০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডলার সংকটের মধ্যেও পোশাক খাতের এলসি খোলা যাচ্ছে: ফারুক হাসান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৩৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে ডলার সংকট চলছে। এতে পোশাক শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খুলতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কোনো ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত এলসি খুলতে না পারার অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে প্রাক-মেইড ইন বাংলাদেশ উইক বিষয়ে বিজিএমইএর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এসময় তিনি বলেন, মেইড ইন বাংলাদেশ উইকে পোশাক খাতের নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষাসহ অনুসরণযোগ্য চর্চার গল্প নিয়ে ‘ওয়ান জিরো ওয়ান গুড প্রাকটিস ইন আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ’ এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ‘বাংলাদেশ হ্যারিটেজ বুক’ নামে দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বদলে যাওয়া পোশাক খাত সম্পর্কে বিশ্বের মানুষ জানতে পারবে। রাজধানীর বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে (বিআইসিসি) থাকছে সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

তিনি বলেন, দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ক্রয়াদেশ কমে গেলে পণ্যের দাম কমিয়ে দেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, কোন ভাবেই পণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া যাবে না। রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিবহণ খরচ ও পণ্যের কাঁচামালে খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এতে আপনার শিল্প লোকশানে পড়তে পারে। এজন্য সব ব্যবসায়ীরা যদি দাম না কমিয়ে মান সংরক্ষণ করি তাহলে ক্রেতারা অবশ্যই বাংলাদেশে আসতে শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে খরচ বেড়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের টিকে থাকতে হলে পণ্যের মান সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা বিশ্বের খরচ বিবেচনায় আমাদের দেশে আসতে বাধ্য হবে। আর এই সংকটের সময় আমরা মান সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হলে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই খাতটিতে চ্যালেঞ্জ সব সময় ছিলো। কিন্তু এখন আগের চেয়ে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জকে সাথে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে মেইড ইন বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের দেখাতে চাই, আমরা কি ধরণের কাজ করছি এবং পোশাকের মান তুলে ধরতে চাই। যাতে আমাদের উপর তাদের আস্থা আরও বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ঋণের ২ হাজার কোটি টাকা বিতরণ না হওয়া হতাশাজনক: ডেপুটি গভর্নর

এছাড়াও তিনি বলেন, অনুষ্ঠানটির আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে বেশকিছু বিদেশি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। এছাড়া আরও বিদেশি ক্রেতারা আসবেন। তারাতো নিশ্চয়ই কিছু ডলার ও পাউন্ড সাথে করে নিয়ে আসবেন। তাই বাংলাদেশের রিজার্ভে বেশ কিছু ডলার যুক্ত হবে বলে আশা করি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ রপ্তানি বাজার হিসেবে বড় দেশ এবং জোটের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া যেসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, সেসব দেশের ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিরা থাকবেন। বর্তমানে ১৬০ দেশে যায় বাংলাদেশের পোশাক। বিশ্বের বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।

আগামীকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে তুলে ধরতে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক, ২০২২’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ডলার সংকটের মধ্যেও পোশাক খাতের এলসি খোলা যাচ্ছে: ফারুক হাসান

আপডেট: ০৮:০৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে ডলার সংকট চলছে। এতে পোশাক শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খুলতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কোনো ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত এলসি খুলতে না পারার অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে প্রাক-মেইড ইন বাংলাদেশ উইক বিষয়ে বিজিএমইএর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এসময় তিনি বলেন, মেইড ইন বাংলাদেশ উইকে পোশাক খাতের নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষাসহ অনুসরণযোগ্য চর্চার গল্প নিয়ে ‘ওয়ান জিরো ওয়ান গুড প্রাকটিস ইন আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ’ এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ‘বাংলাদেশ হ্যারিটেজ বুক’ নামে দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বদলে যাওয়া পোশাক খাত সম্পর্কে বিশ্বের মানুষ জানতে পারবে। রাজধানীর বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে (বিআইসিসি) থাকছে সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

তিনি বলেন, দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ক্রয়াদেশ কমে গেলে পণ্যের দাম কমিয়ে দেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, কোন ভাবেই পণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া যাবে না। রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিবহণ খরচ ও পণ্যের কাঁচামালে খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এতে আপনার শিল্প লোকশানে পড়তে পারে। এজন্য সব ব্যবসায়ীরা যদি দাম না কমিয়ে মান সংরক্ষণ করি তাহলে ক্রেতারা অবশ্যই বাংলাদেশে আসতে শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে খরচ বেড়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের টিকে থাকতে হলে পণ্যের মান সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা বিশ্বের খরচ বিবেচনায় আমাদের দেশে আসতে বাধ্য হবে। আর এই সংকটের সময় আমরা মান সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হলে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই খাতটিতে চ্যালেঞ্জ সব সময় ছিলো। কিন্তু এখন আগের চেয়ে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জকে সাথে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে মেইড ইন বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের দেখাতে চাই, আমরা কি ধরণের কাজ করছি এবং পোশাকের মান তুলে ধরতে চাই। যাতে আমাদের উপর তাদের আস্থা আরও বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ঋণের ২ হাজার কোটি টাকা বিতরণ না হওয়া হতাশাজনক: ডেপুটি গভর্নর

এছাড়াও তিনি বলেন, অনুষ্ঠানটির আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে বেশকিছু বিদেশি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। এছাড়া আরও বিদেশি ক্রেতারা আসবেন। তারাতো নিশ্চয়ই কিছু ডলার ও পাউন্ড সাথে করে নিয়ে আসবেন। তাই বাংলাদেশের রিজার্ভে বেশ কিছু ডলার যুক্ত হবে বলে আশা করি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ রপ্তানি বাজার হিসেবে বড় দেশ এবং জোটের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া যেসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, সেসব দেশের ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিরা থাকবেন। বর্তমানে ১৬০ দেশে যায় বাংলাদেশের পোশাক। বিশ্বের বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।

আগামীকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে তুলে ধরতে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক, ২০২২’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা/এসএ