০২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ডিএসই’র কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটির কারণ পর্যবেক্ষনে দুই সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মাঝে এ ত্রুটির কারণ পর্যবেক্ষন করে কমিটিকে তা জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।

রোববার (১০ মার্চ) বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. দস্তগির হোসেনকে কে ডিএসইর এই ত্রুটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে রোববার (১০ মার্চ) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শুরুতেই ডিএসইর ওয়েবসাইটে এই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। লেনদেন শুরুর পর থেকে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত ডিএসইর ওয়েবসাইটিতে সূচক সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখায়। ফলে পুঁজিবাজারের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিনিয়োগকারীরা।

এদিন সকাল ১০টায় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। তখন থেকেই ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দেখানো শুরু হয়। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ডিএসই ইনডেক্স ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ হাজার ১২.৩৬ পয়েন্ট বা ৯৯.৯৯ শতাংশ কমে ০.৩৯ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। অথচ তখন পর্যন্ত বাজারে ২২৬টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর ৭০.৩২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন

আলোচিত সময়ে শরীয়া সূচক ডিএসইএসের অবস্থান দেখানো হয় ০.০৪ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৩৩৫.৮৪ পয়েন্ট বা ৯৯.৯৯ শতাংশ কম। অন্যদিকে বাজার মূলধনের দিক থেকে বৃহৎ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ এর অবস্থান দেখানো হয় ২ হাজার ৯৬.৫৭ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ২.২৩ পয়েন্ট বা ০.১০৬ শতাংশ বেশি। তবে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ওয়েবসাইটে মুল্যসূচক তিনটির সব তথ্য দেখানো হয় শূন্য। এদিকে সূচকের গ্রাফেও কোনো তথ্য ছিল না বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।

এদিকে দুপুর আড়াইটার পর লেনদেন শেষে ডিএসইর ওয়েবসাইটে ডিএসইএক্স সূচক ১৪১ পয়েন্ট বাড়ছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু মূল সূচক ছিল ঋণাত্মক ৫ হাজার ৯৭১ পয়েন্ট, যা পুরোপুরি বিভ্রান্তমূলক তথ্য। একইভাবে শরীয়া ডিএসইএস সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু মূল সূচক ছিল ঋণাত্মক ১ হাজার ৩৪০ পয়েন্ট, এটাও পুরোপুরি বিভ্রান্তমূলক তথ্য। পাশাপাশি ডিএস৩০ সূচকও ২০৮৩ পয়েন্ট বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু মূল সূচক ছিল ঋণাত্মক ১০পয়েন্ট, এটাও পুরোপুরি বিভ্রান্তমূলক তথ্য।

এদিকে সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে ডিএসইর ওয়েবসাইটে এক বার্তায় জানানো হয়, অপারেশনগত ত্রুটির কারণে ডিএসইর ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখাচ্ছে। এ জন্য সূচক দেখে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে ঘণ্টাখানেক পর ওই বার্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ডিএসই’র কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট: ০৯:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটির কারণ পর্যবেক্ষনে দুই সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মাঝে এ ত্রুটির কারণ পর্যবেক্ষন করে কমিটিকে তা জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।

রোববার (১০ মার্চ) বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. দস্তগির হোসেনকে কে ডিএসইর এই ত্রুটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে রোববার (১০ মার্চ) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শুরুতেই ডিএসইর ওয়েবসাইটে এই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। লেনদেন শুরুর পর থেকে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত ডিএসইর ওয়েবসাইটিতে সূচক সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখায়। ফলে পুঁজিবাজারের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিনিয়োগকারীরা।

এদিন সকাল ১০টায় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। তখন থেকেই ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দেখানো শুরু হয়। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ডিএসই ইনডেক্স ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ হাজার ১২.৩৬ পয়েন্ট বা ৯৯.৯৯ শতাংশ কমে ০.৩৯ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। অথচ তখন পর্যন্ত বাজারে ২২৬টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর ৭০.৩২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন

আলোচিত সময়ে শরীয়া সূচক ডিএসইএসের অবস্থান দেখানো হয় ০.০৪ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৩৩৫.৮৪ পয়েন্ট বা ৯৯.৯৯ শতাংশ কম। অন্যদিকে বাজার মূলধনের দিক থেকে বৃহৎ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ এর অবস্থান দেখানো হয় ২ হাজার ৯৬.৫৭ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ২.২৩ পয়েন্ট বা ০.১০৬ শতাংশ বেশি। তবে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ওয়েবসাইটে মুল্যসূচক তিনটির সব তথ্য দেখানো হয় শূন্য। এদিকে সূচকের গ্রাফেও কোনো তথ্য ছিল না বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।

এদিকে দুপুর আড়াইটার পর লেনদেন শেষে ডিএসইর ওয়েবসাইটে ডিএসইএক্স সূচক ১৪১ পয়েন্ট বাড়ছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু মূল সূচক ছিল ঋণাত্মক ৫ হাজার ৯৭১ পয়েন্ট, যা পুরোপুরি বিভ্রান্তমূলক তথ্য। একইভাবে শরীয়া ডিএসইএস সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু মূল সূচক ছিল ঋণাত্মক ১ হাজার ৩৪০ পয়েন্ট, এটাও পুরোপুরি বিভ্রান্তমূলক তথ্য। পাশাপাশি ডিএস৩০ সূচকও ২০৮৩ পয়েন্ট বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু মূল সূচক ছিল ঋণাত্মক ১০পয়েন্ট, এটাও পুরোপুরি বিভ্রান্তমূলক তথ্য।

এদিকে সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে ডিএসইর ওয়েবসাইটে এক বার্তায় জানানো হয়, অপারেশনগত ত্রুটির কারণে ডিএসইর ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখাচ্ছে। এ জন্য সূচক দেখে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে ঘণ্টাখানেক পর ওই বার্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ঢাকা/এসএ