কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যবসায় টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ: ঢাকা চেম্বার
- আপডেট: ০৭:৩৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪১৭৩ বার দেখা হয়েছে
চলমান সংকটে কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যবসায় টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। শনিবার (২১ জানুয়ারি) ডিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকটের কারণে দেশে জ্বালানির মূল্য বাড়ছে। তবে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি কেবলমাত্র একমুখী হওয়া উচিত হবে না। বরং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য হ্রাস পেলে কালক্ষেপন না করে সে অনুপাতে স্থানীয় বাজারেও যেন জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বৈশ্বিক মন্দা অবস্থার কারণে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এ বৈশ্বিক পরিস্থিতির বাইরে নই। ২০২৩ সালে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিদ্যমান কর্মসংস্থানের সুযোগ ধরে রাখাটাও এক ধরনের সফলতা। প্রতি বছর আমাদের দেশে প্রায় ২০ লাখ তরুণ শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির বাজরে প্রবেশ করে। তবে বিপুল এ জনগোষ্ঠীর জন্য উপযোগী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। এদের অনেকেই হয়তো চাকরি পাবে। তবে অবশিষ্টদের মধ্যে একটি বড় অংশ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণ উদ্যোক্তারা তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে বেশ উদ্ভাবনী দক্ষতার অধিকারী। ব্যারিস্টার সাত্তার বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীল বাজারে সিএমএসএমই খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ঋণের সজলভ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিদ্যমান জটিল পরিস্থতিতে তাদের সহজ শর্তে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার সম্প্রতি শুধু শিল্পখাতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, বাসা-বাড়ি এবং কৃষিখাতের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ী সমাজ শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে উচ্চমূল্যে হলেও নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ পেতে চায়, যেন স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমাদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়। এটা সত্য যে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ এটি তাদের পণ্য উৎপাদন ব্যয় বাড়াবে।
ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্যের চাহিদা ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার শর্তাবলী সহজীকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ চুরি: নিউইয়র্ক আদালতে আপিল করল আরসিবিসি
ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, ২০২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। এ বছর কর্মী ছাঁটাই না করে প্রফিট মার্জিন কমিয়ে হলেও ব্যবসায় টিকে থাকাই হবে বড় সফলতা। আমরা দেখেছি মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা এসেছে। জাপানের মতো দেশে মুদ্রাস্ফীতি গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে বাংলাদেশ এর বাইরে নয়।
তিনি বলেন, মনিটরিং পলিসি ছয় মাস পর পর হচ্ছে। আমরা চাইবো তিন মাস পর পর পলিসি করা। বিদ্যমান পলিসি দিয়ে সবসময় চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পলিসি পরিবর্তন করতে হবে।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এসএ