০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ত্রুটিপূর্ণ অডিট রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা : এনবিআর চেয়ারম্যান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
  • / ৪৩১২ বার দেখা হয়েছে

ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) দিয়ে যাচাই ছাড়া কোনো অডিট রিপোর্ট দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে তা ত্রুটিপূর্ণ ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) চলমান প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এদিন বিকেলে ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান সেখানে বলেন, ‘ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) দিয়ে যাচাই ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরে পাওয়া গেলে তা ত্রুটিপূর্ণ ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংকগুলোকেও এটি পরিপালন করতে হবে, না হলে তা বাতিল হয়ে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতি হোঁচট খায়নি। এজন্য ব্যবসা-বাণিজ্য টিকে আছে। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি আহরণে দেশ যাতে পিছিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের পর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্বনির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ‘কোভিডের সময় ভোক্তাদের হাতে অর্থ ছিল না। এ সময় ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কাজ করেছেন। সরকারও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সাহায্য করেছে।’

আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কোম্পানির করপোরেট করহার কমানোর দাবি জানায় এফআইসিসিআই নেতৃবৃন্দ। আলোচনায় এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কে বেশকিছু নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, করহার নির্ধারণে অন্যান্য দেশে যে পন্থা রয়েছে তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি। এজন্য এনবিআরের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘করমুক্ত সীমা মোট বিক্রয়মূল্যের দেড় শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় হতাশ আমি। এটি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে অনেক আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।’ অগ্রিম আয়কর বেশি হওয়া, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নকালে অনেক পরিবর্তন হওয়া, আয় না হলেও কোম্পানির বার্ষিক বিক্রির ওপর কর প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ বেশকিছু ইস্যু এ সময় তিনি তুলে ধরেন।

এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা অনিয়ম করে, তাদের ধরেন। কিন্তু গুটিকয়েকের জন্য অন্যরা কেন ক্ষতির মুখে পড়বেন?’ আলোচনায় করপোরেট করহার কমানোর দাবি জানানো হয়।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফআইসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেদার লেলে ও নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবীরসহ অন্যান্য সদস্যরা। 

এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ১ মার্চ থেকে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু হয়। 

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

ত্রুটিপূর্ণ অডিট রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা : এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট: ০১:২২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) দিয়ে যাচাই ছাড়া কোনো অডিট রিপোর্ট দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে তা ত্রুটিপূর্ণ ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) চলমান প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এদিন বিকেলে ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান সেখানে বলেন, ‘ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) দিয়ে যাচাই ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরে পাওয়া গেলে তা ত্রুটিপূর্ণ ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংকগুলোকেও এটি পরিপালন করতে হবে, না হলে তা বাতিল হয়ে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতি হোঁচট খায়নি। এজন্য ব্যবসা-বাণিজ্য টিকে আছে। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি আহরণে দেশ যাতে পিছিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের পর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্বনির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ‘কোভিডের সময় ভোক্তাদের হাতে অর্থ ছিল না। এ সময় ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কাজ করেছেন। সরকারও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সাহায্য করেছে।’

আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কোম্পানির করপোরেট করহার কমানোর দাবি জানায় এফআইসিসিআই নেতৃবৃন্দ। আলোচনায় এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কে বেশকিছু নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, করহার নির্ধারণে অন্যান্য দেশে যে পন্থা রয়েছে তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি। এজন্য এনবিআরের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘করমুক্ত সীমা মোট বিক্রয়মূল্যের দেড় শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় হতাশ আমি। এটি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে অনেক আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।’ অগ্রিম আয়কর বেশি হওয়া, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নকালে অনেক পরিবর্তন হওয়া, আয় না হলেও কোম্পানির বার্ষিক বিক্রির ওপর কর প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ বেশকিছু ইস্যু এ সময় তিনি তুলে ধরেন।

এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা অনিয়ম করে, তাদের ধরেন। কিন্তু গুটিকয়েকের জন্য অন্যরা কেন ক্ষতির মুখে পড়বেন?’ আলোচনায় করপোরেট করহার কমানোর দাবি জানানো হয়।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফআইসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেদার লেলে ও নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবীরসহ অন্যান্য সদস্যরা। 

এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ১ মার্চ থেকে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু হয়।