০৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে চায় বানকো সিকিউরিটিজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
  • / ৪৩২৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে চায় সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজ। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে বানকো সিকিউরিটিজ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়। এজন্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭জুন) ডিএসইর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’ থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকার অর্থ ও শেয়ার আত্মসাতের ঘটনায় বানকো সিকিউরিটিজের কার্যক্রম বন্ধ করেছে দিয়েছে ডিএসই। তাতে যেসব গ্রাহক শেয়ার বিক্রি করে নগদ অর্থ উঠাতে পারেনি তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। তবে যাদের বিও হিসাবে শেয়ার আছে তারা লিঙ্ক একাউন্টে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে। আর এরমধ্যে ডিএসইর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বানকো সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ডিএসইর সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন।

জানা গেছে, বানকো সিকিউরিটিজের পক্ষে শফিউল আজম এবং মুনিম চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা ডিএসইর কাছে দাবী করেছেন তাদের গ্রাহক হিসাবে ১৮ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি আছে। এ টাকা তারা পরিশোধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএসইকে।

কিন্তু ডিএসই থেকে জানানো হয় কোনো মৌখিক ভাবে নয়, গ্রাহক হিসাব থেকে কি পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে সেই বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে গ্রাহকদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় তার একটি প্রস্তাবও বানকোর কাছে চেয়েছে ডিএসই।

এই প্রতিবেদন ও প্রস্তাবনা ডিএসই পর্ষদের উপস্থাপন করা হবে। ডিএসইর পর্ষদ বানকো সিকিউরিটিজের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে অর্থ আত্মসাতের যে মামলা হয়েছে সেটিও চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত, বানকো সিকিউরিটিজ থেকে বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা অর্থ ও শেয়ার আত্মসাতের ঘটনায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ সোমবার (১৪ জুন) মতিঝিল থানায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলেন, বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালক মো. শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত, এ. মুনিম চৌধুরী, জামিল আহমেদ চৌধুরী ও বাশার আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে মতিঝিল থানা অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠায়। ডিএসই প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪০৬ ও ৪০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে। অভিযোগটি থানায় দায়ের করা হলেও এর সব কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে দুদক।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে চায় বানকো সিকিউরিটিজ

আপডেট: ১১:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে চায় সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজ। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে বানকো সিকিউরিটিজ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়। এজন্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭জুন) ডিএসইর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’ থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকার অর্থ ও শেয়ার আত্মসাতের ঘটনায় বানকো সিকিউরিটিজের কার্যক্রম বন্ধ করেছে দিয়েছে ডিএসই। তাতে যেসব গ্রাহক শেয়ার বিক্রি করে নগদ অর্থ উঠাতে পারেনি তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। তবে যাদের বিও হিসাবে শেয়ার আছে তারা লিঙ্ক একাউন্টে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে। আর এরমধ্যে ডিএসইর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বানকো সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ডিএসইর সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন।

জানা গেছে, বানকো সিকিউরিটিজের পক্ষে শফিউল আজম এবং মুনিম চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা ডিএসইর কাছে দাবী করেছেন তাদের গ্রাহক হিসাবে ১৮ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি আছে। এ টাকা তারা পরিশোধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএসইকে।

কিন্তু ডিএসই থেকে জানানো হয় কোনো মৌখিক ভাবে নয়, গ্রাহক হিসাব থেকে কি পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে সেই বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে গ্রাহকদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় তার একটি প্রস্তাবও বানকোর কাছে চেয়েছে ডিএসই।

এই প্রতিবেদন ও প্রস্তাবনা ডিএসই পর্ষদের উপস্থাপন করা হবে। ডিএসইর পর্ষদ বানকো সিকিউরিটিজের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে অর্থ আত্মসাতের যে মামলা হয়েছে সেটিও চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত, বানকো সিকিউরিটিজ থেকে বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা অর্থ ও শেয়ার আত্মসাতের ঘটনায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ সোমবার (১৪ জুন) মতিঝিল থানায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলেন, বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালক মো. শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত, এ. মুনিম চৌধুরী, জামিল আহমেদ চৌধুরী ও বাশার আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে মতিঝিল থানা অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠায়। ডিএসই প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪০৬ ও ৪০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে। অভিযোগটি থানায় দায়ের করা হলেও এর সব কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে দুদক।

ঢাকা/এসআর