুভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্ব; এসব কারণে বাড়ছে মানসিক সংকট।

করােনা চিকিৎসায় নিয়ােজিত সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মানসিকচাপ, বার্ন আউট হচ্ছে, যা কোভিড-১৯ এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

কোভিড -১৯ পরিস্থিতি মােকাবিলায় করণীয়
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে করণীয়- কোনভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আতঙ্ক মানুষের স্বাভাবিক রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। মানসিক চাপ হ্রাস করতে হবে। এ জন্য যা করতে হবে- ঘুমানাের স্বাভাবিক সময় ঠিক রাখা, নিজের পছন্দের বিষয় ও কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, পরিবারের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানাে (যেমন পরস্পরকে উৎসাহ দেওয়া, পরস্পরের কাজে সহযােগিতা করা, ঘরের মধ্যেই একসঙ্গে সময় কাটানাে ও পছন্দের কাজ করা), প্রতিদিন কিছুক্ষণ সময় অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করা, নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঘরেই প্রার্থনা করা ও আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। সর্বোপরি এ কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে আছি, বেঁচে আছি এ জন্য সন্তুষ্ট থাকা, সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। কিন্তু কোনভাবেই পরিস্থিতি বা রােগ কোনো কারণেই কারাে প্রতি করুণা প্রকাশ করা যাবে না।

অতিরিক্ত আতঙ্ক, অস্থিরতা, মানসিক চাপ, বিষন্নতা, ঘুমের ধরন পরিবর্তন ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা গেলে আপনার কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের সঙ্গে যােগাযােগ করুন। অথবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর এর হটলাইন যােগাযােগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করুন।

যে কোনাে জরুরি প্রয়ােজনে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-১ বা বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে যােগাযােগ করুন।

ঢাকা/এসএ