০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ডেলিভারির পরেই ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১২১ বার দেখা হয়েছে

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সদ্য মায়েদের খুশির যেন কমতি থাকে না। আর নবজাতকের খেয়াল রাখতে গিয়ে মায়েরা নিজেদের খেয়াল রাখতেই ভুলে যান। তারা নিজেদের দিকে একদমই নজর দেন না। আর এ সুযোগেই তাদের শরীরেও বাসা বাধে নানা রকম রোগব্যাধি। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইউটিআই-এর মতো জটিল সমস্য।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিশেষজ্ঞদের কথায়-
মহিলাদের মধ্যে ইউটিআই-এর প্রকোপ পুরুষের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর একবার এই অসুখে পড়লে পেটে ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা-যন্ত্রণা এবং বারবার প্রস্রাবের বেগ চাপাসহ একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউরিনে রক্তও থাকতে পারে। তাই এই অসুখ নিয়ে সকল মহিলাদেরই সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, সদ্য মায়েরা ইউটিআই-কে একদম হালকাভাবে নিবেন না। বরং সঠিক সময়ে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার সাহায্যেই এই সমস্যার সমাধান করুন।

তাহলে কয়েকটি হোম রেমেডিজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যা আপনাকে ইউটিআই থেকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারবে-

১. ক্র্যানবেরি জুসই মহৌষধি : ক্র্যানবেরি একটি অত্যন্ত উপকারি ফল। এই ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রোগজীবাণু শেষ করার কাজে অত্যন্ত কার্যকরি। এই প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ক্র্যানবেরি হলো প্র্যান্থোসায়ানিডিনস নামক একটি উপাদানের খনি। আর এই উপাদানটি ইউটিআই-এর প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাইতো এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব ক্র্যানবেরি জুসের গ্লাসে চুমুক দিন। আশা করছি, এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথটা প্রশস্থ হবে।

২. পানিপান করতে ভুলবেন না ​: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপান করলে আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে। আর বারবার প্রস্রাব করলে ইউরিনারি ট্র্যাক্টে মজুত থাকা ব্যাকটেরিয়া সহজেই দেহের বাইরে চলে যাবে। ফলে অচিরেই কমবে রোগের প্রকোপ। সুতরাং এই অসুখের সম্মুক্ষীন হলে দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানিপান করার চেষ্টা করুন। আশা করা যায় এতেই সমস্যা সহজে দূর হবে।

৩. প্রস্রাব ধরে রাখবেন না : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূলত প্রস্রাব ধরে রাখার কারণেই মহিলারা ইউরিন ইনফেকশনের ফাঁদে পড়েন। আর সদ্য মাতৃত্ব লাভের পরতো সন্তানকে দেখার লোভে দীর্ঘক্ষণ প্রস্বাব চেপে রাখেন মায়েরা। আর তাতেই ইউরিনারি ট্র্যাক্টে বংশবিস্তার করতে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া। ফলে পড়তে হয় রোগের কবলে। তাই এই জটিল অসুখের ফাঁদ এড়াতে চাইলে প্রস্রাব ধরে রাখবেন না। বরং যখনই প্রস্রাব পাবে, তখনই সেরে নিন। আশা করছি, এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথটা প্রশস্থ হবে।

​৪. ভিটামিন সি যুক্ত খাবার : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা রাখার কাজে ভিটামিন সি-এর জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন তাজা ফল, শাক এবং সবজির মতো ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখলে দ্রুত ইউটিআই থেকে রেহাই পাবেন, তা তো বলাই বাহুল্য!শুধু তাই নয়, এইসব খাবার নিয়মিত খেলে আগামীদিনে ইউটিআইসহ একাধিক সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতেও পারবেন। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সাত মৃত্যু

৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : তবে এইসব ঘরোয়া টোটকায় কাজ না হলে বসে থাকবেন না। বরং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ মতো ওষুধ খান। তা না হলে কখন যে সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তা ধরতে পারবেন না। তাই নিজের ও সন্তানের ভালো চাইলে প্রথমেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র : এই সময়

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

ডেলিভারির পরেই ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে

আপডেট: ০৬:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সদ্য মায়েদের খুশির যেন কমতি থাকে না। আর নবজাতকের খেয়াল রাখতে গিয়ে মায়েরা নিজেদের খেয়াল রাখতেই ভুলে যান। তারা নিজেদের দিকে একদমই নজর দেন না। আর এ সুযোগেই তাদের শরীরেও বাসা বাধে নানা রকম রোগব্যাধি। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইউটিআই-এর মতো জটিল সমস্য।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিশেষজ্ঞদের কথায়-
মহিলাদের মধ্যে ইউটিআই-এর প্রকোপ পুরুষের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর একবার এই অসুখে পড়লে পেটে ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা-যন্ত্রণা এবং বারবার প্রস্রাবের বেগ চাপাসহ একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউরিনে রক্তও থাকতে পারে। তাই এই অসুখ নিয়ে সকল মহিলাদেরই সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, সদ্য মায়েরা ইউটিআই-কে একদম হালকাভাবে নিবেন না। বরং সঠিক সময়ে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার সাহায্যেই এই সমস্যার সমাধান করুন।

তাহলে কয়েকটি হোম রেমেডিজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যা আপনাকে ইউটিআই থেকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারবে-

১. ক্র্যানবেরি জুসই মহৌষধি : ক্র্যানবেরি একটি অত্যন্ত উপকারি ফল। এই ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রোগজীবাণু শেষ করার কাজে অত্যন্ত কার্যকরি। এই প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ক্র্যানবেরি হলো প্র্যান্থোসায়ানিডিনস নামক একটি উপাদানের খনি। আর এই উপাদানটি ইউটিআই-এর প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাইতো এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব ক্র্যানবেরি জুসের গ্লাসে চুমুক দিন। আশা করছি, এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথটা প্রশস্থ হবে।

২. পানিপান করতে ভুলবেন না ​: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপান করলে আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে। আর বারবার প্রস্রাব করলে ইউরিনারি ট্র্যাক্টে মজুত থাকা ব্যাকটেরিয়া সহজেই দেহের বাইরে চলে যাবে। ফলে অচিরেই কমবে রোগের প্রকোপ। সুতরাং এই অসুখের সম্মুক্ষীন হলে দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানিপান করার চেষ্টা করুন। আশা করা যায় এতেই সমস্যা সহজে দূর হবে।

৩. প্রস্রাব ধরে রাখবেন না : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূলত প্রস্রাব ধরে রাখার কারণেই মহিলারা ইউরিন ইনফেকশনের ফাঁদে পড়েন। আর সদ্য মাতৃত্ব লাভের পরতো সন্তানকে দেখার লোভে দীর্ঘক্ষণ প্রস্বাব চেপে রাখেন মায়েরা। আর তাতেই ইউরিনারি ট্র্যাক্টে বংশবিস্তার করতে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া। ফলে পড়তে হয় রোগের কবলে। তাই এই জটিল অসুখের ফাঁদ এড়াতে চাইলে প্রস্রাব ধরে রাখবেন না। বরং যখনই প্রস্রাব পাবে, তখনই সেরে নিন। আশা করছি, এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথটা প্রশস্থ হবে।

​৪. ভিটামিন সি যুক্ত খাবার : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা রাখার কাজে ভিটামিন সি-এর জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন তাজা ফল, শাক এবং সবজির মতো ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখলে দ্রুত ইউটিআই থেকে রেহাই পাবেন, তা তো বলাই বাহুল্য!শুধু তাই নয়, এইসব খাবার নিয়মিত খেলে আগামীদিনে ইউটিআইসহ একাধিক সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতেও পারবেন। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সাত মৃত্যু

৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : তবে এইসব ঘরোয়া টোটকায় কাজ না হলে বসে থাকবেন না। বরং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ মতো ওষুধ খান। তা না হলে কখন যে সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তা ধরতে পারবেন না। তাই নিজের ও সন্তানের ভালো চাইলে প্রথমেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র : এই সময়

ঢাকা/এসএম