১২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

‘দুই-তিন মাসের মধ্যেই ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু হবে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • / ৪২৭২ বার দেখা হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক: দুই-তিন মাসের মধ্যেই পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত-ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ২ লাখ কোাটি টাকার ট্রেজারি বন্ডও আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে লেনদেনে নিয়ে আসা হবে। আমরা আশা করি, এসব কারণে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জায়গাও বাড়বে।’ এ সময় তিনি আরও জানান, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আগামী অর্থবছরের বাজেটে একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বিএসইসি। এর প্রভাবে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। শনিবার ‘বিনিয়োগ ভাবনা, আসছে বাজেটে পুঁজিবাজার কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে‘ বিষয়ক এক অনলাইন ডায়লগে তিনি এসব কথা জানান।

অনলাইন ডায়লগে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. হাসান এইচ মনসুর, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান ও এমএমএইচ অ্যান্ড কো. ম্যানেজিং পার্টনার মুহাম্মদ হোসেন, এফসিএ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরনের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। মিউচুয়াল ফান্ডের আয়ের উপর কর সুবিধা, জিরো কুপন বন্ড, সুকুক বন্ড, এসএমই বোর্ডে আসা কোম্পানিগুলোর জন্যও কর সুবিধা চাওয়া হয়েছে আগামী বাজেটে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ২ লাখ কোাটি টাকার ট্রেজারি বন্ডও আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে লেনদেনে নিয়ে আসা হবে। আমরা আশা করি, এসব কারণে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জায়গাও বাড়বে।’

২০১০ সালের মহাধসের পর চলতি বছরের আগে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হাতে গোণা কয়েক দিন। এর মধ্যে চলতি বছরই চার দিন লেনদেন হয়েছে এই পরিমাণ। ২০২০ সালের ২৮ জুন দুই হাজার ৫৪৩ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদলের ইতিহাস আছে, যদিও সেটি একটি বিশেষ কারণে। সেদিন ব্লক মার্কেটে জেএসকের শেয়ার ইউনিলিভারের কাছে হস্তান্তরের কারণে স্ফীত দেখিয়েছিল লেনদেনের চিত্র। এটা বাদ দিলে প্রকৃত লেনদেন ছিল কম।

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লে প্রকৃত পক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও (এনবিআর) এর সুফল পাবে। বিষয়টি সম্পর্কে এনবিআরকেও অবগত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়াম্যান বলেন, ‘এনবিআরকে আমরা এ তথ্যগুলো দিচ্ছি যে, পুঁজিবাজারকে কোনোভাবে সাহায্য করলে, পুঁজিবাজারের লেনদেন বাড়লে, পুঁজিবাজারের গতি আসলে এর প্রকৃত সুবিধা এনবিআরের কাছেই যায়।

‘পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সিডিবিএল, এবং বিএসইসি থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় করেছে ২৬৩ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৩৫০ টাকা অতিক্রম করবে। বন্ড থেকে এনবিআর কী পরিমাণ রেভিনিউ পায় সেটিও আমরা বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি সে তথ্যও এনবিআরকে দেয়া সম্ভব হবে।’

চেয়ারম্যান বলেন, জিরো কুপন বন্ডে যে কর সুবিধা আছে অন্যান্য বন্ডের ক্ষেত্রেও যেন সেটি বহাল থাকে, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আমরা আশা করি, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে সরকার ও এনবিআর আমাদের সহায়তা করবে।’

শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম বলেন, ‘ক্ষুদ্র মূলধনী কোম্পানি বা এসএমই বোর্ড আমরা শুরু করেছি। এটি চালু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে পুঁজিবাজারে আগে শুধু একটি বোর্ড ছিল। সেখানে সব কোম্পানি চলে আসতো। এমনকি নানাভাবে কোম্পানিগুলো তাদের মূলধন ৫০ কোটি টাকা দেখিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতো।

‘আমরা এসএমই বোর্ডে যাদের কম মূলধন তাদের সেখানে দিচ্ছি। তারা দুই চার বছর ভালো করলে মূল বোর্ডে নিয়ে আসা হবে। এসএমই বোর্ডে যেসব কোম্পানি আসবে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে সেসব কোম্পনিগুলোকে যেন কিছুটা কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হয়।’

শিবলী রুবাইয়াত উল- ইসলাম বলেন, ‘নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে এবার আমরা খুবই সচেতন। ভালো কোম্পানি, শক্তিশালী কোম্পানি, যাদের কাছে বিনিয়োগ নিরাপদ তাদেরকেই আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। আগে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কিছু কিছু জায়গায় ডাবল ট্যাক্সেশন আছে। সে বিষয়গুলোতেও আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।

‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে জনপ্রিয় করতে আমরা অনেক কাজ করছি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যে সিলিং আছে সেটি বৃদ্ধি করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকামকে ট্যাক্স ইনসেনটিভ করার অনুরোধ করেছি। জানিনা এখানে কি হবে। তবে আমরা আশাবাদী।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ব্যাংকের মতো না। কিন্ত এখানে ট্যাক্সের রেট অনেক বেশি। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নরমাল ব্যাংকের মতো না ধরে তাদের কে একটু ছোট হিসাবে ছাড় দেয়া যায়, তাদের ক্ষেত্রেও কর কমানোর প্রস্তাব করেছি।

‘দেশে জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে সুকুক বন্ড। এখানেও নানা ধরনের কর প্রদান করতে হয়। আমরা এ বিষয়টিও সরকারের কাছে, এনবিআরের কাছে বলেছি, তারা যেন এ বিষয়গুলো নজর দেন। আমরা যেন সুকুক জনপ্রিয় করতে পারি। যা দেশের অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি, আমাদের দেশে ব্যবসা করে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কিন্ত আমাদের এখানে নেই। কিছু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও আছে, যা বলেন এগুলো তাদের শাখা অফিস, কিন্ত তারাও আমাদের লিস্টিংয়ে আসছে না।

‘কিন্ত দেখা যায়, তারা প্রতি বছর কয়েকশ কোটি টাকা মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন কোম্পানিগুলোকে ডেকেছি। আমরা তাদের মোটিভেট করার চেষ্টা করব। মনে হয় তাদের মোটিভেট করলে তারা আমাদের স্টক মার্কেটে আসতে পারে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। দেখা যাক কতজনকে আমরা নিয়ে আসতে পারি।’

ঢাকা/এইচ কে জনি

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

‘দুই-তিন মাসের মধ্যেই ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু হবে’

আপডেট: ০২:০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক: দুই-তিন মাসের মধ্যেই পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত-ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ২ লাখ কোাটি টাকার ট্রেজারি বন্ডও আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে লেনদেনে নিয়ে আসা হবে। আমরা আশা করি, এসব কারণে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জায়গাও বাড়বে।’ এ সময় তিনি আরও জানান, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আগামী অর্থবছরের বাজেটে একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বিএসইসি। এর প্রভাবে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। শনিবার ‘বিনিয়োগ ভাবনা, আসছে বাজেটে পুঁজিবাজার কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে‘ বিষয়ক এক অনলাইন ডায়লগে তিনি এসব কথা জানান।

অনলাইন ডায়লগে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. হাসান এইচ মনসুর, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান ও এমএমএইচ অ্যান্ড কো. ম্যানেজিং পার্টনার মুহাম্মদ হোসেন, এফসিএ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরনের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। মিউচুয়াল ফান্ডের আয়ের উপর কর সুবিধা, জিরো কুপন বন্ড, সুকুক বন্ড, এসএমই বোর্ডে আসা কোম্পানিগুলোর জন্যও কর সুবিধা চাওয়া হয়েছে আগামী বাজেটে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ২ লাখ কোাটি টাকার ট্রেজারি বন্ডও আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে লেনদেনে নিয়ে আসা হবে। আমরা আশা করি, এসব কারণে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জায়গাও বাড়বে।’

২০১০ সালের মহাধসের পর চলতি বছরের আগে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হাতে গোণা কয়েক দিন। এর মধ্যে চলতি বছরই চার দিন লেনদেন হয়েছে এই পরিমাণ। ২০২০ সালের ২৮ জুন দুই হাজার ৫৪৩ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদলের ইতিহাস আছে, যদিও সেটি একটি বিশেষ কারণে। সেদিন ব্লক মার্কেটে জেএসকের শেয়ার ইউনিলিভারের কাছে হস্তান্তরের কারণে স্ফীত দেখিয়েছিল লেনদেনের চিত্র। এটা বাদ দিলে প্রকৃত লেনদেন ছিল কম।

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লে প্রকৃত পক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও (এনবিআর) এর সুফল পাবে। বিষয়টি সম্পর্কে এনবিআরকেও অবগত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়াম্যান বলেন, ‘এনবিআরকে আমরা এ তথ্যগুলো দিচ্ছি যে, পুঁজিবাজারকে কোনোভাবে সাহায্য করলে, পুঁজিবাজারের লেনদেন বাড়লে, পুঁজিবাজারের গতি আসলে এর প্রকৃত সুবিধা এনবিআরের কাছেই যায়।

‘পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সিডিবিএল, এবং বিএসইসি থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় করেছে ২৬৩ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৩৫০ টাকা অতিক্রম করবে। বন্ড থেকে এনবিআর কী পরিমাণ রেভিনিউ পায় সেটিও আমরা বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি সে তথ্যও এনবিআরকে দেয়া সম্ভব হবে।’

চেয়ারম্যান বলেন, জিরো কুপন বন্ডে যে কর সুবিধা আছে অন্যান্য বন্ডের ক্ষেত্রেও যেন সেটি বহাল থাকে, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আমরা আশা করি, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে সরকার ও এনবিআর আমাদের সহায়তা করবে।’

শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম বলেন, ‘ক্ষুদ্র মূলধনী কোম্পানি বা এসএমই বোর্ড আমরা শুরু করেছি। এটি চালু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে পুঁজিবাজারে আগে শুধু একটি বোর্ড ছিল। সেখানে সব কোম্পানি চলে আসতো। এমনকি নানাভাবে কোম্পানিগুলো তাদের মূলধন ৫০ কোটি টাকা দেখিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতো।

‘আমরা এসএমই বোর্ডে যাদের কম মূলধন তাদের সেখানে দিচ্ছি। তারা দুই চার বছর ভালো করলে মূল বোর্ডে নিয়ে আসা হবে। এসএমই বোর্ডে যেসব কোম্পানি আসবে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে সেসব কোম্পনিগুলোকে যেন কিছুটা কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হয়।’

শিবলী রুবাইয়াত উল- ইসলাম বলেন, ‘নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে এবার আমরা খুবই সচেতন। ভালো কোম্পানি, শক্তিশালী কোম্পানি, যাদের কাছে বিনিয়োগ নিরাপদ তাদেরকেই আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। আগে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কিছু কিছু জায়গায় ডাবল ট্যাক্সেশন আছে। সে বিষয়গুলোতেও আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।

‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে জনপ্রিয় করতে আমরা অনেক কাজ করছি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যে সিলিং আছে সেটি বৃদ্ধি করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকামকে ট্যাক্স ইনসেনটিভ করার অনুরোধ করেছি। জানিনা এখানে কি হবে। তবে আমরা আশাবাদী।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ব্যাংকের মতো না। কিন্ত এখানে ট্যাক্সের রেট অনেক বেশি। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নরমাল ব্যাংকের মতো না ধরে তাদের কে একটু ছোট হিসাবে ছাড় দেয়া যায়, তাদের ক্ষেত্রেও কর কমানোর প্রস্তাব করেছি।

‘দেশে জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে সুকুক বন্ড। এখানেও নানা ধরনের কর প্রদান করতে হয়। আমরা এ বিষয়টিও সরকারের কাছে, এনবিআরের কাছে বলেছি, তারা যেন এ বিষয়গুলো নজর দেন। আমরা যেন সুকুক জনপ্রিয় করতে পারি। যা দেশের অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি, আমাদের দেশে ব্যবসা করে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কিন্ত আমাদের এখানে নেই। কিছু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও আছে, যা বলেন এগুলো তাদের শাখা অফিস, কিন্ত তারাও আমাদের লিস্টিংয়ে আসছে না।

‘কিন্ত দেখা যায়, তারা প্রতি বছর কয়েকশ কোটি টাকা মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন কোম্পানিগুলোকে ডেকেছি। আমরা তাদের মোটিভেট করার চেষ্টা করব। মনে হয় তাদের মোটিভেট করলে তারা আমাদের স্টক মার্কেটে আসতে পারে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। দেখা যাক কতজনকে আমরা নিয়ে আসতে পারি।’

ঢাকা/এইচ কে জনি

আরও পড়ুন: