১০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডিএসই‘র লেনদেন বেড়েছে ৪৮ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেশের পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ডিএসই’র লেনদেন বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। তবে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সব সূচক। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৪ হাজার ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা বা ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৮১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৫৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ কমে ৬ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে।

ডিএসইর অন্য সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে।

শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১০ দশমিক ৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৯ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ে লেনদেন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। 

ডিএসইতে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ভ্রমণ খাতে, ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পেপার খাতে রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। সাধারণ বীমা খাতে ২ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে ঋণাত্মক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষ ছিল জীবন বীমা খাত। এ খাত থেকে রিটার্ন এসেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ১ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্ন নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাট খাত।

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকায়। সপ্তাহ শেষে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ১৯৮টির। আর ৩৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়নি ৬টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬১ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৩১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ডিএসই‘র লেনদেন বেড়েছে ৪৮ শতাংশ

আপডেট: ০৩:২১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেশের পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ডিএসই’র লেনদেন বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। তবে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সব সূচক। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৪ হাজার ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা বা ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৮১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৫৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ কমে ৬ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে।

ডিএসইর অন্য সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে।

শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১০ দশমিক ৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৯ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ে লেনদেন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। 

ডিএসইতে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ভ্রমণ খাতে, ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পেপার খাতে রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। সাধারণ বীমা খাতে ২ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে ঋণাত্মক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষ ছিল জীবন বীমা খাত। এ খাত থেকে রিটার্ন এসেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ১ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্ন নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাট খাত।

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকায়। সপ্তাহ শেষে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ১৯৮টির। আর ৩৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়নি ৬টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬১ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৩১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা।

ঢাকা/টিএ