১১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

কারাগারে রাজবন্দি নেই, সব বিএনপির হামলাকারী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১২৬ বার দেখা হয়েছে

দেশে কোনো রাজবন্দি নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা কারাগারে আছেন তারা বিএনপির হামলাকারী।আজ শনিবার (০৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই।  আমাদের কাছে বন্দি আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

তিনি বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন।  ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয়, তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

সংবিধান অনুযায়ী যেন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছেন দাবি করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সহায়তা কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি।

তিনি বলেন, যে দলটির কথা বললাম এই দলটি নানান দেশে নানান সময়ে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের আগে তারা কি একটা সহিংস অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে ভাঙচুর, সাংবাদিকদের নির্যাতন, মানুষকে মারধর করা, জাজেস কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করা কখনও দেখিনি। আসলে এসব করা হয়েছে মূলত: তারা নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে আসলে তাদের পরাজয় হবে, জয়ী হতে পারবে না। সেজন্য তারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এখন তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কোনো সত্যতা নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তবে কে কি বলল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, হামলা মামলা করে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত ও গণগ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করছেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হামলা মামলা, আমাদের পুলিশ বাহিনী বা আমাদের পলিটিক্যাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি, এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা।

আপনি বলছেন একটি দল অর্থাৎ বিএনপি অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিসের ওপর, কিসের ভিত্তিতে, কিসের বিনিময়ে স্টেটমেন্টগুলো দিচ্ছেন বলে আপনি মনে করেন? উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। তারা কে কিভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যেসব বলছে সেসব দেশে ঘটেনি। দুই একটি দেশ বাদে সব দেশ সাধুবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তারা মনে করে, দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

কারাগারে রাজবন্দি নেই, সব বিএনপির হামলাকারী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০৩:১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

দেশে কোনো রাজবন্দি নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা কারাগারে আছেন তারা বিএনপির হামলাকারী।আজ শনিবার (০৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই।  আমাদের কাছে বন্দি আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

তিনি বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন।  ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয়, তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

সংবিধান অনুযায়ী যেন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছেন দাবি করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সহায়তা কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি।

তিনি বলেন, যে দলটির কথা বললাম এই দলটি নানান দেশে নানান সময়ে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের আগে তারা কি একটা সহিংস অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে ভাঙচুর, সাংবাদিকদের নির্যাতন, মানুষকে মারধর করা, জাজেস কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করা কখনও দেখিনি। আসলে এসব করা হয়েছে মূলত: তারা নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে আসলে তাদের পরাজয় হবে, জয়ী হতে পারবে না। সেজন্য তারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এখন তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কোনো সত্যতা নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তবে কে কি বলল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, হামলা মামলা করে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত ও গণগ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করছেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হামলা মামলা, আমাদের পুলিশ বাহিনী বা আমাদের পলিটিক্যাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি, এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা।

আপনি বলছেন একটি দল অর্থাৎ বিএনপি অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিসের ওপর, কিসের ভিত্তিতে, কিসের বিনিময়ে স্টেটমেন্টগুলো দিচ্ছেন বলে আপনি মনে করেন? উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। তারা কে কিভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যেসব বলছে সেসব দেশে ঘটেনি। দুই একটি দেশ বাদে সব দেশ সাধুবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তারা মনে করে, দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ