০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প : মন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:২৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • / ৪১৬৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে। ফলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে ও যান্ত্রিকীকরণের সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের’ জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছর বোরোতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে সফলভাবে ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে অঞ্চলভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষিযন্ত্র দেয়া হচ্ছে। এটি সারাবিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। এর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সময় ও শ্রম খরচ কমবে। কৃষক লাভবান হবে। বাংলাদেশের কৃষিও শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত এবং আধুনিক হবে।

কৃষিযন্ত্রের প্রাপ্তি, ক্রয়, ব্যবহার ও মেরামত সহজতর করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে চাই। বর্তমানে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তা আমরা কমিয়ে আনতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা ইয়ানমার, টাটাসহ অনেক কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি, তাদেরকে অনুরোধ করেছি যাতে তারা বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

ভর্তুকি পাওয়ার পরেও কৃষিযন্ত্র কিনতে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেও বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২০৮ কোটি টাকার মাধ্যমে সারা দেশে ১৭৬২টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৩৭৯টি রিপার, ৩৪টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ প্রায় ২ হাজার ৩০০টি বিভিন্ন ধরণের কৃষিযন্ত্র কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক বেনজীর আলম। এ সময় কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী-সরবরাহকারীদের প্রতিনিধি, সুবিধাভোগী কৃষক এবং সারাদেশের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প : মন্ত্রী

আপডেট: ০৮:২৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে। ফলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে ও যান্ত্রিকীকরণের সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের’ জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছর বোরোতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে সফলভাবে ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে অঞ্চলভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষিযন্ত্র দেয়া হচ্ছে। এটি সারাবিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। এর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সময় ও শ্রম খরচ কমবে। কৃষক লাভবান হবে। বাংলাদেশের কৃষিও শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত এবং আধুনিক হবে।

কৃষিযন্ত্রের প্রাপ্তি, ক্রয়, ব্যবহার ও মেরামত সহজতর করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে চাই। বর্তমানে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তা আমরা কমিয়ে আনতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা ইয়ানমার, টাটাসহ অনেক কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি, তাদেরকে অনুরোধ করেছি যাতে তারা বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

ভর্তুকি পাওয়ার পরেও কৃষিযন্ত্র কিনতে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেও বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২০৮ কোটি টাকার মাধ্যমে সারা দেশে ১৭৬২টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৩৭৯টি রিপার, ৩৪টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ প্রায় ২ হাজার ৩০০টি বিভিন্ন ধরণের কৃষিযন্ত্র কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক বেনজীর আলম। এ সময় কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী-সরবরাহকারীদের প্রতিনিধি, সুবিধাভোগী কৃষক এবং সারাদেশের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: