০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

‘ট্যাক্স বেনিফিট নয়, ভ্যালু অ্যাডের জন্য ওয়ালটন বাজারে এসেছে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • / ৪২৯০ বার দেখা হয়েছে

“যেকোন কোম্পানিকে তালিকাভূক্তির শর্ত হিসেবে ১০ শতাংশ বা তা না হলেও সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে- সালমান এফ রহমান”

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শুধুমাত্র ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়ার জন্য ওয়ালটন শেয়ারবাজারে আসেনি। বরং তারা এসেছে ভ্যালু অ্যাড করার জন্য। মাত্র ১ পার্সেন্ট শেয়ার নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ওভারনাইট তাদের মার্কেট ক্যাপ তিন থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে পৌছে গেছে। এটা আমাদের বাজারের জন্য কখনোই সুখকর নয়। শনিবার ‘বিনিয়োগ ভাবনা, আসছে বাজেটে পুঁজিবাজার কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে‘ বিষয়ক এক অনলাইন ডায়লগে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান কমিশন ওয়ালটনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আরও ৪-৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে আনতে সক্ষম হবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনলাইন ডায়লগে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. হাসান এইচ মনসুর, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান ও এমএমএইচ অ্যান্ড কো. ম্যানেজিং পার্টনার মুহাম্মদ হোসেন, এফসিএ।

ওয়ালটন প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, যদিও ওয়ালটন আসার কারণে বাজার মূলধন অনেক বেড়েছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে মাত্র ১ শতাংশ শেয়ার শুধু বিনিয়োগকারীদের হাতে, বাকি ৯৯ শতাংশ কিন্তু উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে। এটা বাজারে জন্য বড় ক্ষতির কারণ। আমি এ কথাটি বলেছি যে, একদিকে শেযারের দাম বাড়তে থাকবে, অন্যদিকে কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ বাড়তে থাকবে। কিন্তু লাভবান হবে কারা?

তবে যেকোন কোম্পানিকে তালিকাভূক্তির শর্ত হিসেবে ১০ শতাংশ বা তা না হলেও সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে বলে তিনি মনে করছেন। অনথায় প্রাইস ডিস্টোরশন এবং মার্কেট ক্যাপ ডিস্টোরশন থেকে যাবে।

ডিএসই প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের অধিকাংশ সংস্কার আমরা করে ফেলেছি। তবে একটা জায়গায় আমাদের দুর্বলতা রয়ে গেছে।যত দ্রুত সম্ভব ডিএসইর কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর পরিচালনা পর্ষদকে আরও শক্তিশালি করতে হবে। যদিও ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে এডিবি একটা রড় সংস্কার করেছিল। এরপর ডিএসই বললো আমাদেরকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এনে দাও, সেটাও দেয়া হলো। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে ডিএসই যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা, তারা কিন্তু তা হতে পারেনি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আমি জানি বিএসইসি এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমি নিজেও স্টক এক্সেচেঞ্জের পুরো বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। আমার মনে হয় তারা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই একটাই দুর্বলতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে একটা ভালো ফল পাবো।

এ সময় তিনি স্মল ক্যাপ বোর্ড গঠন ও সুকুক বন্ডের বিষয়ে বিএসইসির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারেও আমি ছোট ছোট বা স্মলক্যাপ কোম্পানিগুলোকে রোল প্লে করতে দেখেছি। আমার মনে হয় পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে বিএসইসি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই স্মল ক্যাপ কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি সুকুক বন্ড, ট্রেজারি বন্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের পারপিচ্যুয়াল বন্ডগুলো লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ট্রেডিং শুরু হলে আমাদের মার্কেট ক্যাপিটাল অনেক বেড়ে যাবে। তখন হয়তো আমরা এটা বলার সুযোগ পাবো না যে, জিডিপিতে আমাদের পুঁজিবাজারেরঅংশগ্রহণ খুবই সামান্য।

ডিএসইর সংস্কার ইস্যুতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, আমরা ডিএসই‘র সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছি। ডিএসইর আইটি প্ল্যাটফর্সের ডেভলপমেন্টের কাজ চলছে। এছাড়াও আমাদের কাছে ৬ মাসের ফ্লো-চার্ট রয়েছে। সেটা দেখে আমরা ফলোআপ করছি। বিশেষ করে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রেখেছি।

ঢাকা/এইচকে

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

‘ট্যাক্স বেনিফিট নয়, ভ্যালু অ্যাডের জন্য ওয়ালটন বাজারে এসেছে’

আপডেট: ০৯:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

“যেকোন কোম্পানিকে তালিকাভূক্তির শর্ত হিসেবে ১০ শতাংশ বা তা না হলেও সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে- সালমান এফ রহমান”

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শুধুমাত্র ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়ার জন্য ওয়ালটন শেয়ারবাজারে আসেনি। বরং তারা এসেছে ভ্যালু অ্যাড করার জন্য। মাত্র ১ পার্সেন্ট শেয়ার নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ওভারনাইট তাদের মার্কেট ক্যাপ তিন থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে পৌছে গেছে। এটা আমাদের বাজারের জন্য কখনোই সুখকর নয়। শনিবার ‘বিনিয়োগ ভাবনা, আসছে বাজেটে পুঁজিবাজার কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে‘ বিষয়ক এক অনলাইন ডায়লগে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান কমিশন ওয়ালটনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আরও ৪-৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে আনতে সক্ষম হবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনলাইন ডায়লগে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. হাসান এইচ মনসুর, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান ও এমএমএইচ অ্যান্ড কো. ম্যানেজিং পার্টনার মুহাম্মদ হোসেন, এফসিএ।

ওয়ালটন প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, যদিও ওয়ালটন আসার কারণে বাজার মূলধন অনেক বেড়েছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে মাত্র ১ শতাংশ শেয়ার শুধু বিনিয়োগকারীদের হাতে, বাকি ৯৯ শতাংশ কিন্তু উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে। এটা বাজারে জন্য বড় ক্ষতির কারণ। আমি এ কথাটি বলেছি যে, একদিকে শেযারের দাম বাড়তে থাকবে, অন্যদিকে কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ বাড়তে থাকবে। কিন্তু লাভবান হবে কারা?

তবে যেকোন কোম্পানিকে তালিকাভূক্তির শর্ত হিসেবে ১০ শতাংশ বা তা না হলেও সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে বলে তিনি মনে করছেন। অনথায় প্রাইস ডিস্টোরশন এবং মার্কেট ক্যাপ ডিস্টোরশন থেকে যাবে।

ডিএসই প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের অধিকাংশ সংস্কার আমরা করে ফেলেছি। তবে একটা জায়গায় আমাদের দুর্বলতা রয়ে গেছে।যত দ্রুত সম্ভব ডিএসইর কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর পরিচালনা পর্ষদকে আরও শক্তিশালি করতে হবে। যদিও ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে এডিবি একটা রড় সংস্কার করেছিল। এরপর ডিএসই বললো আমাদেরকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এনে দাও, সেটাও দেয়া হলো। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে ডিএসই যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা, তারা কিন্তু তা হতে পারেনি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আমি জানি বিএসইসি এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমি নিজেও স্টক এক্সেচেঞ্জের পুরো বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। আমার মনে হয় তারা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই একটাই দুর্বলতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে একটা ভালো ফল পাবো।

এ সময় তিনি স্মল ক্যাপ বোর্ড গঠন ও সুকুক বন্ডের বিষয়ে বিএসইসির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারেও আমি ছোট ছোট বা স্মলক্যাপ কোম্পানিগুলোকে রোল প্লে করতে দেখেছি। আমার মনে হয় পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে বিএসইসি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই স্মল ক্যাপ কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি সুকুক বন্ড, ট্রেজারি বন্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের পারপিচ্যুয়াল বন্ডগুলো লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ট্রেডিং শুরু হলে আমাদের মার্কেট ক্যাপিটাল অনেক বেড়ে যাবে। তখন হয়তো আমরা এটা বলার সুযোগ পাবো না যে, জিডিপিতে আমাদের পুঁজিবাজারেরঅংশগ্রহণ খুবই সামান্য।

ডিএসইর সংস্কার ইস্যুতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, আমরা ডিএসই‘র সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছি। ডিএসইর আইটি প্ল্যাটফর্সের ডেভলপমেন্টের কাজ চলছে। এছাড়াও আমাদের কাছে ৬ মাসের ফ্লো-চার্ট রয়েছে। সেটা দেখে আমরা ফলোআপ করছি। বিশেষ করে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রেখেছি।

ঢাকা/এইচকে

 

আরও পড়ুন: