০৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

চকলেট তৈরিতে বিশ্বখ্যাত যেসব দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪২১৫ বার দেখা হয়েছে

চকলেটের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এ জিনিস খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু চকলেটপ্রেমীরা কী এর ইতিহাসটা জানেন? চকোলেট তৈরির ব্যাপারে এক দেশ আরেক দেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চকলেট কথাটা এসেছে মায়া ভাষায় ‘শোকোলাতিল’ শব্দটা থেকে, এটি মায়া সভ্যতার অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। এটি এতটাই জনপ্রিয় ছিল, বড়লোক-গরিব নির্বিশেষে সব অনুষ্ঠানে থাকতোই। কোকোর প্রতি এই প্রেম আজকের নয়। জানলে অবাক হবেন, কোকোর সঙ্গে লাতিন আমেরিকার সম্পর্ক তিন হাজার বছরের।

যিশুখ্রিষ্ট জন্মানোর হাজার বছর আগে দক্ষিণ মেক্সিকোয় থাকত ওল্‌মেক’রা। তারা কোকোর ভক্ত ছিল। কোকো নামটাও এসেছে ওল্‌মেক শব্দ ‘কাকাওয়া’ থেকে। আর মায়া সভ্যতার মানুষ যখন লাতিন আমেরিকার উত্তর দিকটায় থাকতে শুরু করে, তারা সঙ্গে কোকো গাছ নিয়ে এসে চাষ শুরু করে।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত

সেই সময়ে চিনির ব্যবহার মায়াদের অজানা ছিল, তাই চকোলেট বানানোর প্রক্রিয়া ছিল একদমই আলাদা। কোকো শুকিয়ে গুঁড়ো করে মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানানো হতো, তা মেশানো হতো গরম পানিতে। দক্ষিণ ভারতীয় কফির মতো করে ঢালা-উপুড় করা হতো বারবার, যতক্ষণ না এক রাশ ফেনা জমে ওঠে।

এই ফেনাসহ গরম চকলেট মাটির পাত্রে পরিবেশন করে সম্মান দেখানো হতো। এরপর বিভিন্ন সভ্যতায় কোকোর চাহিদা বাড়ে। চকলেট তৈরির পদ্ধতিতেও নানা বদল আসে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চকোলেট তৈরি করে। এক্ষেত্রে কয়েকটি দেশের নাম আগে আসবে, চকলেট তৈরিতে এবং তার স্বাদের বাহারে যারা ইতিহাস তৈরি করেছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

চকলেট তৈরিতে বিশ্বখ্যাত যেসব দেশ

আপডেট: ১১:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

চকলেটের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এ জিনিস খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু চকলেটপ্রেমীরা কী এর ইতিহাসটা জানেন? চকোলেট তৈরির ব্যাপারে এক দেশ আরেক দেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চকলেট কথাটা এসেছে মায়া ভাষায় ‘শোকোলাতিল’ শব্দটা থেকে, এটি মায়া সভ্যতার অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। এটি এতটাই জনপ্রিয় ছিল, বড়লোক-গরিব নির্বিশেষে সব অনুষ্ঠানে থাকতোই। কোকোর প্রতি এই প্রেম আজকের নয়। জানলে অবাক হবেন, কোকোর সঙ্গে লাতিন আমেরিকার সম্পর্ক তিন হাজার বছরের।

যিশুখ্রিষ্ট জন্মানোর হাজার বছর আগে দক্ষিণ মেক্সিকোয় থাকত ওল্‌মেক’রা। তারা কোকোর ভক্ত ছিল। কোকো নামটাও এসেছে ওল্‌মেক শব্দ ‘কাকাওয়া’ থেকে। আর মায়া সভ্যতার মানুষ যখন লাতিন আমেরিকার উত্তর দিকটায় থাকতে শুরু করে, তারা সঙ্গে কোকো গাছ নিয়ে এসে চাষ শুরু করে।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত

সেই সময়ে চিনির ব্যবহার মায়াদের অজানা ছিল, তাই চকোলেট বানানোর প্রক্রিয়া ছিল একদমই আলাদা। কোকো শুকিয়ে গুঁড়ো করে মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানানো হতো, তা মেশানো হতো গরম পানিতে। দক্ষিণ ভারতীয় কফির মতো করে ঢালা-উপুড় করা হতো বারবার, যতক্ষণ না এক রাশ ফেনা জমে ওঠে।

এই ফেনাসহ গরম চকলেট মাটির পাত্রে পরিবেশন করে সম্মান দেখানো হতো। এরপর বিভিন্ন সভ্যতায় কোকোর চাহিদা বাড়ে। চকলেট তৈরির পদ্ধতিতেও নানা বদল আসে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চকোলেট তৈরি করে। এক্ষেত্রে কয়েকটি দেশের নাম আগে আসবে, চকলেট তৈরিতে এবং তার স্বাদের বাহারে যারা ইতিহাস তৈরি করেছে।

ঢাকা/এসএম