০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গির হাতে মোটা অঙ্কের টাকা দেয় মেহেদী: সিটিটিসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪২০২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) মোটা অঙ্কের টাকা এনেছিলেন। এই টাকা ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিদের হাতে দেন তিনি। যাতে করে জঙ্গিরা টাকা-পয়সা দিয়ে তাদের পরবর্তী কার্যক্রম চালাতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান ঘটনার দিন আদালতে আসেন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে। তিনি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন ছিনিয়ে নেওয়ার পর জঙ্গিদের হাতে টাকা দেবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সিটিটিসি প্রধান বলেন, জঙ্গি ছিনতাই ঘটনায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষ নেতা বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে সমন্বয়ের পর সংগঠনের আসকরি শাখার সদস্যদের রিক্রুট করে।

তাদের মধ্যে ছিনতাইকৃত পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং মামলার এজাহার নামীয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন, যার সাংগঠনিক নাম-শাহরিয়ার। গ্রেফতার মেহেদী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার মেহেদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান জঙ্গি আসামিদের বিচারাধীন মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং তাদের সংগঠনের পরিকল্পনার কথা জানাতেন।

সংগঠনের পূর্বপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর গ্রেফতার মেহেদী হাসান ঢাকার সিএমএম আদালত জঙ্গিদের ছিনতাইয়ের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের পালাতে যেতে সহযোগিতা করেন।

আরও পড়ুন: রাজপথে শক্তি দেখালেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না: সিইসি

তিনি আরও বলেন, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৬ সালে মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর এবং বাড্ডা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তিনটি মামলা হয়। এছাড়াও ২০১০ এবং ২০১২ সালে সিলেট কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা রয়েছে।

এর আগে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। বুধবার (২৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গির হাতে মোটা অঙ্কের টাকা দেয় মেহেদী: সিটিটিসি

আপডেট: ০২:১৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) মোটা অঙ্কের টাকা এনেছিলেন। এই টাকা ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিদের হাতে দেন তিনি। যাতে করে জঙ্গিরা টাকা-পয়সা দিয়ে তাদের পরবর্তী কার্যক্রম চালাতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান ঘটনার দিন আদালতে আসেন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে। তিনি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন ছিনিয়ে নেওয়ার পর জঙ্গিদের হাতে টাকা দেবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সিটিটিসি প্রধান বলেন, জঙ্গি ছিনতাই ঘটনায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষ নেতা বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে সমন্বয়ের পর সংগঠনের আসকরি শাখার সদস্যদের রিক্রুট করে।

তাদের মধ্যে ছিনতাইকৃত পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং মামলার এজাহার নামীয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন, যার সাংগঠনিক নাম-শাহরিয়ার। গ্রেফতার মেহেদী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার মেহেদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান জঙ্গি আসামিদের বিচারাধীন মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং তাদের সংগঠনের পরিকল্পনার কথা জানাতেন।

সংগঠনের পূর্বপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর গ্রেফতার মেহেদী হাসান ঢাকার সিএমএম আদালত জঙ্গিদের ছিনতাইয়ের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের পালাতে যেতে সহযোগিতা করেন।

আরও পড়ুন: রাজপথে শক্তি দেখালেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না: সিইসি

তিনি আরও বলেন, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৬ সালে মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর এবং বাড্ডা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তিনটি মামলা হয়। এছাড়াও ২০১০ এবং ২০১২ সালে সিলেট কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা রয়েছে।

এর আগে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। বুধবার (২৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা।

ঢাকা/এসএ