১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই: টিপু মুনশি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আজ সোমবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে চিনি ও পিয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫-২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পিয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮.১১ লাখ মেট্রিক টন (প্রকৃত উৎপাদন প্রায় ৩৭,৪৯ লাখ মেট্রিক টন। তন্মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ক্ষতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট থাকে ২৮.১১ লাখ মেট্রিক টন)। চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগন্য হওয়ায় প্রায় ৯৯% চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশ বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবে আমদানি উন্মুক্ত না থাকিলে স্থানীয় সরবরাহে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমদানি উন্মুক্ত থাকিলে ২০% পিয়াজ আমদানি করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই ২০২২ থেকে ২৭ মে ২০২৩) পর্যন্ত চিনি আমদানির এলসি ওপেনের পরিমাণ ১৬.৬৭ লাখ মেট্রিক টন এবং পিয়াজ আমদানির পরিমাণ ৫.৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন। আন্তজার্তিক বাজারে চিনির মূল্য গত ০৩ মাসে প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ১৬০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য গত এক বছরে প্রায় ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বেড়েছে।

আরও পড়ুন: হংকং কনভেনশন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও আংশিক আমদানি নির্ভরতা রয়েছে। আমদানি নির্ভরতা থাকায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্যকে সুরক্ষা প্রদানের নিমিত্ত সরকার পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ভারতে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এই মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশীয় চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু সাময়িক স্থগিত রয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই: টিপু মুনশি

আপডেট: ০৬:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আজ সোমবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে চিনি ও পিয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫-২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পিয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮.১১ লাখ মেট্রিক টন (প্রকৃত উৎপাদন প্রায় ৩৭,৪৯ লাখ মেট্রিক টন। তন্মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ক্ষতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট থাকে ২৮.১১ লাখ মেট্রিক টন)। চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগন্য হওয়ায় প্রায় ৯৯% চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশ বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবে আমদানি উন্মুক্ত না থাকিলে স্থানীয় সরবরাহে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমদানি উন্মুক্ত থাকিলে ২০% পিয়াজ আমদানি করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই ২০২২ থেকে ২৭ মে ২০২৩) পর্যন্ত চিনি আমদানির এলসি ওপেনের পরিমাণ ১৬.৬৭ লাখ মেট্রিক টন এবং পিয়াজ আমদানির পরিমাণ ৫.৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন। আন্তজার্তিক বাজারে চিনির মূল্য গত ০৩ মাসে প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ১৬০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য গত এক বছরে প্রায় ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বেড়েছে।

আরও পড়ুন: হংকং কনভেনশন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও আংশিক আমদানি নির্ভরতা রয়েছে। আমদানি নির্ভরতা থাকায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্যকে সুরক্ষা প্রদানের নিমিত্ত সরকার পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ভারতে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এই মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশীয় চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু সাময়িক স্থগিত রয়েছে।

ঢাকা/এসএ